রাগী মেয়ের ভালোবাসার গল্প - An angry girl's love story

কিছু মেয়েরা একটু রাগি হলেও ভালোবাসা তাদের কমতি নেই । এমন একতা ভালোবাসার গল্প নিয়ে এজকের পর্ব । আপনারা ভালোবাসার গল্প,রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প,রাগী মেয়ের ভালোবাসার গল্প,অহংকারী মেয়ের ভালোবাসার গল্প,অহংকারী মেয়ের ভালোবাসা,রাগি মেয়ের ভালোবাসা,প্রেমের গল্প,দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসার গল্প,বড়লোকের অহংকারী মেয়ের ভালোবাসা,আবেগি ভালোবাসার গল্প,কমিশনারের রাগী মেয়ে,রাগী মেয়ের ভালোবাসা,নেতার রাগী মেয়ের ভালোবাসা,কমিশনারের রাগী মেয়ে ফুল পার্ট,সিনিয়র রাগী মেয়ের ভালোবাসা,কোটিপতির ছেলে যখন রাগী মেয়ের ক্রাশ,আবেগি ভালোবাসা,রাগী মেয়ের রোমান্টিক ভালোবাসা ইত্যাদি লিখে গুগলে খুজাখুজি করে থাকেন । 

রাগী মেয়ের ভালোবাসার গল্প - An angry girl's love story


রাগী মেয়ের ভালোবাসার গল্প

আপনি হয়ত একদিনে সব পড়তে নাও পারেন আবার অনেকে ধারাবাহিক ভাবে দিনে এক এক পরতে পছন্দ করে তাদের জন্য আমাদের এই গল্প পর্বে হিসেবে ভাগ করে দেওয়া আছে আপনাদের সুবিধার্থের জন্য । 

রাগী মেয়ের ভালোবাসার গল্প পর্ব ১

প্রথমে পরিচয় দিয়েই শুরু হক । আমি রাব্বি চৌদুরী রনি । বাবা মা দেশের বাইরে থাকে । বাংলা দেশের চেনাযানা কেও নাই আমি আর আমার এক বন্দু আছে আমারা একটা বাড়ি থাকী । মা বাবা অনেক বার বলেছে তাদের কাছে যেতে বাট আমি যাই নি । মা বাবা যানে হয়তো এমনি । আসলে এমনি না এর একটা কারন আছে । কারন হলো একটা মেয়ে যাকে সেই র্ভাসিটি লাইফ থেকে লাইক করি মনে । সেই র্ভাসিটিতে যখন পরতাম একটা মেয়ের ওপর আমি কাশ্স খাই মানে আমি প্রথম দেখায় তার প্রেমে পরে যাই । আমার সেই বন্দু যে এখনো আমার সাথে আছে । রানা । ওকে আপনাদের প্রথম থেকেই বলি । রনি আর রানা এই বার র্ভাসিটির ফাইনাল এয়ার এ । রানার gf আছে তবে রনির এখন কোন মেয়ে পছন্দ হয় নি । রনি দেখতে খারাপ না তবে মেয়েদের থেকে সব সময় দুরে থেকেছে । রনি একদিন র্ভাসিটিতে যে যে একটা মেয়েকে দেখে । মেয়েটিকে দেখেই প্রেমে পড় যায় । যাকে বলে লাভ ইজ ফাষ্ট সাইট । তো রানা এই সব এর প্রতি এক্সপাট । তাই রনি রানাকে সব বলে । রানাই রনির একমাটতো বন্দু ছিলো । রানা মেয়েটির সব খবর নিলো । 
রানাঃ দোস সব হয়ে গেছে । একটা good news আরেকটা bad news করনটা আগে সুনবী বল 
রনিঃ ভালোটাই আগে বল খারাপটা না হয় পরে সুনবো । 
রানাঃ সুন আমার মনে হয় মেয়েটিকে ভুলে যা 
রনিঃ কেনো 
ঃ সুন তা হলে ।। মেয়েটির নার রোদেলা আফজোর । সবাই রোজ বলে ডাকে । বাসা ........... এই এলাকার কুটিপতির এক মেয়ে । । এগুলো হলো gd news আর এখন সুন bad news মেয়েটা এতো রাগি যে । তার যা পছন্দ হবে সেটা চাই । রোজ এর বাবা রোজকে আজ পযন্ত কোন অভা রাখেনী । 
রনিঃ তা তো ভালোই একমাত্র মেয়ে বলে কথা 
রানাঃ র্ভাসিটি লাইফ সুন । মেয়েটা অনেক সুন্দর বলে অনেক ছেলেই প্রোপোজ করেছে তবে কাওকে হ্যা বলে নি । সবাইকে আছা মত মার দিয়েছে । কাওকে তার কাছে ঘিরতে দেয়না । আর সে কারও সাথে প্রেম করে না 
ঃ তাই নাকী তা হলে তো আমার পথকিলিয়ার
ঃ তাই বলিকী ভাই তুই এই মেয়েটার কাছে যাসনা ।আরো অন্যন কোন মেয়ে দেখ আমি সব করে দিবো । তুই আমার জানের দোস তোকে আমি এতো বড় সমস্যা মধ্যে কী করে ফেলি বল তো । 
ঃ হুম বুজলাম । তুই ও একটু বুজ ভাই কলেজ লাইফ গেলো কোন মেয়েকে পছন্দ করে পারিনাই আর এইবার র্ভাসিটিতে এসেও পছন্দ করতে পারি নাই শেষ মেষ একটা হলো আর তুই কী বলছিস ভুলে যেতে । এ কি করে হয় বল ভাই । সে দিন রাতে রনি অনেক ভেবে কিছু করতে পারে নি । মেয়েটিকে ছারা রনির হবে না । মেয়েটিকে সে অনেক ভালোবেসর ফেলেছে । রনি ভাবে ভুলে যাবে তাও পারে না আর ভালোবাসি ও বলতে পারেনা । 
**************************
দু বছর পর 
**************************
রনি তার বাইক করে যাচ্ছে । রাস্তার রেড সিঙ্গাল জোলে ওঠলো । রনি থেমে গেলো । রনি চুল গুলো ঠিক করার জন্য পাসের পাইবেট কার এর গিলাছ ব্যবহার করলো । চুল গুলো ঠিক কেরছে এমন সময় একটা মেয়ে গাড়ির কাচটা নামিয়ে রনির দিকে তাকালো মেয়েটা অনেক সুন্দুরী । নাম টা কী জানেন রোজ । নামটা যে রকম মেয়েটাও সে রকম । ফুলের মত । রনি কে দেখে রোজা হাই দিলো তবে রনি কিছু করলো না । তার পরে রোজা আবার রনিকে হাই দিলো আর বলবো 
রোজাঃ হাই আপাকেই বলছি । 
রনিঃ চুপ 
রোজা হ্যালো । 
রনিঃ চুপ 
এতখনে নীল সিঙ্গাল জলার কারনে রনি চলে গেছে আর রোজা রাগে বসে আছে এই প্থম কোন ছেলে রোজাকে এই ভাবে এভয়েড করলো । রোজা রাগে বাসায় চলে আসছো

রাগী মেয়ের ভালোবাসার গল্প পর্ব ২

রোজা রাগ করে বাসায় চলে আসলো । 
রোজা তার ঘরের আয়নার সামনে গিয়ে দেখলো তাকে কেমন দেখা যায় । না সবিতো ঠিক আছে । রোজা ভেবে পাছে না ছেলেটা কেনো এমন করলো । রোজা ভাবে এই ছেলেকে এই ভাবে ছেরে দেওয়া যায় না । নাকানীচোবানী খাওয়াতে হবে । তাই রনিকে খুজতে লাগে । দু দিন পর রনিকে খুজে প্রায়।
আর এ দিকে রনি তো মহা খুশি রোজাকে এভায়েট করে । রনি মনে মনে ভাবছে রোজা হয়তো এত খন তার বাড়ি মাথায় তুলে নিয়েছে । আসলে রনি ইচ্ছা করে রোজার সাথে এই রকম করেছে । রনি ভাবতে লাগলো এর পরে কী হতে পারে । রনি রানাকে সব বলে । 
রানাঃ এই টা আবার কী । যাকে ভালোবাসোস সে হাই দিলো আর তুই তাকে ফেলেই চলে আসলি 
রনিঃ দেখনা আরো কী হয় । আর তোকে একটা কথা বলা । রোজা যদি তোর কাছে এসে আমার নাম্বার চায় তুই কী করবী 
রানাঃ আমি দিয়ে দিবো 
ঃ তুই দিয়ে দিবি । আর বাসার ঠিকানাটাও । আর বলবি যে এই ঠিকানা গুলো যে তুই দিয়েসি আমাকে যেনো না বলে । তা হলে আমি তোকে খেয়ে ফেলবো । 
ঃ ওকে দোস । 
যেই ভাবা সেই কাজ । রোজার দু দিন লেগে গেলো রনি কে খুজে বের করতে । রনি গাড়ি করে যাছে পেছনে রোজা তাকে ফোলো করছে তা দেখে রনি তো অবাগ । রনি যা ভাবলে তাই হলো । রনি এবার রানাকে কল করে আর একটা KFC তে আসতে বলে । রনি সবে আছে আর কিছু খন পরে রানাও আসলো । 
রনিঃ রানা এই দেখ রোজা আমাকে ফোলো করতে করতে এখানে এসছে । 
রানাঃ হুম তা আমাকে কেনো ডাকলি 
ঃ কে আবার কাল কী বলাম 
ঃ কী
ঃ নাম্বার ঠিকানা 
ঃও
ঃ হুম । 
এর একটু পরে রনি সে খানথেকে চলে যায় আর রানা একটা কফি খেতে বসে থাকে । তার একটু পরে রোজা রানা কে 
রোজাঃ হ্যালো ভাইয়া 
রানা ঃ জি আমাকে বলছেন । যেনো চিনে না । 
রোজা ঃ হুম আপনাকেই । এই যে আপনার সামনে একটা ছেলে বসে ছিলো ছেলেটিকে ।
ঃ কেনো বলেন তো 
ঃ না এমনি ভাইয়া 
ঃ ও ওর নাম রাব্বি চৌধুরী রনি । এই খানের একটা কোম্পানির মালিক । বাবা মা দেশের বাইরে থাকেন । আর রনি সব দেখা সোনা করে আর কী । 
ঃ ও 
ঃ হুম এ যে এখানে একটা কাজের জন্য আমাকে ডাকলো আর অফিস থেকে কল আসায় আবার চলে গেলো ।
ঃ ও । তা আপনি ওনার কী হন 
ঃ বন্দু কেনো বলুন তো 
ঃ না এমনি । ওনার ঠিকানা আর নাম্বারটা দেওয়া যাবে 
ঃ সরি । এটা সম্ভব না ।
ঃ কেনো 
ঃ রনি জানলে রাগ করবে ।
ঃ আমি রনিকে বলবো না আমাকে দিন ।
একপ্রকার যোর কর নাম্বার নিলো । রোজা । 
রনি কে সব বলো রানা ।রনি রোজার কল এর জন্য অপেক্ষা করছে । রনি ভাবছে রোজা কল করবেই । কিছু খন পর রোজা কল করলো । প্রথম বার কল ধরলো না রনি । ২য় বার ও ধরলো না । আরো কিছু বার ৪ ৫ বার কল করার পরে দরলো । 
রনিঃ হ্যালো বলেই সলাম ধিলো 
রোজাঃ সালামের উওর নিলো আর বলো এতখন লাগে কল ধরতে 
রনিঃ আপনি কে । অপরিচিত নাম্বার এর কল আমি ধরি না 
ঃ তাই । ভালো । 
ঃ এবার বলেন আপনি কে 
ঃ আমি রোজা 
ঃও চিনতে পারলাম না বলেই কল টা কেটে দিলো । তা তে তো রোনা আরো রাগ । রোজন রাগে বসে আছে । তার পরে আবার কল করলো রনি আর কল ধরলো না কারন সে রোজাকে রাগাতে চায় ।অনেক গুলো কল দেবার পরে একটা sms আসলো 
কাল KFC তে অপেক্ষা করবো চারটার দিগে । । । । 
রনি তো জানেই রোজ । তাই সে KFC তে গেলো ।।
এখন প্রায় ৫টা বাজতে যাবে তখন রনি গেলো । দেখলো রোজা বসে আছে । রনিকে দেখেই 
রোজাঃ এই এদিকে আসেন আমি ডেকেছি ।
রনিঃ আপনি 
ঃ হুম এতো লেট করলেন কেনো 
ঃ প্রয়োজনটা তো আপনার তাই । কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়। তো বলেন কেনো ডেকেছেন । 
ঃআপনার সাতে কিছু সময় কাটাবো বলে । 
ঃ আপনার মত মেয়ের সাথে ফালটু সময় কাটানোর মত সময় আমার কাছে নাই
.

