এস ই ও অপ্টিমাইজ আর্টিকেল লেখার নিয়ম | বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম

 আপনি যদি সঠিক নিয়মে আর্টিকেল না লিখেন তাহলে হাজারটা আর্টিকেল লিখেও আপনার কোন লাভ হবে না । এস ই ও অপ্টিমাইজ আর্টিকেল লেখার নিয়ম নিয়ে এই পোস্ট ।  এস ই ও ফ্রেন্ডলি পোস্ট লেখার কিছু নিয়ম আছে । একে একে জেনে নেই।.অত কথা বলবো না মূল আর্টিকেলে চলে যায় । 

এস ই ও অপ্টিমাইজ আর্টিকেল লেখার নিয়ম - SEO Optimize Articles - NeotericIT.com

এস ই ও অপ্টিমাইজ আর্টিকেল লেখার নিয়ম - SEO Optimize Articles - NeotericIT.com । আজকের এই  আর্টিকেলে আমরা বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম  সম্পর্কে জানবো । বাংলায় যারা আর্টিকেল লিখতে চান তাদের জন্য এই পোস্টটা অনেক গুরুত্ব পূর্ন । এই আর্টিকেলের নিয়ম গুলো ফলো করলেই আপনার আর্টিকেল র‍্যাংক করবে গুগলে ইনশাল্লাহ । 

সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করা

আপনি যদি ওয়েবসাইতে আর্টিকেল লিখতে যান তাহলে আপনাকে শুরুতে সঠিক একটা কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে । সঠিক কিওয়ার্ড বলতে যে কিওয়ার্ড বা যে বাক্য লিখে মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকে । আপনাকে বেছে নিতে হবে এমন একটা কিওয়ার্ড যেইটা মানুষ গুগলে সার্চ করে কিন্তু সঠিক তথ্য গুগলে নেই এখনো । অথবা আপনি এমন একটা কিওয়ার্ড নির্বাচন করবেন যেই কিওয়ার্ড দিয়ে আপনি গুগলে থাকা আর্টিকেল গুলো থেকে আরো ভালো একটা আর্টিকেল লিখতে পারবেন । এমন একটা কিওয়ার্ড পছন্দ করবেন যেই কিওয়ার্ড সম্পর্কে আপনি ভালো কিছু সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখতে পারবেন । 

সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করার ট্রিক্স । 

একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম দেওয়া

একটি শিরোনাম একটা পোস্টের পরিচয়। শিরোনাম দেখেই আমরা বুঝি এই পোস্টে কী সম্পর্কে লেখা আছে। আর শিরোনামে মুগ্ধ হয়েই আমরা কোন পোস্ট পড়ি। তাই শিরোনাম অবশ্যই আকর্শনীয় হতে হবে এবং টার্গেট কিওয়ার্ড যুক্ত থাকতে হবে । আপনি যেই কিওয়ার্ড নির্বাচন করেছেন সেই কিওয়ার্ড দিয়েই আপনাকে একটা টাইটেল তৈরি করতে হবে । 

সুন্দর একটা ছবি যুক্ত করা

আপনার পোস্টে অবশ্যই ছবি যুক্ত করুন আর তাতে অবশ্যই কেপশন  দিবেন। লেখার মাঝে মাঝে বুঝানোর জন্য ছবি দিতে পারেন। ছবিতে রিনেম , টাইটেল, অলটার ট্যাগ ইত্যাদিতে মেইন সিলেক্ট করা কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন । ছবিতে চাইলে নিজেদের ওয়েবসাইটের ওয়াটারমার্ক ব্যবহার করতে পারেন । যদি গুগল থেকে ছবি ডাউনলোড করে যদি ব্যবহার করার অভ্যাস থাকে তাহলে ক্রিয়েটিভ কমন্স থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করবেন । 

কোন কিছু কপি করা থেকে বিরত থাকা

সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে কোন পোস্ট আসল। আর কোন পোস্ট নকল বা কপি। তাই সার্চ ইঞ্জিন কপি পোস্টকে ভালো র‍্যাংক দেয়না। কপি সৃজনশীলতার জন্য বড় বাধা। তাই কারো পোস্ট কপি করা থেকে বিরত থাকুন। হুম, তবে কারো পোস্ট থেকে ধারণা নেওয়া যেতে পারে। ধারণা নিয়ে নিজের ভাষায় লেখায়ই উত্তম।

ছোট বাক্যে পোস্ট করা

আপনার লেখা অবশ্যই ছোট ছোট বাক্যে লিখবেন। এতে ভিজিটর আপনার পোস্ট পড়তে সাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। খুব বড় বাক্যে লিখলে লেখা পড়া কষ্টকর হয়ে যায়। তাই যথাসম্ভব ছোট বাক্যে পোস্ট লিখতে হবে। এতে সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র‍্যাংক পাওয়া যাবে।

ছোট ছোট প্যারা করে পোস্ট করা

লেখা খুব বড় প্যারা করে লিখলে পড়তে কষ্ট হয়। এতে সার্চ ইঞ্জিনে খারাপ প্রভাব পড়বে।

তাই ৩-৫ টা বাক্যে একটা প্যারা শেষ করার চেষ্টা করবেন। এতে ভালো সার্চ ভিজিটর পাওয়া যাবে।


