বেনামাজির শাস্তি - Punishment of benamaji

 যে ব্যক্তি নামাজ পড়েনা তাঁকেই বেনামাজি বলা হয়। 

বেনামাজির শাস্তি - Punishment of benamaji

বেনামাজির শাস্তি - Punishment of benamaji

আপনাকে প্রশ্ন করা হলো── আপনি নামাজ পড়েন না কেনো? আপনি বিভিন্ন অযুহাত দেখান। বলেন─ সারাদিন ব্যস্ত থাকি, চাকরী করি, ব্যবসা করি, ক্ষেতে কাজ করি ইত্যাদি ইত্যাদি। নানান ধরনের অযুহাত দেখান। অথচ আপনাকে যদি বলা হয় একবার না খেয়ে থাকতে তখন কিন্তু আর আপনি অযুহাত দেখাবেন না। আপনাকে বলা হলো─ সিনেমা দেখে আসতে, মাঠে গিয়ে খেলে আসতে তখন আপনি অযুহাত দেখান না। দুনিয়ার কাজের ক্ষেত্রে আপনার কোন অযুহাত নেই। যত অযুহাত সব আসে─ দ্বীনের কাজ অর্থাৎ আল্লাহ ও রাসূলের কাজ করতে গেলে। আপনি তো ঠিকই বলেন সময় পাইনা নামাজ পড়ার জন্য। অথচ নাটক, মুভি দেখা ও খেলাধুলা করার জন্য আপনার সময় ঠিকই হয় কিন্তু নামাজ পড়ার জন্য সময় হয় না। ধরেন─ আপনি বেনামাজি অবস্থায় মৃত্যু বরণ করলেন। আপনাকে আল্লাহ পাক যখন জিজ্ঞেস করলেন তুমি নামাজ পড়নি কেন? তখনোও কি আপনি অযুহাত দেখাবেন! আর আপনার অযুহাত তখন কোন কাজে আসবে না। আপনি বলবেন আমি অসুস্থ ছিলাম, ব্যবসা করতাম, চাকরী করতাম ইত্যাদি ইত্যাদি তাই নামাজ পড়ার সময় পাই নি এবং নামাজ পড়িনি। 



বেনামাজির শাস্তি

আল্লাহ পাক তখন বলবেন─ তুমি কি আইয়্যুব (আ.) এর থেকেও কি বেশি অসুস্থ ছিলে? তুমি কি দাউদ ও সুলাইমান (আ.) এর থেকেও কি ব্যস্ত মানুষ ছিলে! তখন আপনি কি জবাব দিবেন? আপনার কোন জবাব থাকবে কি তখন! তখন শুধু আফসোস করবেন আর বলবেন── আল্লাহ আমাকে আরেকটিবার দুনিয়াতে পাঠাও আমি আর তোমার অবাধ্য হবো না,  সবসময় তোমার ইবাদত করবো।

তখন আল্লাহ বলবেন─ তোমাকে অনেক সময় দেওয়া হয়েছিল, তুমি তা কাজে লাগাও নি। সময়ের সঠিক ব্যবহার করনি। তোমাকে আর কোন সময় দেওয়া হবেনা।

বেনামাজিকে কবরে রাখার পর সে তো তিনটি প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেই না, বরং সে বলবে আমি কিছুই জানিনা। তার কবরে আযাব শুরু হয়ে যাবে, কানা ও বয়রা ফেরেস্তা বিশাল বড় বড় হাতুড়ি দিয়ে এমন জুড়ে শরীরে আঘাত করবে তার শরীর ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ৭০হাত মাটির নিচ থেকে বিষাক্ত সাপ বের হয়ে তাঁকে ধ্বংসন করতে থাকবে। হাদিসে বলা আছে── সেই সাপগুলো এমন বিষাক্ত হবে যে─ ঐ সাপগুলো দুনিয়াতে যদি একটু নিঃশ্বাস ছাড়ে, তাহলে দুনিয়ার সমস্ত গাছ-পালা পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। তাহলে চিন্তা করে দেখুন কতটা বিষাক্ত হবে সাপগুলো!

তার কবরে দাউ-দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকবে। ফজর নামাজ না পড়ার কারণে যোহর পর্যন্ত আযাব হবে, যোহর নামাজ না পড়ার জন্য আছর পর্যন্ত। আছর নামাজ না পড়ার কারণে মাগরিব পর্যন্ত।  মাগরিব নামাজ না পড়ার কারণে এশা পর্যন্ত। আর এশার নামাজ না পড়ার কারণে ফজর পর্যন্ত আজাব হবে। এভাবে যতদিন সে নামাজ পড়েনি ততদিন তার কবরে ধারাবাহিক ভাবে আযাব হতেই থাকবে। দুনিয়ার আগুন থেকে জাহান্নামের আগুন ৬৯ গুন বেশি উত্তপ্ত হবে। কোন জাহান্নামীকে জাহান্নাম থেকে যদি দুনিয়ার আগুনে ফেলা হয়। তাহলে সে বলবে─ আমি অনেক আরামে আছি, সুখে আছি। দুনিয়ার সামান্য আগুনের তাপ গায়ে লাগলেই আমরা সহ্য করতে পারিনা। তাহলে জাহান্নামের আগুন কি করে সহ্য করবো? কখনো কি ভেবে দেখেছেন।

─ইয়া রব্বাল আলামিন, তুমি আমাদের সবাইকে জাহান্নামের আজাব থেকে হিফাজত করো এবং তোমার মু'মিন বান্দাদের কাঁতারে শামিল করো 🤲


এই পেইজের সম্পুর্ন আর্টিকেলে যে কিওয়ার্ড গুলো টার্গেট করা হয়েছে - বেনামাজির শাস্তি,বেনামাজির শাস্তি ওয়াজ,বেনামাজীর শাস্তি,নামাজ না পড়ার শাস্তি,বেনামাজির শাস্তি কি,নামাজ না পড়ার শাস্তি,নামাজের গুরুত্ব ও বেনামাজির শাস্থি,বেনামাজীর ভয়ংকর শাস্থি,বেনামাজি,বেনামাজির শাস্তি কি হবে,শাস্তি,বেনামাজির ১৫ টি শাস্তি,বেনামাজির খুব ভয়ংকর শাস্তি,বেনামাজির ভয়াবহ শাস্তি,বেনামাজির শাস্তির বয়ান,বেনামাজির শাস্তির ভয়াবহ,বেনামাজির শাস্তি কত ভয়ানক হবে,বেনামাজির ভয়াবহ ১৫ টি শাস্তি,বেনামাজির ভয়াবহ ১৫ টি শাস্তি

সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url