রাগী মেয়ের ভালোবাসার গল্প পর্ব ৩


রনিঃআপনার সাথে ফালতু সময় কাটানোর মত সময় আমার কাছে নেই ।
রোজাঃ তাই বুজি । আমার সাথেই তোমাকে এখানে থাকতে হবে । 
ঃ সরি আমি যাচ্ছি 
ঃ একপা এগলে আমি সবাইকে বলবো আপনি 
ঃ কী বলবেন আমি কী 
ঃআপনি
ঃ হুম আমি কী 
ঃ আপনি আমাকে খারাপ কথা বলেছেন 
ঃ কী বলেন । রনি ঠাস করে বসে পরলো । 
ঃ আপনি সত্যি করে বলেন তো আপনার সমস্যা টা কী আমকে দেখলেই আপনি এমন কেনো করেন । 
ঃ কেমন করলাম 
ঃ এই যে । এরিয়ে চলেন কেনো । 
ঃ এমনি আমি আপনার মত মেয়ের সাথে কথা বলতে চাই না 
ঃ কেনো আমার মাজে কী নেই । আমি কী দেখলে খারাপ 
ঃ হুম 
ঃ কী আমি দেখতে খারাপ । আমার পেছনে হাজারো ছেলে খুরে । আর আপনি কী বলছেন । 
ঃহাজারো ছেলে গুরে । একটা কথা আছে জানেন না সস্তা মালের কেতা বেশি । 
ঃ কী এত বড় সাহস তোর আমাকে সস্তা মালের সাথে তুলনা করা ।
ঃ তো কী করবো । আপনাকে পরীর সাথে তুলনা করবো । 
ঃ তা নয় তো কী আমি তো দেখতে পরির মতই 
ঃ পরী না পেন্তী
ঃ কী পেন্তী । আমি পেন্তী মত । আমার বিয়ের জন্য কত বড় বড় বাড়ি থেকে আসে তুই জানোস । কত ছেলে আসে ।
ঃ তাই নাকী । আমার মত ছেলে আপনাকে কেনো দিন বিয়ে করবে না 
ঃ তাই নাকী । তোর মত না তোকেই আমাকে বিয়ে করতে হবে । 
ঃ কী বলছেন 
ঃ হুম যা বলছি সত্যি বলছি । দারা আমি দেখাছি । 
রোজা তারা তারী করে তার বাবা কে কল করলো 
রোজা ঃ হ্যালো বাবা তুমি এখন কথায় 
রোজার বাবাঃ কেনো মা কী হয়ছে 
ঃ তুমি এখনি তোমার বন্দু কাজী হায়দার কে নিয়ে KFC তে আসো । 
ঃ কেনো কী হয়ছে 
ঃ আমি বলছি আসো না হলে কিন্তু খারাপ হবে । 
বলেই কলটা কেটে দিলো । 
রনি বসে বসে কথা গুলো সুনলো । রনি তো মনে মনে খুশী তবে । মুখে বলছে না 
রনিঃ আপনার মাথা ঠিক আছে তো । 
রোজাঃ ঠিক আছে ।
ঃ নাই আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারবো না ।
ঃ কেনো তোর সমস্যা কী 
ঃ পাবো না বাছ পারবো না 
ঃ পারবিনা মানে তুই করি তোর বাপ করবো । 
ঃ কী বলেন । খারপ হয়ে যাছে কিন্তু । 
বলেই দু জনে চুপ হয়ে গেলো রাগে লাল হয়ে গেছে রোজা । আর তা দেখে রনি মনে মনে মহা খুশী ।।।
কিছু টা পরে রোজার বাবা আসলো কাজী নিয়ে । কোন মতে তাদের বিয়ে হলো । বাসর ঘরে গেলো রনি । গিয়ে দেখলো রোজা নেই । রনি বুজতে পার লো না । রনি বাসর ঘরে বসে আছে কিছু খন পরে রোজা আসলো । বাসর ঘর বলতে তেমন সাজানো কোন ঘর নয় । রোজার ঘরে কোন মতে বাসর ঘর বানানো হলো । রোজা কে দেখে রনি বলো 
রনিঃ কথায় গিয়েছিলে 
রোজাঃ কেনো । 
ঃ না এমনি । সুনছি বাসর ঘরে মেয়েরা বসে থাকে আর তুমি নেই । কথাটা সুনেই রোজা হেসে ওঠলো 
ঃ কী বাসর ঘর । হাহাহাহাহাহ 
ঃ হাসার কী হলো ।
ঃ না । এটাকে তুই বাসর রাত বলছিস । কে বলছে এটা বাসর রাত । আর তুই কী করে ভাবলি তোর মত এক ছেলের সাথে আমি বাসর ঘর করবো । 
ঃ কী বলছো 
ঃ হুম ঠিকিত বলছি । এই বিয়ো তো আমি তোকে দেখানো জন্য করছি । তোর মত ছেলে কে আমি বিয়ে কেনো করবো । 
ঃ তাই । আর আমি কী ভাবলাম । সত্যি তোমার মত আদরের দোলালিরা না একট বেশিই হয় । মানুষ কে মানুষ মনে করো না না । নিজেকে কী মনে করো । আসলে আমারী ভুল । সত্যি কথা বলতে কী আমি তোমাকে সেই র্ভাসিটি লাইফ থেকে ভালোবাসি । তোমাকে এভায়েট করাটা এক প্রকার অভিনয় ছিলো । তার পর রনি সব খুলে বল রোজাকে । রোজা তো তাতে আরো রাগ । রনি আরো বলো । আসলে আমারি ভুল তোমার মত এক জন্য কে ভালোবেসে । 
কথা গুলো বলেই রনি চলে আসে । তার বাসা থেকে । রনি নিজের বাসা ফিরে আসে । রনি দেখলো রানা বসে আছে । রনি কে দেখেই রানা জিগাস করলো কথায় ছিলি । রনি সব বলো রানাকে ।রানাতো অবাগ 
রানাঃ কী বলছিস। ওযে রাগী তা জানতাম তা এতোটা রাগিী জানা ছিলো না । 
ঃ চুপ 
ঃ দোস এবার কী হবে ওতো তোকে মেনে নিলো না । 
ঃ হুম রে ভাবছিলাম বিয়ে টা হয়ে গেলো সব মেনে নিবে তা হলো না । 
ঃ হুম এবার কী করবি 
ঃ দেখি কী হয় 
বলেই রনি ঘুমাতো....

রাগী মেয়ের ভালোবাসার গল্প পর্ব ৪

রনি ঘুমাতে গেলো ।
সকালে রোজার বাবা নাম্বার থেকে কল আসে ।
রনিঃ হ্যালো । বলেই সালাম দেয় 
রোজার বাবাঃ হ্যালো বাবা তুমি কোথায় ।
ঃ কে আপনি 
ঃ আমি রোজার বাবা 
ঃ ও অ্যকেল আপনি 
ঃ হুম তুমি কথায় 
ঃ আমি তো আমার বাসায় 
ঃ ও তুমি তারা তারি আমার বাসায় ফিরে আসো ।
রনি কী করবে । ওই রাগী মেয়েটার সামনে রনি আর য়েতে চায় না । মেয়েটা যেমন সুন্দর ততটা তার মন ভালো না । মনটা তার কালো । এতোটা রাগি কেও হয় জানাছিলো না । মেয়েটাকে কেনো যে ভালো লাগলো বুজলাম না ।মেয়েটার হাসিটা যেমন সুন্দর কথা গুলো যদি তেমন সুন্দর হতো তা হলে কত না ভালো হতো । এ কথা গুলো ভাবতে ভাবতে রনি রোজা দের বাসায় চলে আসলো । 
রনিঃ হ্যা আন্কেল বলেন 
রোজার বাবাঃ বাবা তুমি কে তোমারপরিচয়টা দাও তো ।
রনি তার পরিচয়টা দেয় আর রোজার সাথে যা যা ঘটেছে সব বলেছে ।
রোজার বাবাঃ হুম বাবা কী করবো বলো । মা মরা মেয়ে আমার । কোন দিন কোন অভার রাখেনি । তবে মেয়েটা বড় রাগী । তাই তুমি এখন কী করবে ভাবছো ।
রনিঃ কী আর আন্কেল বলেন । আমার কিছু করার নাই । তখনি রোজা আসলো 
রোজাঃ ও আর কী করবে করবো তো আমি । আমি ওকে আজকেই ডিভোর্স দিয়ে দিচছি । 
বাবাঃ রোজা কী বলছিস তুই । একটু ভেবে দেখ । 
রোজাঃ না বাবা । আমি ওকে কেনো দিন ও মেনে নিতে পরবো না । 
রনিঃ আন্কেল আমার সমস্যা নাই । রোজা যা চায় তাই হোক ।
রোজা বাবাঃ রোজা আইন মোতাবেগ তো বিয়ের ৬ মাস পর ডিভোর্স হবে । তার আগে না । 
রোজাঃ কী বলছো বাবা
রনিঃ আন্কেল কী বলেন । তা হলে কী হবে 
রোজার বাবাঃ হুম । এই ৬য় মাস তোমাদের এক সাথে থাকতে হবে । আর কোন পথ নেই 
রোজাঃ কী বলো বাবা । আমি এই ফন্কিনির ছেলের সাথে আমি থাকতে পারবো না 
রনিঃ রোজা আমি গরিব না । আর মানুষ কে সম্মান করতে শেখ ।
রোজাঃ কী তুই আমাকে শাখাবি
রনিঃ না । যাষ্টা বলাম । আর তোমার মত মেয়ের সাথে ছয় মাস কেনো ছয় দিন থাকার আমারও কোনো ইচ্ছা নাই । 
রোজাঃ তাই না । 
রোজার বাবাঃ থামো তোমরা । আমি বলছি বাছ তোমাদের একসাথে থাকতেই হবে । 
এর পরে আর কারো কথা হলো না । রোজার বাবার কথায় সব হলো রনির বাসায় রোজা আর রনিকে থাকতে হবে ফাইনাল । 
রনি আর রোজা এই বাসায় আছে আজ সাত দিন হলো । আজ রোজার বাবা এসেছে । তাই রোজা একটু রান্না করছে । আর রনির সাথে একটু কতু বলছে । এই সাত দিনে রনির সাথে কেনো কথা বলেনে । অনেক রাতে বাড়ি ফিরে । আজ অনেক দিন পর রনি ভালো একটা দিন কাটলো । এভাবেই চলছিলো ।।
হঠাৎ করে রোজা একরাতে বাসায় ফিরে নাই । রনি ভাবছে হয়তো বাবার বাসায় গেছে । রনি রোজার বাবাকে কল করে জাতে পারলো রোজা সে খানেও যায়নি । রনি চিন্তায় পরে গেলো । রনি রোজার নাম্বারে কল করছে কল ধরছে না । রনি চিন্তায় পরে গেলো । সারা রাত রনি ঘুমায় নি । রনি কি করবে ভাবতে পারছে না । রনি তো রোজাকে ভালোবাসে । তাই রনি সারা রাত ঘুমাতে পারেনি । সকাল ছয়টা বাজতে লাগলো রনি হালকা ঘুম ঘুম পাছে । আর কলিং বেল বেজে ওঠলো । রনি কর খুলে দেখো রোজা ।
রনি রোজাকে দেখেই একটা ঠাসসসস করে মারলো । রোজা তো অবাগ হলো । রোজা রেগে যায় 
রোজাঃ ওই তোর সাহস হলো কী করে আমার গায়ে হাত তোলার 
রনিঃ ওই তোর সমস্যা কীকে হুম । বলতো সারা রাত কথায় ছিলি । 
রোজাঃ তোকে কেনো বলবো ।
রনিঃ তুই শুধু আমার বাসায় আছোছ দেখে । তা না হলে তোকে কে টাস করবে । তোর মত নোঙ্গা মেয়েকে । 
ঃ কী বলছিস 
ঃ হুম সারা রাত বাসার বাইরে ছিলি । তোকে খারাপ বলবো না তো কাকে বলবো । খারাপ মেয়েদের কাজইতো এ গুলো । আর সুন এই ভাবে চলা ভেরা করতে পারি না । আমি যা বলছি তা করতে হবে না হয় এখান থেকে চলে যা । আমি আর নিতে পারছি না । 
ঃ চুপ 
ঃ দেখ আজ তোর যদি কিছু হয়ে যেতো তো আমি কি করতাম । আমি তোর বাবাকে কী বলতাম । কী ভাবে মুখ দেখাতাম । 
ঃ চুপ 
ঃ আর থাপোর মারার জন্য সরি ।।
বলেই রনি চলে গেলো 
সারা রাত না ঘুমানোর কারনে রনি সারা দিন ঘুমিয়েছে.....

