দ্বীনদার মেয়ের গল্প - The story of a pious girl

ভালোবাসার গল্প,ইসলামিক গল্প,দ্বীনদার বউ,দ্বীনদার স্ত্রীর গল্প,ইসলামিক গল্প কাহিনী,রোমান্টিক গল্প,দ্বীনদার স্ত্রী,ইসলামি গল্প,আলোকিত গল্প,দ্বীনদার

দ্বীনদার মেয়ের গল্প - The story of a pious girl.

আচ্ছালামু আলাইকুম প্রিয় অতিথি - নিওটেরিক আইটি থেকে আপনাকে স্বাগতম । আপনি নিশ্চয় দ্বীনদার মেয়ের গল্প - The story of a pious girl সম্পর্কিত তথ্যের জন্য নিওটেরিক আইটিতে এসেছেন । আজকে আমি দ্বীনদার মেয়ের গল্প - The story of a pious girl নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে এই আর্টিকেল সম্পন্ন করব । দ্বীনদার মেয়ের গল্প - The story of a pious girl সম্পর্কে আরো জানতে গুগলে সার্চ করুন - দ্বীনদার মেয়ের গল্প - The story of a pious girl লিখে অথবা NeotericIT.com এ ভিসিট করুন । মোবাইল ভার্সনে আমাদের আর্টিকেল পড়ুন । এই আর্টিকেলের মূল বিষয় বস্তু সম্পর্কে জানতে পেইজ সূচি তালিকা দেখুন। ওয়েব স্টোরি দেখুন

 দ্বীনদার মেয়ের গল্প পড়ার জন্য আপনারা যারা ভালোবাসার গল্প,ইসলামিক গল্প,দ্বীনদার বউ,দ্বীনদার স্ত্রীর গল্প,ইসলামিক গল্প কাহিনী,রোমান্টিক গল্প,দ্বীনদার স্ত্রী,ইসলামি গল্প,আলোকিত গল্প,দ্বীনদার স্বামী স্ত্রীর গল্প,মেয়েদের পর্দা,একজন দ্বীনদার মেয়ে যখন স্মার্ট ছেলের বউ হয়,ইসলামিক রোমান্টিক গল্প,একজন দ্বীনদার স্ত্রীর গল্প,হৃদয় ছোঁয়া ইসলামিক গল্প,ইসলামিক ভালোবাসার গল্প,বাংলা গল্প,দ্বীনদার নারীর গল্প,দ্বীনদার মেয়ে,স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প,দ্বীনদার,একজন দ্বীনদার স্ত্রী গল্প,স্বামী স্ত্রীর গল্প ইত্যাদি লিখে সার্চ করেছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল । 

দ্বীনদার মেয়ের গল্প - The story of a pious girl - neotericit.com

দ্বীনদার মেয়ের গল্প - The story of a pious girl - neotericit.com

🌹ইসলামিক গল্প 🌹

  • গল্প :- দ্বীনদার মেয়ে
  • সাঈদ আহমদ নিরব

দ্বীনদার স্ত্রীর গল্প

আহমাদুল্লাহ সুমাইয়াকে মনে প্রানে ভালবাসি ঠিক কিন্তু সে একটু অলস প্রকৃতির মানুষ।

কাজকর্ম ঠিকমত করেনা তাই অভাব-অনটন তার পিছু ছাড়ে না।

সুমাইয়া কে বিয়ে করেছে কোন পূর্বপরিকল্পনা ছাড়া কোন প্রস্তুতি ছিল না।

টাকা পয়সা হাতে নেই তবু কালবিলম্ব না করে বিয়ে করেছে সুমাইয়া কে।

কারণ আহমদুল্লাহ জানত যে সুমাইয়ার অভিভাবকরা দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে আছে কাজেই সময়কে বিয়ে করার এটাই সুবর্ণ সুযোগ আজ যদি সুমাইয়াকে বিয়ে না করতে পারি তবে আর কখনো পারব না।

কারণ তাদের মন যখন চিন্তামুক্ত হবে তখন তারা পাত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে যাচাই বাছাই করবেন তাই যেভাবেই হোক আজ ই বিয়ের কাজ শেষ করতে হবে।

শামসুর রহমান সাহেব অবশ্যই একদিন ভাবার সময় দিয়ে দিয়েছিলেন কিন্তু শেষ অব্দি আপনাদের বাড়িতে তাৎক্ষণিক বিয়ে দিতে রাজি হন।

আসাদুলের মনে যৌতুকের লোভ ছিল কি না জানা নাই।

তবে আহমাদুল্লাহ যেহেতু সুমাইয়াকে না পেয়ে পেয়েছে তাই কোন কিছু দাবি করেনি আহমাদুল্লার হাতে টাকা নেই। মহরের টাকা দিতে পারবে না তাই সুমাইয়ার কাছে প্রথমেই মাফ চেয়ে নিচ্ছে।

