গুরুত্বপূর্ন্য ৪টি নফল নামাজ ও তার ফজিলত - important prayer

 গুরুত্বপূর্ন্য ৪টি নফল নামাজ ও তার ফজিলত 

গুরুত্বপূর্ন্য ৪টি নফল নামাজ ও তার ফজিলত - important prayer
গুরুত্বপূর্ন্য ৪টি নফল নামাজ ও তার ফজিলত - important prayer

গুরুত্বপূর্ন্য ৪টি নফল নামাজ 

  1. তাহাজ্জুদ
  2. ইশরাক 
  3. চাশত 
  4. যাওয়াল

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও তার ফজীলত

নফল নামাযসমুহের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তাহাজ্জুদ নামায। 
পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরজ হওয়ার পূর্বে এ নামায ফরজ ছিলো। পরবর্তীতে তা নফল গণ্য হয়।
 এ নামায সম্পর্কে নবী কারীম (সা.) ইরশাদ করেন, 
"ফরজ নামাযের পর শ্রেষ্ঠ নামায হলো রাতের নামায (তাহাজ্জুদ)।" (জামি তিরমিযী, ১ : ৯৯) শেষ রাতে ত্রিপ্রহরের সময় (সাহরীর সময়) থেকে সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত এ নামাযের সময়।
 তবে দিনের কঠোর পরিশ্রমে যাদের শেষ রাতে ওঠা অনিশ্চিত হয়, তারা ইশার পর ঘুমানোর পূর্বে তাহাজ্জুদের নিয়তে ২/৪ রাকআত নামায পড়ে নিতে পারেন।
 এরপর সম্ভব হলে আবার শেষ রাতে ওঠে তাহাজ্জুদ পড়বেন। আর তখন না ওঠতে পারলে প্রথম রাত্রির সেই নামাযের কারণে তাহাজ্জুদের ফজীলত থেকে একেবারে মাহরূম হবেন না আশাকরি।

ইশরাক নামাজের নিয়ম ও তার ফজীলতঃ

ফজরের নামায পড়ার পর দুনিয়ার কাজকর্ম ও কথাবার্তা থেকে বিরত থেকে সূর্য ওঠা পর্যন্ত স্বীয় নামাযের জায়গায় বা (পুরুষগণ) মসজিদে অন্যকোন জায়গায় বসে কুরআন তিলাওয়াত, যিকির-আযকার তাসবীহ-তাহলীল ইত্যাদিতে লিপ্ত থাকবেন। 
অতঃপর সূর্যোদয়ের ১২/১৩ মিনিট পর সূর্য একটু উপরে উঠলে তখন ইশরাকের সময় হয়। ঐ সময় দুই রাক‘আত ইশরাকের নামায পড়লে এক হজ্ব ও এক উমরার সমান ছাওয়াব লাভ হবে বলে হাদীসে রয়েছে। (জামে তিরমিযী ১: ১৩০) এতব্যতীত আরো দুই রাক‘আতসহ মোট চার রাক‘আত পড়লে আল্লাহ তা‘আলা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার এদিনের সকল কাজের জিম্মাদার হয়ে যান বলে অপর হাদীসে উল্লেখ আছে। (জামি তিরমিযী, ১: ১০৮)।
অবশ্য যদি কেউ ফজরের নামাযের পর দুনিয়াবী কাজে লিপ্ত হয়ে যায় এবং সূর্য ওঠার পর ইশরাক পড়ে, তাও জায়িয আছে। এতেও ইশরাক আদায় হবে।

চাশত নামাজের নিয়ম ও তার_ফজীলতঃ

সূর্য যখন আকাশে এক চতুর্থাংশ ওপরে উঠে এবং সূর্যের তাপ প্রখর হয়, তখন থেকে দ্বিপ্রহরের আগ পর্যন্ত (৯টা থেকে ১১টার মধ্যে) চাশতের সময়।
 তখন দুই, চার বা আট রাক‘আত নামায পড়বেন। একে চাশতের নামায বলে। হাদীস শরীফে আছে- চাশতের দুই রাক‘আত নামাযে শরীরের সর্বমোট ৩৬০টি জোড়ার সদকা আদায় হয়ে যায় এবং সমুদ্রের ফেনার সমান গুনাহ (সগীরা) হলেও মাফ হয়ে যায়।
 অপর হাদীসে আছে- তার জন্য জান্নাতে একটি বালাখানা তৈরী করা হয়। এছাড়াও হাদীসে চাশতের নামাযের আরো অনেক ফজীলত বর্ণিত হয়েছে।  

 যাওয়াল নামাজে নিয়ম ও তার ফজিলতঃ

'যাওয়ালের নামায' নামে একটি ফজীলতপুর্ণ নফল নামায রয়েছে। এ নামায দুপুরে সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়ার সাথে সাথে আদায় করতে হয়।
 যেমন, নামাযের স্থায়ী সময়সূচি ক্যালেন্ডারে যোহরের যে শুরু ওয়াক্ত দেয়া হয়, সেটাই সূর্য ঢলার সময়। সেই সময় হওয়ার সাথে সাথে যাওয়ালের নামায হিসেবে চার রাক'আত নফল নামায পড়তে হয়।
 এ সমযের নামাযের ফজীলত হলো, এ সময় আল্লাহ তা'আলা আসমানের সব দরজা খুলে দেন এবং আছানীর সাথে সব ইবাদত-বন্দেগী ও দু’আ কবুল হয়। (জামে তিরমিযী, হাদীস নং ৪৭৮)। 

নিয়ত কি এবং কিভাবে করতে হবে?

নিয়ত অর্থ হচ্ছে “কোন কাজ করতে ইচ্ছা করা” বা “সংকল্প করা”।
 নিয়ত করতে হবে অন্তরে, মুখে উচ্চারণ করে না। এর জন্য কোনো দুয়া পড়তে হবেনা বা মুখে কোনো কিছু বলতে হবেনা। 
নামায পড়ার জন্য আপনি কোন ওয়াক্তের কত রাকাত কি নামায (ফরয/সুন্নত/নফল) পড়ছেন অন্তরে শুধুমাত্র এই ধারণা বা ইচ্ছা থাকলেই নিয়ত করা হয়ে যাবে। 
প্রত্যেক কাজের শুরুতে এইরকম অন্তরে নিয়ত করে নেওয়া “ফরয”।
আল্লাহ আমাদের কে সহিহভাবে আমলগুলো করার তৌফিক দিন, আমিন।


Tags নফল নামাজ,নফল নামাজ পড়ার সময়,নফল নামাজ কিভাবে পড়তে হয়,নফল নামাজের ফজিলত,নফল নামাজের নিয়ত,নফল নামাজের নিয়ম,নফল নামাজ পড়ার নিয়ম,নামাজ,নফল নামাজ কখন পড়তে হয়,মহিলাদের নফল নামাজ,দুই রাকাত নফল নামাজ,নফল নামাজ পড়ার নিয়ম,দুই রাকাত নফল নামাজ দেখুন,নফল নামাজের নিয়ম,নফল নামাজ দুই রাকাত পড়ার নিয়ম,দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়ম,নফল নামাজ দুই রাকাত পড়ার সহজ নিয়ম,নফল নামাজ ভিডিও,নারীদের নফল নামাজ,পুরুষের নফল নামাজ,নফল নামাজ দুই রাকাত,মেয়েদের নফল নামাজ


সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url