রাগী মেয়ের ভালোবাসার গল্প পর্ব ৫

রনি সারা দিন ঘুমাল। রনি রাতে ভাবলো রোজা আজও রাতের জন্য যাবে তবে রোজা কেনো জানি আজ গেলো না । 
এভাবেই একমাস কটলো । রোজা আর আগের মত রাতে বাইরে যায় না । এভাবেই দিন কাটছিলো । ।
আজ রোজার অনেক দিন হলো বাইরে যাওয়া হন না । রোজার আজ কেনো জানি খারাপ লাগছে । তাই আজ একটু ছাদে যাবে ভাবছে । বিলেকটা সে ছাদে কাটাবে ভাবলো । রোজা ছাদে গিয়ে তো অবাগ হয়ে গেয়ো । রনি গিটার বাজাছে আর গান করছে । রনি যে এতো সুন্দর গিটার আর গান করতে পারে রোজা জানতো না । রোজা আবার গান বাজনা পছন্দ করে । রোজা নিজের ওজানতে এক মনে তাকিয়ে আছে । রনি এখন খেয়াল করে নাই যে রোজা ছাদে আসে । রোজার কাছে রনির করা কাজ গুলোর মধ্যে এই গিটার টা ভালো লাগেলো । রোজা দেখেই যাছে । এক মনে । রোজা শপ্নের মাঝে হারিয়ে গেলো । রনি গান করছে । আর রোজা শপ্নের মাঝে হারিয়ে গেলো । হঠাৎ রোজা খেয়াল করলো আর গিটার গান বাজছে না । রোজা রনির দিকে তাকিয়ে দেখলো রনি তার দিকে তাকীয়ে আছে ।।
রোজাঃ তুমি দেখি অনেক সুন্দর গিটার গান করতে পারো । আগে বলো নিতো আগে । 
রনিঃ হুম বলা হয় নি তবে আর সূর্যসূর্য্যটা আজ কোন দিকে ওঠেছে ।
রোজাঃ কেনো
রনিঃ না মানে আজ একে বারে তুই থেকে তুমি হলাম তো তাই ।
এ কথাটা সুনে রোজা লজ্জা পেলো । সত্যি তো রনি সাথে সে অনেক খারাপ ব্যবহার করছে । রোজা লজ্জায় মাথাটা নিচু করে ফেলো । রোজার মুখের দিকে রনি তাকিয়ে আছে । রোজা মুখ খানা দেখার মত হয়েছে । লজ্জায় লাল হয়ে গেছে । মুখে লজ্জা মাখা সেই মায়াবি হাসি । রনি তো আবার তা প্রেমে পরে গেলো । রনিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে রোজার রাগ হলো ।
রোজাঃ ওই এভাবে দেখার কী আছে ।
কথাটা সুনে রনি চোখটা নামিয়ে নিলো । সে আবার মন দিয়ে গিটার বাজাতে লাগলো । আসলো রনি সব সময় গিটার বাজায় না । এই একলা লাগলে সে গিটার এর সাথে সময় কাটায় । এই তো আজ বিকেলে 
রনি অফিসের কাজ শেষ করে বাসায় আসলো আজকে অনেক তারা তারি । রনি ঘরে বসে থাকায় একা লাগছে । রনি কী করবে ভাবতে ভাবতে গিটার এর কথা মনে পরে গেলো । তাই রনি গিটার টা নিয়ে ছাদে চলেগেলো । ছাদের এ কিনারায় বসে একটা গান ধরতেই রোজা হাজির । তার পরে তো আপনারা দেখেন । রনি আবার ভাবতে লাগলো রোজাটা কেন এমন কোরে । আমাকে একটুও বুজলো না । আমি যে ওকে ভালোবাসি টা কী রোজা তুমি একটুও বুজো না । নাকী বুজেও না বুজার মত করো । কিন্তু কেনো । আজ কিছু দিন হলো রোজা পালটে গেছে রোজা রাতে বাসা থেকে বাহির হয় না । এভাবেই দিন গুলো কাটছিল। 
আজ রনির অফিস বন্দ। তাই রনির ঘরটা গুছাছিলো । তখনি রনি রনির একটা ডায়রি পায়লো । রনির সেই কলেজের কথা মনে পরে গেলো । রনি দেখতে খারাপ ছিলো না আর পড়া লেখায় ও মোটামোটি ছিলো । কলেজের কয়েকটি মেয়ে রনির কে পছন্দ করতো তবে রনি তাদের কাওকে পছন্দ করতো না । রনি তার ডায়রিটা অনেক দিন হলো কিছু লেখেনা । হারিয়ে গেছিলো । রনি তার ডায়রিটা পরতে লাগলো । । রনির এই ডায়রিটা সে class 10 এ থাকতে কিনেছিলো । 
আজ রনির কলেজের প্রথম দিন । রনি সকাল সকাল কলেজে গেলো । ভালোই কাটছিলো দিন গুলো । রনি কলেজে গেলে একটা মেয়ে তাকিয়ে থাকতো । রনি কিছু বুজতে পারলো না । কিছু দিন পরে সেই মেয়েটি রনি কে বলে 
। মেয়েটির নাম ছিলো মনি
মনিঃ এই রনি এদিকে একটু সুনবে 
রনিঃ কেনো কিছু বলবে 
মনিঃ হুম ।
রনিঃ হুম বলো তারা তারি । ও দিকে আমার বন্দু আমার জন্য অপেক্ষা করছে । 
মনিঃ আমি অনেক দিন ধরেই তোমাকে একটা কথা বলবো বলবো ভাবছি । 
রনিঃ হুম বলো । একটা কথা তুমি কী বলতে চাছো তুমি কী আমাকে ভালোবাসো 
মনিঃ হুম সত্যি তোমাকে আমি ভালোবাসি । I Love you ।
রনিঃ না দেখো এটা সম্ভব না । আমার ভালোবাসা হয়তো অন্যন কারো জন্য । sorry 
তার পরের কিছু দিন মেয়েটি পিছনে ঘুরো ঘুরি করে । তার পরে মেয়েটাকে আর রনি দেখেনি । এভাবেই রনি ভালোবাসায় যায়নি । রনি কোনো মেয়েকে পছন্দ হয়নি । রনি একায় ছিলো । এর পরে ডায়রিটায় আর কিছু লেখা নাই । রনি আবার লেখা শুরু করলো । তখন রনি র্ভাসিটির ৩য় সেমিষ্টার । রনি হঠাত একটা মেয়ে কে দেখে অবাগ হলো । মেয়েটা এতো সুন্দর হলো কী করে । মেয়েটার হাসি টা অনেক সুন্দর রনির এই প্রথম কোনো মেয়েকে পছন্দ হয় । তার পরেতো আপনারাই জানেন । রনির বসে ডায়রি হাতে তা দেখে রোজা রনিকে বলো 
রোজাঃ কাজ না করে ডায়রি হাতে বসে কেনো । 
রনি কথাটা সুনে অবাগ হলো । 
রনিঃ না এমনি 
রোজাঃ ও ডায়রিটা কার ।
রনিঃ আমার 
রোজা তার পরে আর কোন কথা বলেনি । চলে গেলো । রনি তার সব কাজ করলো । আর এভাবেই চলছিলো । রনি কাজে অফিসে গেলো । রোজা ঘরে বসে আছে । কাজ নেই মোবাইল হাতে বসে আছে । রোজার হঠাল করে রনির ডায়রির কথা মনে পরে গেল। রোজা রনির ঘরে গিয়ে ডায়রি খুজতে লাগলো। কিছুতেই ডায়রিটা পেলো না । রোজা হঠাৎ রনির সেই গিটার টা দেখলো । রোজা রনির গিটারটা হাতে নিতেই রনির সেই ডায়রিটা দেখতে পেলো । রোজা রনির ডায়রিটা হাতে নিলো আর পরতে লাগলো । 
ডায়রিটা পরে রোজার চোখে পানি । রোজা বুজতে পারছে না । কাওকে এতোটা ভালোবাসা যায় কী করে । রনি রোজাকে এতোটা ভালোবাসে ডায়রিটা না পরলে বুজতোই না । রোজা না জেনে রনিকে কত না কষ্ট দিয়ে দিলো একথা ভাবতে ভাবতে রোজার সারা দিন গেলো .............................