কী ওয়ার্ড ডেন্সিটির দিকে খেয়াল রাখা

আপনার প্রধান কী ওয়ার্ড বেচে নিন। যেমনঃ এই পোস্টের প্রধান কীওয়ার্ড “এসইও ফ্রেন্ডলি পোস্ট“।

চেষ্টা করবেন আপনার পোস্টের ভিতর প্রধান কীওয়ার্ড যাতে বেশি কতে থাকে। আমার পোস্টে “এসইও ফ্রেন্ডলি পোস্ট” লেখাটা অনেকবার আছে। তার মানে এই পোস্টে কীওয়ার্ড ডেন্সিটি অনেক বেশি।


আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিসিট করুন । 


রিলেটেড কীওয়ার্ড রিসার্চ করা

আপনার কীওয়ার্ডের রিলেটেড কীওয়ার্ড বেচে নিন। যেমনঃ আমার রিলেটেড কীওয়ার্ড “বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম” ইত্যাদি। গুগলে কোন একটা কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করার পর দেখতে পারবেন একদম নিছে আরো ৮টা অতিরিক্ত কিওয়ার্ড দেখাচ্ছে যেগুলো আপনার সেই সার্চ করা কিওয়ার্ডের সাথে মিলে যাবে । এগুলোই রিলেটেড কিওয়ার্ড । 


তথ্যপূর্ণ পোস্ট করা

যত তথ্য তত ভিজিটর। আপনার পোস্ট যত বড় করে লিখবেন তত বেশি তথ্য পোস্টে দিতে পারবেন। আর সার্চ রেজাল্টে তত ভালো র‍্যাংক পাবেন। আপনি সঠিক তথ্য দিয়ে আর্টিকেল লিখতে গেলে আর্টিকেল একটু বড় হবে এবং আপনার ভিসিটর আপনার আর্টিকেল পড়ে সঠিক ধারনা নিতে পারবে । কমপক্ষে ৭-১০ প্যারা এবং ১০০০ শব্দ লেখার চেষ্টা করুন। এতে ভিজিটর আপনার লেখা বিষটি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবে।

সাব হ্যাডিং ব্যবহার করা

আপনার পোস্টে কিছুক্ষন পর পর সাব হ্যাডিং ব্যবহার করুন। এতে এসইও আরো উন্নত হবে। সাব হ্যাডিং একটু মোটা লেখা হয়। নিচের স্ক্রিনশট দেখুন। আপনি চাইলে গুগলে সার্চ করার পর সেই রিলেটিভ কিওয়ার্ড গুলোকে সাব হেডিং হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ।  এই পোস্টে মোটা অক্ষরে লেখাগুলো হচ্ছে সাব হ্যাডিং। এভাবে সাব হ্যাডিং দিন। সাব হেডিং এইস টি এম এল h2 দিয়ে দিবেন । আপনি যদি সেই সাব হেডিং এর নিছে আরো একটা সাব হেডিং দিতে চান তাহলে h3 দিবেন । 

বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম ও গুগলে আর্টিকেল র‍্যাঙ্ক করার উপায় সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন । 

অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক লিংক দেওয়া ( Internal and External )

আপনি যেই সম্পর্কে লিখবেন তার সম্পর্কিত অন্যান্য ওয়েবসাইটের কিছু পোস্টকে লিংক করুন। এতে ভিজিটররা আরো বেশি কিছু জানার সুযোগ পাবে। লেখার ভিতরে লিংক দিতে হবে। সরাসরি লিংক দেওয়া থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকুন। আপনার সাইটের আগের কিছু পোস্টকেও লিংক করুন। এতে ইউজার অ্যাংগেজমেন্ট বাড়বে। পোস্টের নিচে “আমার সাইট ঘুরে আসুন” এই ধরণের লেখা বা লিংক দেওয়া যাবেনা। দুইটা এক্সটারনাল লিঙ্ক ডুফলো এবং একটা এক্সটারনাল লিঙ্ক নোফলো দেওয়া ভালো প্রতি হাজার শব্দের মধ্যে । ইন্টারনাল লিঙ্ক ৩/৪ টা দেওয়া যাবে । এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে দেখুন 

একটি ব্লগ পোস্টে কতগুলি অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক লিঙ্ক থাকা উচিত ? 

ভিন্ন শব্দে প্যারা শুরু করা

প্রত্যেক প্যারা শুরু করতে আলাদা শব্দ ব্যবহার করুন। একই শব্দে বাক্য শুরু করা এসইও ফ্রেন্ডলি নয়। তাই ভিন্ন ভিন্ন শব্দ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। উপরের নিয়মগুলো মেনে পোস্ট করলে আপনার পোস্ট গুগলে র‍্যাং করবে। আর প্রচুর ভিজিটরও পাবেন। চেষ্টা করুন  ভিন্ন শব্দ ব্যবহার করার । যত ভিন্ন শব্দ ব্যবহার করবেন তত আপনার আর্টিকেল গুগল ভালো করে বুঝতে পারবে । এতে আপনার আর্টিকেল র‍্যাংক করতে সাহায্য করবে এই ভিন্ন শব্দ । 





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url