যেহেতু আহমাদূল্লাহ মাদ্রাসায় পড়েনি তাই মোহরের গুরুত্ব ও মোহর আদায়ের বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে অবগত নয়।

হলে যেখানে বিয়ের প্রথম রাতে স্ত্রীর হাতে মোহরের টাকা তুলে দেওয়ার কথা সেখানে স্ত্রীর নিকট মোহরের টাকা মাফ চাচ্ছে নির্লজ্জের মত।

শুধু আহমাদুল্লাহ নয় আমাদের দেশে অধিকাংশ পুরুষই বিবাহের পর স্ত্রীর সাথে যখন প্রথম সাক্ষাৎ করে তখনই স্ত্রীর নিকট মোহরের টাকার ব্যাপারে মাফ চাই।

আর স্ত্রীর সাথে সাথে তা মাফ করে দেয় এটি আমাদের দেশে একটি কুপ্রথা হয়ে গেছে।

স্বামী তার স্ত্রীকে বিষয়টি এমন সুন্দর করে বুঝাই যে স্ত্রী ভাবে মোহরের টাকা মাফ করে দেওয়াটাই আমাদের কর্তব্য।

অনেক ক্ষেত্রে তো স্বামীর ঘরে স্ত্রী পাঠাবারসময় ও অন্যান্য মেয়ে লোকেরা তাকে একথাও বলে দেয় যে তোমার স্বামী মোহর মাফ চাইলে তুমি মাফ করে দিও।

এই কুকুর তার জন্য শতকরা 99 জন মেয়েরাই মনে করে থাকে যে মোহর পাওয়ার জিনিস নয় মাফ করে দেওয়ার জিনিস বিবাহের ধরার নিয়ম আছে বলে মোহর ধার্য করা হয়।

কারণ সকল মেয়েরাই তাদের পূর্ববর্তী মেয়েদেরকে মোহর মাফ করে দিতে দেখেছে।সুতরাং স্বামী মাফ চাইলে স্ত্রী বলে মাফ করে দিলাম ভাবতেও অবাক লাগে কত বড় দৃষ্টতা কত বড় বেহায়া পনা!

কত বড় নির্লজ্জতা!!নববধূর জীবনে প্রথম স্বামী নামক পুরুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো তার কত চিন্তা কত কামনা কত বাসনা কত জল্পনা কত কল্পনা,।

স্বামী কি তার মনঃপুত হবে সে কি স্বামী  সোহাগিনী হতে পারবে ? পারবে স্বামীর মন জয় করতে?এই পরিস্থিতিতে যখন স্বামী স্ত্রীর নিকট মাফ চায় তখনই স্ত্রী ভাবে স্বামীকে যেকোন মূল্যেই সন্তুষ্টি রাখতে হবে।

যদি মোহর মাফ না করে তাহলে হয়তোবা স্বামীর মন খারাপ হতে পারে।

এই ভেবে যে নারী জানে যে মোহরানার হক সে নারী ও পরিবেশ এসে ক্ষমা করতে বাধ্য হয়।

সুতরাং শ্রীনগর মৌজা যেমন লজ্জাকর তেমনি স্ত্রীর উপর জুলুম ও বটে।

কেননা স্ত্রীকে মোহরের দেওয়া স্বামীর উপর ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেছেন,যাদেরকে বিবাহ করা হারাম তাদের ব্যতীত অন্যান্য মেয়েলোক তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে তোমরা তাদেরকে অর্থের( অর্থাৎ মোহরের )বিনিময় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে নিবে। ব্যাভিচারের জন্য নয়।বিবাহের পর তোমরা যেমন তাদের দ্বারা উপকৃত হচ্ছ তাদেরকেও তাদের প্রাপ্য মোহরের টাকা দিয়ে দাও।

(সূরা নিসা, আয়াত 24,

5 নম্বর পারা,

১ নম্বর পৃষ্ঠা)

তিনি আরো বলেছেন তোমরা স্ত্রীদের মোর সন্তুষ্টচিত্তে দিয়ে দাও তারা যদি খুশি মনে মোহরের অংশ ছেড়ে দেয় তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দে ভোগ কর।

(সূরা নিসা, আয়াত নম্বর 4,

4 পারা, 16 নম্বর পৃষ্ঠা)

হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে হযরত সাহল ইবনে সা'দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে রাসূল সাল্লাল্লাহু ইসলামের খেদমতে জৈনকা নারী এসে বলল ইয়া রাসূলাল্লাহ আমি নিজেকে আপনার নিকট সঁপে দিলাম (বিবাহের উদ্দেশ্যে ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম নিরব রইলেন । সে বহুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলো ।এমন সময় এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো , ইয়া রাসুল আল্লাহ!তার (  বিবাহের ) প্রয়োজন যদি আপনার না থাকে তবে তাকে আমার সাথে বিবাহ দিন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন তোমার নিকট এমন কিছু আছে যা তাকে মোহর হিসেবে দিতে পারে সে বলল আমার এ তহবন্দ ছাড়া আর কিছু নেই। তিনি বললেন কিছু জুটিয়া আনো। লোহার আংটি হোক না কেন । সে কিছু খুঁজে পেল না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম জিজ্ঞেস করলেন তোমার কি কিছু কোরান মুখস্ত আছে? সে বলল হ্যাঁ অমুক সুরা অমুক সুরা ।এতে তিনি বললেন তোমার যে পরিমাণ কুরআন মুখস্ত আছে তার বিনিময় তোমাকে তার সাথে দেহ দিয়ে দিলাম ।অন্য বর্ণনায় আছে যাও তোমার সাথে বিবাহ দিলাম। তুমি তাকে কোরআন শিক্ষা দাও।

(মিশকাত শরীফ, ৩০৬৪)

(বুখারী,৫১৩৫,(মুসলিম,৭৬-১৪২৫)

(আবু দাউদ,২১১১) তিরমিযি,১১১৪)

( নাছসায়ি,৩৩৩৯)।

যদি কোন ব্যক্তি মোহর পরিশোধ না করার নিয়ত করে তার ব্যাপারে এ হাদীসটি বর্ণিত আছে।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি ঈমানের বিনিময়ে মোহর নির্ধারণ করে কোন মহিলাকে বিয়ে করে এবং মনের মধ্যে নিয়ত করে তা আদায় করবে না তাহলে সে বেবিচারি আর যে ব্যক্তি ধার বাড়ি নিয়ে নিয়ত করে যে তা পরিশোধ করবে না তবে সে চোর।

যদি সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় খুশিমনে মোহরের টাকা মাফ করে দেয় তবে কোন সমস্যা নেই এবং তার স্বামীর জন্য কোন লজ্জার কারণ নয় কিন্তু স্বামী কর্তৃক স্ত্রীর নিকট মোহরের টাকা মাফ চাওয়া সর্বদাই লজ্জাজনক।

তাইতো মাসালা হলো স্ত্রীর ও অন্যান্য খরচ বহন করতে অক্ষম হলে বিবাহ করা মাকরূহ তাহরীমী। কারণ এটা বান্দার হক যদিও জেনায় লিপ্ত হওয়ার আশংকা হয় ( তথাপি বিবাহ করা জায়েজ নেই)

(ফাতওয়ায়ে শামী,২য় খন্ড, পৃষ্ঠা:২৬৭)

অধিকাংশ লোক সঠিক মাসআলা না জানার কারণে ভুল করে থাকেন ।এ কারণে আব্দুল্লাহ সাহেবের ইচ্ছা ছিল সুমাইয়াকে আলিম ও দ্বীনদার ছেলের নিকট বিয়ে দিবেন।কেননা যাদের অন্তরে আল্লাহর ভয় আছে তারা স্ত্রীর হক আদায় করে এবং সর্বদা স্ত্রীকে আরামে রাখতে চেষ্টা করে।

আর যার অন্তরে আল্লাহর ভয় নেই দ্বীনদারী নেই সে তার স্ত্রী কেবল ভোগের সামগ্রী মনে করে স্ত্রীর যেকোনো হক আছে তা সে বুঝেনা।

সুতরাং হক আদায় করবে কিভাবে?

আহমদ উল্লাহ আশা ছিলো অন্যান্য মেয়েদের মত সুমাইয়াও বলার সাথে সাথে মোহরের টাকা মাফ করে দিবে।কিন্তু সুমাইয়ার মুখ থেকে মায়ের নিকট জিজ্ঞেস করে জানাব শুনে মন খারাপ হলো তার।

পর দিন সকালবেলা,,,,,,,,,,,,,,

#চলবে?????


ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ

সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ

বিঃদ্রঃ - এই পোস্টের কিছু ছবি গুগল ফেইসবুক ও বিভিন্ন সাইট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে । কারো কোনো আপত্তি থাকলে কমেন্ট করুন - ছবি রিমুভ করে দেয়া হবে।

আপনি আসলেই নিওটেরিক আইটির একজন মূল্যবান পাঠক । দ্বীনদার মেয়ের গল্প - The story of a pious girl এর আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ । এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবস্যয় আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন । মানুষ হিসেবে না বুঝে কিছু ভুল করতেই পারি , তাই ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন এবং কমেন্ট করে জানাবেন ।

Next post Previous post
এইখানে কোন মন্তব্য নেই
এই আর্টিকেল সম্পর্কে মন্তব্য করুন

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না ।

comment url