রাগী মেয়ের ভালোবাসার গল্প পর্ব ৬

রোজা আজ বুজতে পারলো রনি তাকে কতটা ভালোবাসে । এভাবেই চলছিলো । 
একদিন রনি কাজ করতে করতে ডয়িক রুম এই ঘুমিয়ে পরে । সে দিন রনিকে এভাবে ঘুমাতে দেখে রোজা রনির কাছে যায় । দেখলো রনি কী সুন্দর করেই না ঘুমাছে । তার নিশ্বপাপ চেহারাটা দেখতে রোজার অনেক ভালো লাগছে । রোজা এক প্রানে দেখেই যাছে। 
রনিকে সে ভালো করে দেখেও নি । আসলেই রনি অনেক সুন্দর । এভাবেই ডির্ভছের চার মাস কাটলো 
*****************
এখন রোজা রনিকে তুমি করে বলে । 
আর আগের মত রাগ করেনা বকা ঝকা করে না । 
একরদিন বাহিরে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে । রনি জানে রোজা বৃষ্টিকে ভয় পায় । আর রোজা এখন একলা বাসা । কী না কী করবে । কথা গুলো ভেবে রনি তারাতারি বাসায় চালে আসলো । রনি বেল বাজানোর কিছু টা পরে রোজা দরজা ঘুললো । 
রোজাঃ একী তুমি বাসায় কেনো
রনিঃ এমনি
ঃও । তা বৃষ্টিতে ভিজে কেনো
ঃআমার তো বৃষ্টিতে ভিজতে অনেক ভালো লাগে । তাই ভিজতে ভিজতে চলে আসলাম ।
ঃ ও । তোমার অনেক ভালো লাগে 
ঃহুম । তোমার লাগে না । চলো ছাদে গিয়ে বসে বৃষ্টি দেখি । 
ঃ না । আমি ভয় পাই 
ঃ কেনো 
ঃ জানি না 
ঃও চলো আমি আছি না 
রনি এক প্রকার জর করেই রোজাকে ছাদে নিয়ে গেলো । রনি দু হাত উচু করে ভিজছে । রোজা হা করে রনির কান্ড দেখছে । রনি রোজাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে 
রনিঃ কী এভাবে দেখার কী আছে ।
রোজাঃ চুপ 
রনি আবার ভিজতে লাগলো কত দিন হয় রনি এই রকম বৃষ্টিতে ভিজে না । হঠাৎ করে বিকট আওয়াজ হয় । বিদ্যু চমকানোর । তাতে রোজা রনিকে জরিয়ে ধোরলো । রনি তো অবাগ । 
তার পরে রোজা লজ্জায় দোওরে চলে যায় । সে রাতে রনির সামনেই আসেনি । রনি ভাবছে লজ্জায় আছে না । সকাল হলো রোজাকে একবারের জন্য ও রনি দেখে নি । তাই রনি রোজার ঘরে যার দেখে রোজা এখন ঘুমিয়ে আছে । রনি ডাকলো কথা নাই তাই রনি রোজার কপালে হাত রাখলো । রনি অবাগ এত জর । রনি রোজাকে তারা তারি হসপিতালে নিয়ে গেলো । ডাক্তার দেখালো । রোজার বাবাও এসেছে । ডাক্তার রোজাকে ঘুমের ইনজেকসন দিয়েছে । প্রায় বিকেলের দিকে রোজার জ্ঞান ফিরলো । রোজা দেখলো । রনি তার পাসে বসে আছে । রোজা হালকা নরাচরায় রনি মাথা উচু করলো । রোজা রনিকে দেখে অবাগ হলো । কারন রনির চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে । 
রোজাঃ আমি এখানা কেনো 
রনি কিছু বলতে যাবে আে ডাক্তার আসলো । 
ডাক্তারঃ আপনার এত জর কি করে আসলো ।
রোজাঃ না এমনি । কাল একটু বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম তার জন্য মনে হয় ।
ডাঃ ও আপনি জানেন না আপনি ভিজলে আপনার সমস্যা হবে । 
রোজাঃ হুম জানতাম বলেই রনির দিকে তাকালো । 
ডাঃ ও এর আগেও কী এরক হয়েছিলো ।
ঃ হুম হয়েছিলো । আমি ছোট থাকায় একদিন বৃষ্টিতে ভিজে আমার এই রকম জর হয়েছিলো । তার পর থেকে আর আমি বৃষ্টিতে ভিজিনা । 
ডাঃ ও ভালো । আর এই রকম করবেন না । 
ডাক্তার রোজাকে সেই বিকালেই বাসায় যেতে বলে । আর রাতে এক জন কে হাথকে বলে রোজাকে দেখা সোনা করার জন্য । 
রাতে রোজা ঘরে 
রনিঃ sorry রোজা আমার জন্য তোমার এত বড় খতি হয়ে গেলো । আসলে জানতাম না আমি যে তোমার বৃষ্টিতে ভিজলে এতো বড় সমস্যা হবে । তহলে তোমাকে আমি কোনো দিনও ভিজতর বলতাম না । আমি সত্যি Sorry ।
রোজাঃ একটু মজা করে । তাই নাকী না আমাকে ইচ্ছা করে ভেজানোর জন্য এমন করলে । যাতে আমার জর হয় ।
রনিঃ না । তুমি ভুল বুজছো । আমি সত্যি জানতাম না 
রোজাঃ হয়ছে হয়ছে আর নেকামো করতে হবে না ।
ঃ কী আমি নেকামো করছি 
ঃ হুম । তুমি যে যেনে সুনে কাজ টা করছো তার জন্য তোমাকে সাজা পেতে হবে । 
ঃ কী 
ঃ বেশি কিছু না । তোমাকে সারা রাত গান করে সুনাতে হবে । 
ঃও 
এর পরে রোজা যতখন না ঘুমায় রনি তাকে গান সুনায় । এ সময় রোজা ঘুমিয়ে গেলো । রনি রোজাকে দেখছে । রোজা বাচ্চা দের মত ঘুমাছে । রোজাটা যে এত সুন্দর হয় তো সে নিজেও জানে না । মনে করছে রোজার কপালে ছোট একটা পাপ্পি দিতে । রনি সাহসে কোলাছে না । যদি রোজা জানতে পারে তা হলে । রোজা তাকে কী ভাববে । রনি ভাবতে লাগলো রোজাতো এখন ঘুমিয়ে আছে তো এখন একটা পাপ্পি দিলে রোজা বুজতেই পারবে না । তাই রনি ভাবলো রোজাকে একটা পাপ্পি দিবেই । রনি রোজার মুখের সামনে রনির মুখটা নিলো পাপ্পি দিবে । এমন সময় রোজা তার চোখ খুলে । রনি তো অবাগ হলো । কারন এখন রোজা কী ভাববো তাকে । রোজা রাগি লুক নিয়ে রনিকে বলছে 
রোজাঃ এই তুমি আমার মুখের সামনে এসে কী করছিলে 
রনিঃচুপ
ঃ কী হলো বলছো না যে তুমি কী করছিলে । 
ঃ কিছু না । 
ঃ ও তা হলে তুমি আমার এত কাছে এসে কী করছিলে বলো ।
ঃ আসলে তুমি ঘুমাছিলে না । তোমাকে দেখতে অনেক কিউট লাগছিলো তাই তোমাকে দেখছিলাম আমি । আর কিছু না 
ঃ ও তাই নাকী আমি ঘুমালে আমাকে কিউট লাগে । 
ঃ হুম । 
ঃতা তো বুজলাম বাট তুমি আমার মুখের সামনে এসে কী করছিলে । তুমি কী আমাকে পাপ্পি দিতে চেয়েছিলে । সত্যি করে বলবে কিন্তু 
ঃ একি রোজা বুজলো কী করে আমি্যওকে পাপ্পি দিতে চেয়েছিলাম । মনে মনে । আসলে তেমন কিছু না । 
ঃ ও তাই । 
ঃ হুম । তুমি না ঘুমাছিলে । চোখ খুললে কী করে । 
ঃ হুম ঘুমাছিলাম তো । ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো । 
ঃ কেনো 
ঃ আমার না খুব খুদা লাগছে । তাই ঘুম ভেঙ্গে গেলো । 
ঃ ও । তা হলে কিচেনে যাও আর খেয়ে আসো । 
ঃ এই অপরাধি আমি তো বিছানা ছেরে ওঠতেই পারছি না 
ঃ এই তুমি আমাকে অপরাধি বলছো কেনো 
ঃ তা হলে কী বলবো । 
ঃ কেনো বলবে । 
ঃ তুমি তো অপরাধি । আমাকে জর আনিয়ে ছারলে । 
ঃ ও তাহলে তুমি এই মনে করছো । সত্যি আমি জানতাম না । 
ঃ আসলে তুমি একটা মিথু্ক ও বটে । 
ঃ কেনো আবার কী করলাম । 
ঃ এই যে মিথ্যা বলছো যে তুমি জানতে না ।
ঃ সতসত্যি জানতাম না । 
ঃ হুছে হয়ছে আর বলতে হবে না ।।এখন আমাকে ডিনার করাতে হবে । যাও আমার জন্য খাবার নিয়ে আসো । 
ঃ কেনো
ঃ কারন তোমার জন্য আমার জর আসলো । তাই 
রনির ইচ্ছা না থাকার পরেও খাবার আনলো । 
রনিঃ এবার খাবারটা খেয়ে আমাকে এই পাপ থেকে মুকতি দাও 
রোজাঃ কী করে দেবো । আমি তো আর নিজের হাত দিয়ে খেতে পারবো না 
রনি রোজাকে খাওয়া দিলো । তার পর অনেক রাত হবার কারনে রনি ঘুমাতে গেলো ।


রাগী মেয়ের ভালোবাসার গল্প পর্ব ৭

রনি ঘুম থেকে ওঠে অফিস যায় । আজ একটু তারাতারি বাসায় ফিরলো । কারণ রোজার শরীরিল ভালো নাই । রনি বাসায় এসে দেখে রোজা বসে আছে । কী যেনো ভাবছে । 
রনিঃ জর কী কোমেছে ।
কথাটা সুনে রোজা প্রায় চোমকে ওঠে । 
রোজাঃ হ্্া্ হা করছে । 
রনিঃ ও ভালোই হলো । তা এখন কেমন লাগছে 
রোজাঃ হুম ভালোই । তো আজ এসময় বাসায় 
রনিঃ কেনো আমি কী এ সময় বাসায় আসতে পারি না । নাকী
ঃ আমি কী তাই বলেছি নাকী 
ঃ তা হলে কী ভাবছো
ঃ মানে এসময় তুমি কোন দিন বাসায় আসনো । 
ঃহুম তা আসেনি । আজ আসলাম 
ঃ কেনো বলোতো
রনি কী বলবে । কারনটা বলে রোজা আবার কী ভাবে । কারনটা তো সে । 
রনিঃ না এমনি । কাল রাত এ আপনার সেবা কারায় আমার আজ ঘুম ঘুম পাচ্ছে তাই বাসায় ছিরে আসলাম 
রোজাঃ ও আমি আবার কী মনে করছিলাম 
ঃ কিছু বলে মনে হয়
ঃ না না । কী আর বলবো । 
ঃ না মনে হয় কিছু বলে 
ঃ না । তা তোমার না ঘুম পাচ্ছে
ঃ হুম তো 
ঃ তো ঘুমাতে যাবা না 
ঃ না এখন আর ঘুম নাই
ঃকেনো । 
ঃ এমনি ।
ঃও ভালো । সত্যি করে বলোতো তোমার কী কোন সমস্যা হয়তেছে 
ঃ কেনো ।
ঃ না কেমন যে করছো । একবার বলছো এটা হয়েছে ওটা হয়েছে । পাগল টাগল হয়ে গেলে নাকী
ঃ কী বলছো আমি কেনো পাগল হবো 
ঃ তা নয় তো কী 
ঃ একবার বলছো ঘুম পাচ্ছে আবার বলছো ঘুম নাই
ঃ চুপ । 
ঃ হ্যালো আমি আপনাকেই বলছি 
রনি কী বলবে ভেবে পায় না । 
সে দিন রাত এ ডিনার এর সময় 
রোজাঃ এই যে স্যার ডিনার করবেন নাকী । 
রনিঃ চুপ 
ঃহ্যালো আমি তোমাকেই বলছি । 
রনির কেনো কথা নাই দেখে । রোজা রনির ঘরে যায় । রোজা দেখে রনি কম্পিউটার এর সামনে চুপটি করে বসে আছে । মনে হয় অনেক টেন্সোনে আছে । রোজা আবার ভাবলো কী আর হবে । তাই রোজা রনিকে 
রোজাঃ একপ্রকার চেচিয়ে ঃ রনি কতখন ধরে ডাকছি । কী হলো কথা নাই কেনো । 
বলেই রনির হাত ধরে টান দেয়।
রনি হালকা ঝাটকা দিয়ে ।
রনিঃ না রোজা এসব ভালো লাগছে না । তুমি তোমার মত থাকতে পারো না । আমার কাছে কী ।
রোজাঃ কী বলছো রনি
ঃ কেনো বুজতে পারছো না । বাংলাই তো বলছি নাকী । আমার কাছে কী তোমার 
শুরু হয়ে গেলো ঝগরা । রোজা কাদতে কাদতে রনির ঘর থেকে বাহির হলো । রনি বুজতে পারলো না সে কী করবে । রনি সারা রাত ঘুমাই না আর ডিনর ও করা হয় নি । এদিকে রোজা সারা রাত কেদে কাটিয়েছে । রোজা ভাবতে পারছে না রনির তার সাথে এমন ব্যবহার করবে । রোজার অনেক খারাপ লাগলো । রোজা না খেয়ে অনেক কান্না করছে সারা রাত । রনির ঘুম থেকে ওঠতে প্রায় দুপুর হয়ে যায় । রনি ফেস হয়ে দেখলো রোজা এখন ঘুম থেকে ওঠেনি । রনির মনে পরে গেলো কাল এর কাহেনি । রনি রোজার ঘরের সামনে গিয়ে দেখলো রোজার ঘরের দরোজা আটকানো । রনি হালকা ভাবে ডাকলো । রোজার কোন পাত্তা নাই । রনি চিন্তায় পরে গেলো । রোজা কিছু করে ছেলো নাতো । যে রাগী । কী না করে ফেলবে বে । রনি এবার জরে জরে ডাকতে লাগলো । হঠাৎ করে রোজা ঘর খুলে দেয় তবে কথা বলে না ।রনি ভিতরে গিয়ে 
রনিঃ তোমার কিছু হয়নি তো
রোজাঃচুপ
ঃ ঠিক আছো তো । কী হলো কথা নাই 
ঃচুপ 
ঃ হ্যালো ম্যেডাম আপনাকেই বলছি ।
ঃচুপ 
ঃ রোজা আমি সত্যি অনেক sorry তোমার সাথে কাল ও রকম ব্যবহার করায় । আমি বুজতে পারেনি তুমি এতোটা হাড্ড হবে । আমি তোমার সাথে এমন টা করতে চাইনি । আসলে আজ বিকেলে অফিসের একজন কল করে বলো অনেক বড় একটা ডিল নাকী হাট ছারা হয়েগেছে । তাই মাথাটা কাজ করছিলো না । তোমার সাথে এমন করা আমার ঠিক হয়নি জানি । তাই পারলে ক্ষমা করে দিয় । 
রনি দেখতে পারলো । রোজার চোখে পানি । 
রোজাঃ হুম হয়ছে । আর নেকামো করতে হবে না 
রনিঃ কী আমি নেকামো করছি
ঃ তা নয় তো কী ।
ঃ কী ভাবে
ঃএই যে আমাকে কাদিয়ে এখন সরি বলা হচ্ছে । 
ঃ মানে তুমি কাদছো এর জন্য
ঃ তা নয় তো কী । আমার জিবনেও কেও আমার সাথে এমনি করেনি । তুমি প্রথম আমার সাথে এমন রাগ করলে । 
ঃ ও আমি জানতাম না । সরি । এবার চলো নাস্তা করি । আমার না অনেক খিদা লাগছে । 
বলেই দুজন নাস্তা করতে গেলো । এভাবে ৫ম মাসটাও কেটে গেলো । রনি রাতে ঘুমিয়ে আছে । রনির ঘুম হঠাত করে ভেঙ্গে গেলো । কারন রনি ভয়ানক সপ্ন দেখছে । রোজা রনির কাছথেকে চলে যাছে । ডির্ভোস নিয়ে ।

রাগী মেয়ের ভালোবাসার গল্প পর্ব ৮

রনি সপ্নটা দেখেই রোজার কথা মনে পরে গেলো । রনির খারাপ অবস্তা । ঘেমে সারা শরিল ভিজে গেছে । রনির অনেক টেন্সোন হচ্ছে । সত্যিই কী রোজা রনিকে ছেরে চলে জাবে নাকী এটা কোন দুরসপ্ন । তখন রনি ভাবতে লাগলো । রোজা তার সাথে আর মাত্র এক মাস মানে ৩০ দিন আছে ।৬ মাস থাকার কথা রনির সাথে ৫ মাস তো কেটে গেলো । তার পরেই রোজা চলে জাবে । কী ভাবে কাটাবে সেই দিন গুলো । 
সকালে রনি সাভাবিগ হয় । কাওকে কিছু বলো না । এভাবেই আরো দশ দিন কেটে গেলো ।
এখন রনি আর রোজা অনেক ভালো বন্দু । রোজা আর রনির সাথে ঝগরা করে না । ভালো করে কথা বলে । এই তো আজ সকালে । রনি ঘুমিয়ে আছে । 
রোজা আজ তারাতারি ঘুমথেকে ওঠেছে । রোজা দেখতে পেলো রনি এখন ওঠেনি । তাই রোজা চলে গেলো রনির রুমে । রোজা গিয়ে দেখলো রনি সেই বাচ্চাদের মত করে ঘুমাছে । ছো কিউট । অনেক সুন্দর লাগছে । রোজা রনিকে ডাকতে লাগলো 
রোজাঃ এই রনি .....রনি.......ওঠো
রনিঃ হু..............ম
ঃ ওঠো । 
ঃ হুম
ঃ এই হুম হুম করতাছো কেনো । ঘুম থেকে ওঠো 
বলেই রনির নাক ধরে রাখলো । রনি শ্বাস না নিতে পারায় ঘুম থেকে ওঠে গেলো ।
রনিঃ দু.........র দিলে তো সপ্নটা নষ্ট করে । বলেই জিব্বলায় কামর। ভাবছে কী বলে ভেলাম 
রোজাঃ কী সপ্ন দেখা হচ্ছিলো 
ঃ না না 
ঃ তা হলে কী । কাকে নিয়ে সপ্ন দেখা হচছিলো সুনি
ঃ কাকে নিয়ে আবার তোমাকে নিয়ে ।
ঃ কী হলো বিরবির করে কী বলছো । বলো 
ঃ না কিছু না 
ঃ তো বলো কাকে নিয়ে সপ্ন দেখছিলো । আর কী দেখছিলে
ঃ কিছু না কিছু না 
বলতে বলতে রনি ফেসরুম এ চলে আসল। নিজেকেই গালিদিতে মনে করছে । সালার মুখ কিছু আটকায় না । সপ্ন দেখছিলো সেটা ও বলে দিলো । তবে সপ্নটা কিন্তু দারুন ছিলো । রোজা রনির সামনে এসে মুখটা রনির মুখে সামনে রেকে চোখে চোখ রেখে যেই রনিকে কিস টা করবে আর ওমনি রোজা সপ্নটা শেষ করে দিলো। কী রোমান্টিক সপ্ন না ছিলো। রনি রুমের দরোজা বন্ধ করে দিলো । আর বাহিরে রোজা
রোজাঃ দরোজায় থাপোরদিয়ে। রনি এই রনি দরোজা খুলো বলছি
ঃ কেনো খুলবো
ঃ খুলো বলছি। 
ঃ না আমি দরোজা খুলবো না । 
ঃ তোমাকে আজ একবার হাতের কাছে পেয়ে নেই ।
ঃ পেলে কি করবে
ঃ কি করবো পরে দেখো। আগে দরোজা খুলো
ঃ না আমি খুলবো না । তুমি যে রাগী আমাকে খেয়েই ফেলবে
ঃ ওই কী বললে আমি রাগী। রনি দরোজা খুলো বলছি
ঃ না 
ঃ ওকে তোমাকে আর দরোজা খুলতে হবে না আমিই বাহির থেকে আটকে দিতেছি ।
ঃ কী কেনো
ঃ তোমাকে আর আজ বাহির হতে হবে না । তুমি এখানেই থাকো। তোমার খাওয়ানাওয়া আর বন্ধ।।হুম
ঃ রোজা না এরকম করোনা ।..............রোজা.......এই রোজা দরোজা খুলো বলছি
রোজা রাগে লাল হয়ে গেছে । আর পারছে না । তাই রনির ফেসরুম এর সামনে বসে আছে। রনি তো ভয়ে আর রুম থেকে বাহির হয় না । প্রায় এক ঘন্টা হয়ে গেলো । রোজার রাগটা একটু কমেছে । রনি আর ডাকছে না কেনো । রুম এর ফেতরে কি করছে এতো খন। আমাকেতো একবারো ডাকলো না এতখন হয়ে গেলো । কোন সমস্যা হলো না তো রোজা ভাবছে । রনিকে এভাবে আটকিয়ে রাখা টিক হয়নি । সকালএর নাস্তাটাও খাওয়া হয়নি । রোজা বুজতে পারছে না এখন কী করবে । তাই রোজা ফেসরুম এ যে লকটা করেছিলো তা খুলে ভিতোরে চলে গেলো । ভিতরো গিয়ে তো রোজার মাথা ঘুরে গেলো । 
..........
রনি ঘুমাছে । 
রোজার মাথায় আবার রাগ ওঠে গেলো । রনির কান ধরে টানতে লাগলো । 
রনিঃ চোর চোর। রনি ঘুম ঘুম চোখে রোজাকে না দেখেই
রোজাঃ আমি চোর না আমি মেয়ে মানুষ
ঃ ও তা হলে চুনি চুনি 
ঃ ওই গাধা চোখ তো খুল আগে
রনি চোখ খুলে রোজার বড় বড় চোখ দেখে তো ভয়ে রোজা কাছ থেকে ওঠে দোর। 
রোজাঃ এই দারা বলছি । কথায় যাছ 
রনিঃ এক সোপায় বসলো হরান হয়ে গেছে । রনি হাপছে । খুব পানি পিপাসা লাগছে । 
হঠাৎই রনির সামনে এক গিলাস পানি দেখতে পেলো । রনি না ভেবেই হাতে নিয়ো । তার পর মনে হলো গিলাসটা দিলো কে । আমার সাথে কী হচ্ছে আজ । ভুত টুত নাতো । আর এদিকে রোজা রনিকে হাপাতে দেখে একগিলাস পানি দিলো। রনি পানি খাচ্ছে না দেখে রোজার চোক বড় বড় করে রনির দিকে তাকিয়ে আছে । রনি রোজার দিকে তাকিয়েই 
রনিঃ ভুত ভুত
রোজাঃ কী আমি ভুত
ঃ তা নয়তো কী । গরুর চোখের মত চোখ করে রাখলে । তাকে কি বলবো
ঃ এই কী আমার গরুর চোখ বলেই রনিকে কিল গুসি মারতে লাগলো । 
রনির হাত থেকে গিলাসটা পরে গিয়ে ভেঙ্গে গেলো । তা দেখে দুজনই চুপ হয়ে গেলো । রোজা রাগে ভুলতে ভুলতে গিলাস ভাঙ্গা ওঠাতে লাগলো । আর রনিকে যত পারে গালি দিচ্ছে । 
রাগের মাথায় কাজ করায় রোজার হাতটা হালকা কেটে গেলো । রনি তা দেখে রোজার আঙ্গলিটা নিজের মুখে নিয়ে নিলো । যত হক ভালোবাসার মানুষটার হাত ।রোজা অবাগ হলো । রোজা কিছু বলতে পারছে না । রনির এ রকম পাগলামি দেখে । রোজার ডানহাতটাই কেটে গেলো । 
রনিঃ দেখে কাজ করতে পারো না । হাতটাতো কেটে গেলো । কতটা কাটলো । দেখলে তো । রক্ত ও তো অনেকটা বাহির হলো । 
রোজাঃ চুপ 
তার পর রনি রোজাকে ঘরে নিয়ে গেলো আর হাতে ব্যান্ডিস করে দিলো । রোজা একভাবে তাকিয়ে আছে রনির দিকে । বাংলা সিনেমার মত কাহেনি। 
এর পর দুজনেই হাতমুখ ধুয়ে খেতে আসলো । রনি খাছে আর রোজা বসেই আছে ।
রনিঃ কী হলো খাছোনা কেনো
রোজাঃ চুপ 
রনিঃ কথা কী কানে যায় না নাকী 
ঃ কী ভাবে খাবো
ঃ কেনো আমি কী ভাবে খাচ্ছি
ঃ হাত দিয়ে 
ঃ তা হলে তুমিও হাতদিয়েই খাবে
ঃ হুম কিন্তু
ঃ কিন্তু কী 
ঃ আমার না হাতটা কেটে গেলো 
ঃ ও ভুলে গেছিলাম 
ঃ তা তো ভুলবেই। একটু অভিমান করে
ঃ তা এখন কী কড়বে সুনি । না খেয়ে তাকবে নাকী। নাও হা করো 
রোজা হা করলো রনি রোজার মুখের সামনে থেকে খাবার নিয়ে নিজে খেয়ে নিয়ো । তাতে তো রোজা সে কী রাগ । 
রোজাঃ ওই হারামি । আমাকে খায়িয়ে দে বলছি
রোজার রাগ দেখে রনি রোজাকে খায়িয়ে দিলো

রাগী মেয়ের ভালোবাসার গল্প পর্ব ৯

আর রনির অফিস নেই বন্ধ । তাই রনি ঘরে বসে টিভি দেখছে । তখন রোজা আসলো 
রোজাঃ gd m9
রনিঃ gd m9
ঃ কেমন আছো 
ঃ হুম ভালো তুমি
ঃ হুম ভালো । কি করাহচ্ছে 
ঃ কানা নাকী
ঃ কেনো 
ঃ কি করছি দেখতে পাও না । 
ঃ হুম । 
ঃ তো ঘুম কেমন হলো 
ঃ ভালোই তোমার 
ঃ ঘুমটাতো তুমিই হারাম করে দিয়েছো । চুপি চুপি
ঃ কিছু বলে মনে হয়
ঃ না । 
ঃ ও । আজ হঠাৎ বাসায় কেনো । অফিস নাই 
ঃ না আজ বন্ধ । 
ঃ ও নাস্তা করছো 
ঃ না 
ঃ চোলো তাহলে একসাথে নাস্তা করি 
তার পর দজনে একসাথে নাস্তা করতে গরলো । রনি খাওয়া শুরু করলো । রনি খাচ্ছে বাট রোজা খাছেনা । কেনো 
রনিঃ রোজা খাচ্ছো না কেনো 
রোজাঃ চুপ
ঃ কি হলো 
ঃ চুপ 
ঃরোজা কোন সমস্যা 
ঃ না 
ঃ তা হলে কি হয়েছে বলো 
ঃ না মানে আজকী তোমার কাজ আছে । 
ঃ না কেনো 
ঃ চলো না আজ একটু ঘুরে আসি । 
ঃ কিছু খন ভেবে হুম চলো 
রনি আর রোজা দুজন দুদিকে চলে গেলো । কারন ঘুরতে যাবে তৈরি হতে হবে না । একটা সাজুগুজুর বেপার আছে না । তাই তো তারা দুদিকে গেলো তাদের রুমে সাজুগুজু করতে । রনি পোশাক পড়ে সেই কখন দারিয়ে আছে রোজা আসবে বলে । কিন্তু রোজার কোন নাম গন্ধ নাই । রনি চিলিয়ে এই রোজা । কি হলো আসো । 
রোজাঃ দুমিনিট
রনি সেই কখন থেকে দারিয়ে আছে তবে রোজা আসছে না । তাই রনি রোজা রুমের দিকে গেলো । রনি রোজার রুমের দরোজা যেই খুলবে আর তখনি রোজা বাহির হলো । রনি রোজাকে দেখে হা হয়ে গেলো । রনি কথা বলছে না এক মনে তাকিয়ে আছে রোজার দিকে আর রোজাও রনির দিকে তাকিয়ে আছে । আজকাল হয় না ইষ্টার জলসায় । নায়ক নায়েকার দিকে তাকালে কয়েক মিনিট সেই সানটাই দেখানো হয় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে । রনির জিবনে ও তাই হলো । এই কয়েক সেকেন্ট মনে হয়লো যেন কয়েক ঘন্টার মত কাটলো । রনির হুস এলো রোজার কথায় 
রোজাঃ এভাবে দেখার কি হলো 
রনিঃ হ......হ......হ....া 
ঃ তোতলাছো কেনো 
ঃ না কিছু না চলো । 
রনিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে রোজা খুশিই হলো । 
রনি গাড়ি বের করতে যাবে রোজা মানা করলো । রোজা বলে তারা রিক্সায় ঘুরতে যাবে । রনিও রাজি । রনি রিক্সসা ডাকলো । রনি আর রোজা এক রিক্সসায় বসে আছে রনির তো বিশ্বাশ ই হচ্ছে না । 
রোজা ঃ কি ভাবছো 
রনিঃ না কিছু না 
ঃ না তুমি কিছু ভাবছিলে । 
ঃ বাদ দাও । একটা কথা বলি 
ঃ হুম 
ঃ তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে ।
ঃ tnx......তোমাকেও সুন্দর লাগছে ।
ঃ তাই 
রোজাকে আজ বেশিই সুন্দর লাগছে । কারন রোজা রনির পছন্দের সাদা রং এর শারি পরেছে । রনির যে সাদা রং পছন্দ সেটা রোজ রনির ডায়রি দেখে জানতে পারে । আরো জানতে পারে । রনি ঘুরতে ভালোবাসে । নদীর পারে বসে গোধুলি লঙ্গনো দেখতে ভালোবাসে । আরো অনেক কিছু জানতে পারে রনির সম্পকে । রোদ টা আজ একটু বেশিই মনে হয় । রিক্সসায় বসে রনি ঘামছে । 
রোজাঃ কি হলো এরকম দেখাছে কেনো 
রনিঃ না গরম লাছে । 
ঃ ও তা হলে চলো ওই পার্কে গিয়ে বসি । 
দুজনে পার্কে গিয়ে বসলো । রনি আর রোজার সামনে দু জন বসে আছে তারা মিষ্টি মিষ্টি করে প্রেমের গল্প করছে । তা দেখে রোজা একটু লজ্জা পেলো । রোজা মাথাটা নিচু করে ফেলো । রনি ও বুজতে পারলো বিষয়টা । রনি রোজার লজ্জা মাখা মুখের দিকে তাকিয়ে আছে । লাল লাল মুখ । না ভালোই দেখাছে । রনিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে 
রোজাঃ কী দেখছো । 
ঃ তোমাকে 
ঃ মানে
ঃ তোমাকে ্ মা ্ নে ওই দেখো তোমার পিছনে একটা মেয়ে বসে আছে কত সুন্দর । পরির মত । 
ঃ কই
ঃ ওইতো কত সুন্দর না 
ঃ হু সুন্দর । অভিমান করে । 
ঃ পরীর মত দেখতে তাইনা 
ঃ হুম পরীর মত । তা হলে এখন কি করবা যাও নাম্বারটা নিয়ে আসো । 
ঃ তুমি বলছো নাম্বার আনতে । 
ঃ হা আমি বলছি । যাও । একটা লুচু মানুষ 
ঃ ওই হ্যালো চুলু বলবা না ওকে 
ঃ তা হলে কী বলবো । ঘরে বৌ রেখে পরের দিকে তাকানো হচ্ছে । তোমাকে লুইচা বলবো না তো কাকে বলবো । 
ঃ ওই ঘরে বৌ মানে 
ঃ কিছু না । রাগে ফুলতাছে । 
যাক ভালোই হয়ছে । পিলাইনটি কাজে দিলো । রনি মনে মনে ভবছে । 
রনিঃ রোজা এতো মেকাপ করছো কেনো । মেকাপ করলে তোমাকে বজে লাগে 
ঃ তাতো এখন লাগবেই । আমিতো সুন্দর না । পরীর মত না ওই মেয়েটা তো পরীর মত সালার লুচু 
ঃ আবার । আমি একডম ও রকম না । 
ঃ হুম জানিতো । লেখক মানুষরা একটু লুচু প্রাকৃতিরই হয় । 
ঃ ওই সবাই এক রকম না । 
রনির মুখে হাসি দেখে রোজা
রোজাঃ রনি তুমি কী আমারে রাগে এমন করছো । 
ধরা পরে গেলাম নাকী রনি মনে মনে
রনিঃ না । তুমি ওই মেয়ের দিকে একবার তাকাও না । তার পরে দেখট তুমি বেশি সুন্দর না ওই মেয়েটা । 
ঃ না 
ঃ আরে বাবা তাকাও তো । না হলে ওই পরীর বাচ্চা উরে যাবে । 
রোজা এবার মেয়েটার দিকে তাকালো । মেয়েটাকে ে দেখে রোজার মাথায় আরো রাগ ওঠে গেলো । রোজা রনির দিকে ঘরে দেখলো রনি মুচকী মুচকী হাসতেছে । তাতে রোজার রাগ আরো বেরে গেলো । রোজা রনিকে দিলো ইচ্ছা্যমত ধুলাই সে কী মার । পার্কের সব মানুষ বিনে পয়সায় বিনেদন করতাছে । মানে রোজা আর রনির মারামারি দেখতাছে । আসলে যে মেয়েটা দেখলো না ওই মেয়েটা ছিলো কালো রং এর । মারামারি করতে করতে দুপুর হয়ে গেলো । এখন লানছ টা করার দরকার । তাই তারা একটা KFC তে গেলো । বসে আছে । ওয়েটার আসলো রোজা খাবার ওডার করলো । এবার রনির পালা । 
রনিঃ মেড্যাম যা বলেছে সেম টু সেম আনবে ওকে । 
রোজা কিছুটা অবাগ হলো । রনির দিকে তাকিয়ে আছে 
রোজাঃ সেম টু সেম মানে 
ঃ তুমি য়া খাবে আমিও তাই খাবো । খাবার এলো । দুজে খাচ্ছে । রনি একটু অন্ন রকম ভাবে খাছে যাতে করে রোজা একটু রেগে যায় । 
রোজাঃ ওই এভাবে কেও খায় নাকী 
ঃ তা হলে কেমনে খায়
ঃ আমি যে ভাবে খাছি তুমিও সে ভাবে খাও 
ঃ না আমি এভাবেই খাবো । 
ঃ কেনো । সমস্যা কী তোমার হুম 
দু জনে খাবার শেষ করলো । রোজা একটু রেগেই আছে মনে হয় । বিল দেবার সময় । রোজা অন্নদিকে তাকিয়ে আছে । 
রনিঃ বিলটা দাও
ঃ রনির দিকে তাকিয়ে । মানে আমি কেনো বিল দেবো ।
ঃ আমি চাই না কোন মেয়ে বিল দিক তবে । যেহেতু 
ঃ যেহেতু কী 
ঃ যেহেতু তোমার পছন্দের খাবার খেয়েছি তাই দিবে বিলটা । 
রোজা বিলটা দিয়ে সোজা বাহির হলো রনিকে না বলেই । এতে রনি বুজতে পারলো রোজা রেগে আছে । দুপরটা ঘুরতে ঘুরতে কালটলো । এখন রোজার রকগটাও কমেছে । বিকাল হতে চলো । 
রোজাঃ রিক্সসা ডাকো তো 
রনিঃ কেনো 
ঃ ডাকতে বলছি না 
রনি রিক্সা ডাকলো । রোজা রিক্সাওয়ালে নদীর পারে যেতে বলো । রনি কিছুটা অবাগ হলো । 
রনিঃ নদীর পারে কেনো 
ঃ এমনি ।
ঃ ও 
দুজনে নদীর পারে বসে আছে । সন্ধা হয়ে গেছে । সুর্য্যটা ও লাল হয়ে গেছে । রোজা খেয়াল করলো রনি সুর্যসুর্য্যের দিকে তাকিয়ে আছে কথা বলছে না 
সুর্য্যটা ও ডুবে গেলো । এবার বাসায় ফেরার পালা । 
বাসায় এসে ফেস হয়ে ডিনার করতব এলো । 
রনিঃ tnxxx রোজা তোমার জন্য আমার এমন একটা দিন কাটলো । 
ঃ ও ওয়েলকাম । সময় পেলে আমাকে নিয়ে যাবেতো ওখানে । আমারো অনেক দিন পর ভালো লাগলো । 
সারা দিন ঘুরে দুজনেই বেশ খুশি হয়েছে । ডিনারটা করে । দুজনে ঘুমাতে গেলো ।
রোজা ভাবছে । 
অনেক দিন পরে এমন একটা দিন কাটালো সে । রনির সাথে যদি সারা জিবন এভাবে কাটানো যেতো ।
আর এদিকে রনি ভাবছে 
কত সুন্দর না ছিলো এই দিনটা । কত ভালো কাটলো । রোজার সেই লাল লাল চেহারাটা রনি এখন দেখতে পাছে । দেখতে পাছে রোজার সেই রাগি মুখ খানা । রোজার কথা ভাবতে ভাবতে লেখক এখন ঘুমিয়ে গেছে । তাই আজ আর লেখা হবে না ।


রাগী মেয়ের ভালোবাসার গল্প পর্ব ১০

রনি ঘুম থেকেওঠলো । আজ অফিস আছে । রনি তারা তারি নাস্তা করে অফিসে চলে গেলো । রোজার সাথে দেখাও হয়নি । রোজা ঘুম থেকে ওঠে সুনতে পেলো রনি অফিসে চলে গেছে । রোজার মনটা খারাপ হয়ে গেলো । রোজা কী করবে ভেবে রনির রুমে চলে গেলো । রোজা রনির সেই ডায়রি দেখতে পেলো । রোজা হাতে নিলো । ডায়রিটা গুলো দেখলো রনি নতুন করে কিছু লিখেছে কী না । হুম লিখেছে দুলাইন । রোজা পরতে শুরু করলো । 
আচ্ছা রোজাকী আমাকে কোন দিন ভালোবাসবে না । আমিতো রোজাকে অনেক ভালোবাসি । রোজা কী সেই ভালোবাসা বুজে না । রোজা লেখা গুলো পরে বুজতে পারলো রনি তাকে অনেক ভালোবাসে । 
সারা দিন রোজা রনির কথায় মনে পরছে । রাতে রনি বাসায় আসলো । বাসায় আসতে অনেক রাত হয়েছে । তাই আর রোজাকে ডাকলো না । রনি ডিনার টা করেই ঘুমিয়ে গেয়ো । আবার সেই সকালে অফিস । এভাবে অফিস করতে করতে রোজার সাথে রনির দেখা হলো না দু দিন । আজ অফিসের কাজ নেই । রনি বাসায় চলে আসলো । রনি দেখো রোজা বেলকুনিতে দারিয়ে আছে । রনি দু মগ কফি নিয়ে রোজার পাসে দারালো । রোজা রনির দিকে একবার তাকিয়ে আবার আকাশের দাকে তাকিয়ে রইলো । রনি কফির মগটা রোজাকে দিলো রোজা কথা বলছে না । তাই রনি কফির মগটা রোজা পাসে রেখে দিলো । 
রনিঃ কফি ঠান্ডা হয়ে যাবে । 
রোজাঃ চুপ 
রনিঃ ওই হ্যালো । কফিটা ঠান্ডা হয়ে গেলে কে কে খাবে । 
ঃ জানি না 
রনি এবার বুজতে পারলো রোজা রেগে আছে । 
রনিঃ তা জানবে কেমনে । রনি কান ধরে sorry বলো
রোজাঃ sorry কেনো 
ঃ না আপনি যে রেগে আছেন তা বুজতে পারছি । তাই sorry বলাম
ঃ ও এভাবে sorry বলেই কী সব সমাধান হয়ে যাবে
ঃ তো কী করতে হবে 
ঃ আগে বলো তুমি আমার সাথে দুদিন দেখা করলে না কেনো । 
ঃ হুম আমি একটু বিজি ছিলাম তো । অফিসে পচুর কাজ ছিলো । নতুন একটা কাজ পেয়েছি । কাজটা করতে পারলে অনেক টাকা পাবো । তার সব মিটিঙ্গ করছিলাম । 
ঃও ভালো তুমি তোমার টাকা নিয়ে পরে থাকো ।
ঃসরি বলাম তো নাকী 
ঃচুপ
ঃআর কোন দিন এমন হবে না পমিজ
ঃ সত্যি
ঃ হুম সত্যি সতসত্যি সত্যি তিন সত্যি 
ঃ ওকে । 
তার পে তারা আবার আগের মত কথা বার্তা বলতে লাগলো । । রাত হলো রনি সুয়ে আছে । রনির মনে পরে গেলো রোজার চলে জাবার কথা । আজ ২৮ তারিখ । আর মাত্র ১০ দিন আছে রোজা আমার সাথে । মনির মনটা কাদতে লাগলো । 
আর এদিকে 
রোজাঃ এই রনি খাবে এসো । 
রনিঃ কথা নাই
ঃ রনি এই রনি 
বলে বলতে রনির ঘরে চলে আসলো । এসে দেখলো রনি চোখে পানি । রোজা রনিকে আগে কোন দিন কান্না করতে দেখেনি । রোজা রনির কাছে গিজে 
রোজাঃ এই রনি কান্না করছো কেনো । 
রনি প্রায় অবাগ । তারাতারি চোখের পানি মুছে 
রনিঃ এই তুমি এখানে কেনো 
ঃ তারা আগে বলো কান্না করছিলে কেনো 
রনি কি বলবে বুজতে পারছে না 
রনিঃ ন ্ া না চোখে কিছু পরলো মনে হয় 
ঃ কীই দেখি 
বলেই রনির চোখে দেখতে লাগলো । রনির সামনে রোজার সুন্দর কালো দুটো চোখ । রনির চোখে কিছু খুজছে । রনি অবাগ হয়ে রনির দিকে তাকিয়ে আছে । রনিকে এভাবে দেখে রোজা থেমে গেলো । 
রোজাঃ চোল ডিনারটা করি 
তারা দুজনেই ডিনার করলো 
রোজাঃ রনি 
ঃ হুম
ঃ আজকের আকাশটা দেখেছো 
ঃকেনো
ঃ না । আকাশ ভরা তারা জোসন ভরা রাত । 
ঃ থামো থামো কবি হয়ে গেলে নাকী 
ঃ ধুর কিযে বলো না । চলো না ছাদে যাই
ঃ এতো রাতে ছাদে । মাথা ঠিক আছে তো 
ঃ চলো বলছি 
রনিকে জোরজবরদস্তি করে নিয়ে গেলো । 
রনি আজকের আকাশটা দেখে সত্যিই অবাগ কারন আকাশে হাজারো তারা । জোসনায় সব দেখা যাছে । 
রোজাঃ হা করে আকাশ দেখা হচ্ছে বুজি
রনিঃ হা করে মানে
ঃ যে ভাবে তাকিয়ে আছো তাতে আর কী বলো 
ঃ দেখো না আকাশটা কত সুন্দর
ঃ হুম তাইলো তোমাকে নিয়ে আসলাম 
ঃ ভালো করেছো । 
তাদের গল্প করতে করতে অনেব রাত হলো । 
এভাবেই আরো কিছু দিন কহটলো।
*******************
রোজা একা একা বসে আছে । রোজার কেমন যেনো লাগছে । রনি অফিসে গেলো কিছু খন আগে । হঠাৎ রোজার ফোনে কল আগে । নাম্বারটা তো রনির
রোজাঃ হ্যালো
রনিঃ হ্যালো 
রোজা হ্যালো টা সুনে অবাগহলো এটাতো রনির কন্ঠো না 
রোজাঃ কে আপনি
রনিঃ আপনিকী মিস চৌধুরী
ঃ জ্বি
ঃও আপনি তারাতারি সিটি হাসপাতালে চলে আসেন
ঃ কেনো কী হয়ছে বলেন
ঃ স্যার একসিন্ডেন্ট করছে । আপনি তারাতারি চলে আসেন 
বলেই কলটা কেটে গেলো ।

রাগী মেয়ের ভালোবাসার গল্প পর্ব ১১

রোজা এখন কী করবে বুজতে পারছে না । রনির এসিন্ডেট টা কেমনে হলো রোজা বুজতে পারছে না । রোজা একটা ভাবতে ভাবতে সিটি হাসপিটাতে চলে আসলো । 
রোজাকে দেখেই একজন এগিয়ে আসলো । রোজা তাকে চিনতে পারলো না 
লোকটিঃ আপনি রোজা ম্যাম না
রোজাঃ জ্বী ।
ঃ আমি জাফর। আমি আপনাকে কল করছি
ঃ রনি কথায় 
ঃ স্যার কে ot তে ডোকানো হয়েছে হ 
ঃ মানে । কী হয়ছে ওর 
ঃ না ম্যাম তেমন কিছু না । 
ঃ আমি বলছি কী হয়ছে ওর 
ঃ ম্যাম......স্যার বাসা থেকে আসার সময় একটা বাস এর সাথে একসিন্ডেট করেছে । স্যারের অবস্তা মনে হয় অনেক খারাপ। 
রোজা কথা গুলো সুনেই চেম্বারের সামনে কিছু চেয়ার রাখা ছিলো । তাতে বসে পরলো । রোজার মাথা আকাশ ভেঙ্গে পরলো মনে হয় । রোজা কথা বলতে পারছে না । 
জাফরঃ ম্যেডাম সান্ত হোন । স্যার ঠিক হয়ে যাবেন । 
রোজা কিছু বলতে পারলো না । রোজার দু চোখ বেয়ে পানি পরছে । 
ot ও থেকে ডাক্তার বের হলেন । 
জাফর এগিয়ে গেনেল । রোজা এখন দেখেনি । রোজা মাথা নিচু করে কান্না করে যাচ্ছে । 
জাফরঃ ডাক্তার কেমন দেখলেন 
ডঃ o নেগেটিভ রক্ত লাগবে এখনি । 
ডাক্তারের কথা সুনে রোজা মাথু উচু করলো । 
রোজাঃ ডাক্তার যত রক্ত লাগবে আমি দেবো । আমার রক্ত o লেগেটিভ
ডাঃ হুম চলেন 
রোজা রক্ত দিলো । ot এর সব কাজ শেষ হলো । 
রোজাঃ ডাক্তার কী হয়েছে ও
ডাঃ আল্লার কাছে শুকরিয়া আদায় করুন । যে গাড়িটার গতি কম ছিলো । তা না হলে হয় তো পাটা কে কেটে ভেলতে হতো । এখন ওনি ভালো আছেন। ঘুমের ঔষুধ দেওয়া হয়েছে এখন ঘুমাছেন । 
রোজাঃ আমি কী দেখা করতে পারি । 
ডাঃ হুম তবে এখন কথা বলা যাবে না ওকে 
ঃওকে 
ঃ রোজা রুম এর ভিতরে গেলো । রনি সুয়ে আছে । মুখে মাস্কস লাগানো । একটি পা ব্যান্ডিস করা । রনি এখন ঘুমাছে । রোজা রনির পাসে বসে পড়লো ।
অনেক রাত হয়েছে । 
রনির এখন জ্ঞান আসেনি । রোজা অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে গেছে । রনির পাসেই । রনির একটি হাত ধরে । 
হঠাৎ রোজা অনুভব করলো রনির হাতটি নড়াচড়া করছে । রোজা জেগে গেলো । 
রোজা রনিকে দেখে বুজতে পারলো রনি ওঠতে চাচ্ছে । 
রোজাঃ এই ওঠার চেষ্টা করোনা চুপ চাপ সুয়ে থাকো । বুজলে । 
রনিকিছু বলতে চাচ্ছে মনে হয় 
রোজাঃ না কথা বলতে হবে না । আমি পরে সব বলবো । তুমি নড়াচড়া করো না । ওকে ঘুমিয়ে পর। বলেই রোজা রনির মাথায় হাত বোলাতে লাগলো । রনি আবার গুমিয়ে গেলো । 
সকাল হয়েছে । রোজা দেখতে পেলো সে রনির মাথার পাসে ঘুমিয়ে পরেছিলো । রোজা দেখতে পেলো রনি এখন ঘুমাছে । 
প্রায় ৮ টার দিকে রনির জ্ঞান ফিরলো । 
রনিঃ আমি এখানে কেনো । 
রোজাঃ কান্না করে দিয়ে ঃ তোমার কিছু হবে না আমি আছি না 
রনিঃ কেনো আমার কী হয়েছিলো । 
ঃ কিছু না সুয়ে থাকো তুমি ও ওঠবে না একদম ওকে 
রনি আবার সুয়ে পরলো । এবার রোজা রনিকে বল কী হয়েছিলো বলো তো । তুমি তো অফিসে যাছিলে । একসিন্ডেট কী করে হলো । 
রনিঃ হুম অফিসে তো যাছিলাম । মাঝখানে রাস্তায় একটা ছোট ছেলে পার হচ্ছিলো । আমার গাড়ির সামনে দিয়ে। ছেলেটাকে বাচাতে গিয়ে আমার গাড়িটা একটা বাস এর সাথে ধাক্কা খায় । তার পরে আমার আর কিছু মনে নেই । 
রোজাঃ ও ছেলেটাকে বাচাতে গিয়ে নিজে তো মরছিলে । একটু দেখে চলে পারো না নাকী । 
রনি কথা গুলো বলে নামতে গেলো । রনি বুজতে পারলো রনির পা অনেক ভারি ভারি লাগছে 
রনিঃ এই রোজা আমর পা আমি নারাতে পারছি না কেনো। কী হয়েছে আমার 
রোজাঃ না তেমন কিছু না । কিছু দিন পর সব ঠিক হয়ে যাবে । তোমার পায়ে একটু লেগেছে । 
একটু পর ডাক্তার এসে বলেগেলো রনিকে দু দিন পর বাসায় নিয়ে যেতে পারবে । রোজা রনির সেবা করতে লাগলো । সময় মত সব ওষুধ দিতে লাগলো । 
দু দিন পর 
আজ রনিকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে । রোজা বাসায় গেছে এসেই রনিকে নিয়ে যাবে । 
ডাক্তার রনির সেষ কিছু টেষ্ট করতে লাগলো । 
ডাঃ রনি সাহেব । আপনি খুব লাকি 
রনিঃ বুজলাম না 
ঃ মানে আপনি এমন একটা বৌ পেয়েছেন । আপনাকে মনে হয় অনেক ভালোবাসে । 
রনি কথা গুলো সুনে অবাগ হলো । 
রনিঃ কী বলছেন 
ঃ হুম সত্যি । আপনার রক্ত ও তো আপনার বৌ দিলো । এই দুদিন তো আপনার সব সেবা করছে । আপনার জন্য বাসায় একটা নার্স দিতে চেয়েছিলাম আপনার সেবার জন্য । বাট আপনার বৌ তো আপনার পাসে কাও কে যেতে দিবে না । সেই নাকী আপনার সব করতে পারবে । আর এই কয়দিন তো কত কান্নায় না করলো । আপনি সত্যি খুব লাকি । 
বলেই একটা মুচকি দিয়ে চলে গেলো । 
রনি কিছু বুজতে পারছে না । ডাক্তার কী তার কাছে সত্যি বলএ নাকী মিথ্যা । রনি ভাবতে লাগলো । 
কিছু খন পরে রোজা আসলো । রনি এখন রোজার চোখের দিকে তাকালো সত্যিই রোজার দু চোখ ফুলে গেছে । লাল হয়ে গেছে । রোজাকী সত্যি রনির জন্য কান্না করেছে । রনি ভাবতে পারছে না । য রাগী মেয়ের চোখে শুধু রনির জন্য রাগ ছিলো সে আজ রনির জন্য কান্না করছে । রনি আজ রোজার দু চোখে কোন রাগ খুজে পাছে না । রোজা হাসপিতালের সব খরচ মিটিয়ে হহ রনিকে ঘরিতে তুললো । তারা এখন বাসায় ফিরবে । কিছু লোক এসেছে তাদের সাথে রনিকে তারা ঘরের ভিতরে দিয়ে গেলো । 
রাতে । 
রোজাঃ কেমন লাগছে । 
রনিঃ হুম ভালো
ঃ নাও খাবারটা খেয়ে নাও হা করো 
ঃ রনি হা করলো রোজা রনিকে খায়িয়ে দিলো । রনি অবাগ হয়ে দেখতে লাগলো । রনিকে খাওয়াবার পরে ওষুধ দিয়ে ঘুমাতে বলো । তবে রনি আজ ঘুম আসছে না । কারন রনি আর রোজার ছয় মাস পূরন হতে আর মাত্র পাঁচ দিন বাকী আছে । রনির ঘুম আছে না । 
রোজাঃ কী হলো ঘুমাছো না কেনো 
রনিঃ এমনি । তুমি যাও ঘুমিয়ে পরো । আমি পরে ঘুমিয়ে পরবো । 
রোজা চলে গেলো । রনি অনেক ারাতে ঘুমিয়ে পরলো । 
এভাবেই আরো চার দিন কেটে গেলো । এখন রনি অনেকটাই সুস্থ । রনি এখন হাটতে পারে । রোজা আর রনি ঘরে গল্প করেই দিন কাটায় । আজকের সকালটা অনেক সুন্দর । রনি সুয়ে আছে । 
কে যেনো কলিং বেল বাজালো । 
রোজাঃ কী চাই 
লোকঃ একটা চিঠি এসেছে । 
ঃ ও 
ঃ রনি হাসেব কে ওনার জন্য হ 
ঃ হুম আমাকে দিয়ে দিন আমি দিয়ে দিবো । 
ঃ ওকে 
চিঠিটা দিয়ে লোকরি চলে গেলো । রোজা ভাবতে লাগলো রনির কাছে কে চিঠি দিবে । 
রোজা প্যাকটি খুলে দেখলো এটা আর কিছু না রনি আর রোজার ডিভোর্স পেপার...
.
.

রাগী মেয়ের ভালোবাসার গল্প পর্ব ১২

রোজা তাদের ডিভোর্স পেপার দেখা তো রোজার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরলো । রনির একসিন্ডেট এর কথা শুনেও এতোটা কষ্ট হয়নি । রোজা মনে হয় পরে যাবে । রোজা বুজতে পারলো না রনি তাকে কেনো এখন ডিভোর্স দিতে চায় । রোজার মাথা রাগ ওঠে গেলো । রোজা ভাবতে পারছে না রনি এখন রোজাকে ঘৃনা করে । রোজা ভাবলো রনি যখন তাকে চায় না তাই রোজা ভাবলো রনি ছেরে অনেক দুরে চলে যাবে । রোজা তা সব কাপরচোপর গুছিয়ে নিয়ো । আর রনির ঘরে শেষ বারের মত রোজা রনিকে দেখতে লাগলো । রনি এখন ঘুমিয়ে আছে । হয়তো রনিকে এই শেষ বারের মত দেখছে রোজা । মন ভরে দেখতে লাগলো রনিকে । চলে জাবার সময় রনির হাতের কাছে একটা চিঠি দিয়ে গেলো । রোজা চলে গেলো রোজার বাবার কাছে । আর এ দিকে রনি ঘুম থেকে ওঠে হাতের কাছে একটা চিঠি পেয়ে পরতে লাগলে । রনি আমি কোন দিন ভাবতে পারি নি তুমি আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিবে । তুমি না আমাকে ভালোবাসতে । যানো কখন যে আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি নিজেই জানি না । তবে তুমি যখন আমাকে চাও না তাই আমি তোমাকে ছেরে অনেক দুরে চলে যাচ্ছি । আর ডিভোর্স পেপারটা দিয়ে যাচ্ছি । তুমি সাক্ষর করে বাবার কাছে পাঠিয়ে দিও । ভালো থেকো । চিঠিতে তো আর কিছু লেখা নেই । রনি চিঠিটা পরে চিতকার দিয়ে রোজাকে বলে রোজা আমি এখন তোমাকে অনেক ভালোবাসি । রনি তারা তারি করে কল করে রোজাকে । না রোজার মোবাইলটাও তো বন্ধ । কী করবে এখন রনি বুজতে পারছে না । রনির অজানায় চোখ দিয়ে পানি পরছে । রনি এখন কী করবে বুজতে পাছে না । রনি এখন কী করবে । চিঠিতে এও লেখা আছে যে রোজা আজ রাত চারটার ফিল্টাইটে বিদেশ চলে যাবে রনিকে ছেরে । রনি বুজতে পারছে না রোজা সত্যিইকী রনিকে ছেরে চলে জাবে । কিন্তু কেনো । রোজর সব কথা রনির মনে পরতে লাগলো আর রনি কান্না করে ।
আর রোজা তখন থেকে কান্না করে চলেছে । রোজার বাবা কেও কিছু বলছে না 
রোজার বাবাঃ এই তুই এভাবে কান্না কেনো করছিস । আমাকে বল । 
রোজাঃ চুপ
ঃ আর এ কান্না করিস না মা । থাম না 
ঃ বাবা আমি আজ বিদেশ চলে যাবো । চারটার ফিল্টাইটে । আমি আর এখানে থাকবো না 
রোজা তার সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে এয়ারপট এর দিকে রোওনা দিলো । এখন প্রায় তিনটা বাজতে চললো । 
আর এ দিকে রনি কী করবে ভাবতে পারছে না । রনি ভাবলো শেষ বারের মত রোজার কাছে যাবে । তাই রনি তারাতারি করে রোজাদের বাসায় গেলো । রাস্তায় একটু জ্যাম পরার কারনে আদঘন্টা লেগে গেলো রোজাদের বাসায় যেতে । রোজারদের বাসায় রনি কলিংবেল বাজাতে লাগলো । দরোজাটা রোজার বাবা খুলে দিলো 
রনিঃ আ্যাকেল রোজা কথায় 
ঃ বাবা বলোত কী এমন হলো যে রোজা তোমাকে ছেরে বিদেশ চলে যাবে । 
ঃ পরে বলবো আগে বলেন রোজা কথায় 
ঃ ওতো এয়ারপোট চলে গেছে । 
রনি আবার খুরিয়ে খুরসয়ে গাড়িতে গিয়ে এয়ারপোট এর দিকে গেলো । রনি ঘরিতে দেখলো ৩:৪০ বেজে গরছে ।যে করেই হক না কেনো রোজা আটকাতেই হবে । তাকে সব কথা খুলে বলতে হবে । কথা গুলো ভাবতে ভাবতে রনি এয়ারপোটএ এসে গেলো । রনি এয়ারপোটের গেট দিয়ে ডুকে চার পাশ ভালো করে খুজে দেখলো । রনি রোজাকে কোথাও দেখতে পেলো না তবেকী রনিকে ছেরে রোজা চলে গলো ।।।


রাগী মেয়ের ভালোবাসার গল্প পর্ব ১৩ - শেষ পর্ব

রনি যখন রোজাকে এয়ার্পোটেও পেলো না । রনি ভারতে লাগলো রোজা হয়তো রনিকে ছেরে চলে গেছে । রনি নিজেই নিজেকে ছোট মনে হলো । কারন সে তার ভালোবাসা কে আজ এভাবে হারালো । রনি চাইনি রোজা তাকে এভাবে ছেরে যাক । রনিতো রোজাকে ভালোবাসতো । আর রনি রোজাকে ভুলতে পারবে না । কারন এই ছয় মাসে রোজা রনির নিশ্বাসে মিশে গেছে । রোজা হারানোর যন্তোনায় রনি কিছু ভাবতে পারছে না কী করবে সে । এখন ৪:৩০ বাজে বিকেল হয়েছে । বিকেলটা রনি একটা পার্কে কাটালো । এখন সন্ধা হয়েছে । আর রনি এখন সেই নদীর পারে বসে আছে । রোজার সাথে কাটানো সেই দিনের কথা মনে পরতে লাগলো । রনির চোখ দিয়ে অজানায় পানি ঝরছে । রনি অনেক রাত পর্যন্ত সেখানে বসে থেকে এবার বাসায় ফিরছে । 
ঘরে ডুকার সময় খেয়কল করলো দরোজা খোলা কেনো । রনির মনে পরলো হয়তো যাবার সময় বন্ধ করতে ভুলে গেছে । এবার রনি তার রুমে গেলো । 
রনি রুমে ডুকেই অবাগ হলো । রনি অনেক ভয় পেলো । মনে হয় চোখের ভুল । তাই রনি চোখটা একটু ডলে দিলো । না সবিতো আগের মতই আছে । রনি কথা বলতে পারছে না । 
রনিঃ এ ্ ্ ্ ই ্ তু ্ ্ মি 
তখনি রোজা পিছোনে ফারলো । আসলে রনি রনির রুমে ডুকে দেখলো কেও একজন্য বসে ।আছে । আর সে হলো রোজা । রোজা তো বিদেশ চলে গেছে । তো এখানে এ কে তাইতো রনি ভয় পেলো । রনির ডাকে রোজা পিছন ছিরে তাকালো । 
রোজাঃ কথায় ছিলি হুম 
রনিঃ এভাবে কথা বলছো কেনো । 
ঃ তো কি করে বলবো তোর সাথে । 
ঃ তুমি না বিদেশ চলে গেলে । 
ঃ ভালো । আমি চলে যাই আর তুই নতুন করে আবার অন্যন কাওকে বিয়ে করে না তাই না । ।আমি থাকতে তা হতে পারে না । আমি তোকে কাওকে বিয়ে করতে দিবো না । আর ডিভোর্স পেপার আমি ছিরে ফেলেছি ।
রনি অবাগ হয়ে রোজার সব কথা শুনছে । রোজা আবারো বলতে শুরু করলো । 
আমি এখান থেকে চলো যাই আর তুমি নতুন বিয়ে করে শুখে থাকো তাই না । সালার লুইচা বদমাইস । বলেই রনির ওপর ঝাপিয়ে পরলো । সেকী মার । রনিতো অবাগ হয়ে দেখছে সব । কিল গুসি । থাপ্পোর মারতে মারতে একসময় রোজা হাপিয়ে গেলো । রনির বুকের ওপর থেকে নেমে রোজা রনির পাসে সুয়ে হাপাছে । আর রনি মার খেয়ে হাপাছে । দু জন দুজনর দিকে তাকালো । তাকিয়ে কী কারণে হেসে দিলো তা জানা নেই । এবার রোজা রনির বুকের ওপর ওঠে গেলো আর অভিমানি শুরর বলছে 
রোজাঃ দেখো রনি আমি তোমাকে ছেরে থাকতে পারবো না । আমাকে ছেরে যেও না পিল্জি
রনিঃ পালগ নাকী । আমি না তোমাকে ভালোবাসি । তো কী করে ছেরে যাই তোমাকে 
ঃ তাই নাকী মিথ্যুক
ঃ কেনো কি করলাম 
ঃ তা হলে পেপারটা কী 
ঃ পেরাপটা 
ঃ হুম পেরাপ
ঃ তোমার মনে আছে ছয় মাস আগে আমাদের বিয়ে হয় । আর তার পরে তুমি আমার থেকে ডিভোর্স চেয়েছিলো । তখন এই পেরাপটার জন্য কাজী অফিস এ গিয়ে বলেছিলাম যেনো আমাদের একটা ডিভোর্স করিয়ে দেয় । তা সাধারন ভাবে নতুন বিয়ের ডাবোর্স করাতে ছয় মাস সময় লাগে । তাইয়ো ছয় মাস পর এ পেলাম 
রোজা অবাগ হলো কথা গুলো সুনে । রোজা তো সব ভুলেই গিয়েছিলো । 
রোজাঃ সরি রনি । আমাকে ক্ষমা করে দাও 
ঃ করতে পারি তবে 
ঃ তবে কী 
ঃ আমাকে একটা কিস করতে হবে তা হলেই ক্ষমা হবে 
রোজা কিস করার কথা সুনে রনিকে আবার মারতে লাগলো 
রোজাঃ দুষ্টু । আমি পারবো না 
ঃ ও ওকে আমিও ক্ষমা করবো না ।
রোজা একটু ভেব রনিকে বললো দিবো 
ঃ হুম দাও 
ঃ দিবো 
রোজা রনিকে কিস করেই দোর । মনে হয় লজ্জা পেয়েছে । 
এখন মনে হচ্ছে রনির চেয়ে সুখি মানুষ আর কেও নেই
-------- সমাপ্ত ----

সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url