বিজয় দিবস নিয়ে বিখ্যাত কবিতা | বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি | বিজয় দিবসের কবিতা ২০২২

প্রিয় বন্ধুরা নিওটেরিক আইটির নতুন আর্টিকেলে আপনার জন্য বিজয় দিবস নিয়ে বিখ্যাত কবিতা নিয়ে হাজির হয়েছি । ১৬ ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস জাতীয় জীবনে অপরিসীম গুরুত্ব ও তাৎপর্যমণ্ডিত । কেননা ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামে লাখো শহীদের আত্মদান আর কোটি মানুষের অশ্রু বিসর্জনের মাধ্যমে বাঙালি জাতি বিজয়ের গৌরব অর্জন করেছে । পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটেছে । বাঙালি জাতি পেয়েছে বীরের খেতাব । বিশ্বে হয়েছে অনন্য । মুক্তিযুদ্ধের তৎকালীন প্রসঙ্গ, যুদ্ধ জয়ের স্মৃতি,বিজয়ের গৌরব গাঁথা চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে সমকালীন অনেক কবি সাহিত্যিকদের লিখনীতে ।
বিজয় দিবস নিয়ে বিখ্যাত কবিতা - বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি - বিজয় দিবসের কবিতা ২০২২ - bijoy dibos - NeotericIT.com

বিজয় দিবস নিয়ে বিখ্যাত কবিতা - বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি - বিজয় দিবসের কবিতা ২০২২ - bijoy dibos - NeotericIT.comবিজয় দিবস নিয়ে বিখ্যাত কবিতা - বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি - বিজয় দিবসের কবিতা ২০২২ - bijoy dibos ইত্যাদি নিয়ে আজকের এই পেইজের এই পোস্টে আলচনা সম্পন্ন করা হবে । বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি করার জন্য সুন্দর ও সেরা কিছু কবিতা খুজতেছেন তাদের জন্য আজকের আইয়োজন এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা ২০২২ সালের সেরা বিজয় দিবসের কবিতা ২০২২ খুজে পাবেন । 

বিজয় দিবস নিয়ে বিখ্যাত কবিতা

বিজয় দিবস নিয়ে বিখ্যাত কবিতা খুজার জন্য যারা পাগল হয়ে আছেন তারা এই আর্টিকেলের শেষ অব্দি দেখতে থাকুন । মূলত এই কবিতাগুলো আপনারা মহান বিজয় দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে ব্যবহার করতে পারবেন। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর আমাদের বাংলাদেশের যখন স্বাধীনতা পেয়েছিল সেই সময় অনেক কবি বাংলাদেশকে নিয়ে বা বিজয় দিবসকে নিয়ে অনেক ধরনের কবিতা লিখেছেন। সেই সময়ে বাংলাদেশে ভাসছিল আনন্দের জোয়ার এবং সকল এতটাই খুশি ছিল যে ঘরে ঘরে ঈদের খুশির মতো দিন উদযাপন করেছে সবাই। এখনো বাংলাদেশেই ১৬ ডিসেম্বর আসলে মহান বিজয় দিবসের জমজমাট আয়োজন প্রতিটি ঘরে ঘরেই হয়ে থাকে। আজকে আমরা আপনাদেরকে এই দিনের অনুষ্ঠানে আপনারা কোন কবিতাগুলো আবৃত্তি করতে পারেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।

বিজয় দিবস

( মাশায়েখ হাসান )

৭১’এর এই দেশেতে


হানাদার হানা দেয়।

দেশকে স্বাধীন করতে বাঙ্গালী

অস্ত্র তুলে নেয়।

৭১’এর এই দিনেতে

হয় সীমাহীন যুদ্ধ।

যার কাহিনী শুনলে মোদের

শ্বাস হয়ে যায় রুদ্ধ।

৩০ লক্ষ শহীদ আর

মা-বোনের বিনিময়।

স্বাধীন বাংলাদেশ এর ঘটে

উদার অভ্যূদয়।

বিজয়ের দিন

( তাসনিয়া আহমেদ )

বাংলাদেশে পাক-শাসনের আসন যেদিন টলে,

সেদিনটাকে আজকে সবাই ‘বিজয় দিবস’ বলে।

বিজয় কিন্তু অনেক দামী; সহজলভ্য নয়।

মুক্তিসেনা বিজয় আনে জয় করে সব ভয়।

 

লাল সবুজের পতাকাটার আজকে খুঁটি শক্ত;

আনতে সেটা,বীর সেনারা দিয়েছিলো রক্ত।

বাংলা মায়ের বীর ছেলেরা ভয় পায়না মোটে।

তাদের ত্যাগে মোদের মুখে বিজয় স্লোগান ফোটে।

পাগলী মা’টা

( জনি হোসেন )

ফিরে এল বিজয় দিবস

নেইতো খোকা ঘরে,

সেই যে গেল আর এলোনা

যুদ্ধে একাত্তরে।

স্বপ্ন বোনে পাগলী মা’টা

ফিরবে খোকা কবে,

ফুলেল মালা গলে দিবে

ফুল ঝরে যায় টবে।

ছেলে আসবে,আসবে ছেলে

পাগলী মা’টা চ্যাঁচায়,

পাগলী মা’টা রুক্ষ সুক্ষ

যত্ন নিতে কে চায়?

প্রতিবারে বছর শেষে

বিজয় যখন আসে,

ছেলে হারা পাগলী মা’টা

দাঁত খিলিয়ে হাসে।

১৬ ই ডিসেম্বর

( তানজিম এ আল আমিন )

বছর ঘুরে আবার এলো ষোলই ডিসেম্বর

বিজয় গানে উঠলো মেতে মানুষ আপামর।

একাত্তর এর সেই সে বিজয়

করলো স্বাধীন সকল হৃদয়

শোষন ত্রাসন করলো বিদায়

করলো নতুন সূর্য উদয়

সেই সূচনায় আমরা সবাই স্বাধীন নিরন্তর,

বছর ঘুরে আবার এলো ষোলই ডিসেম্বর।

১৬ই ডিসেম্বর

( অন্তু সরকার প্রণব )

১৬ই ডিসেম্বর এলে

মনটা আমার কেমন কেমন করে

সোনার ছেলেরা যে যুদ্ধে গিয়ে

আর ফেরেনি ঘরে।

পাক হানাদারদের ওই হাতে

মরলো মানুষ দিনে রাতে

দেশের জন্য জীবন দিয়ে

শহীদ হলো তারা তাতে।

নয় মাস যুদ্ধ করে

সব হানাদার হলো শেষ

সৃষ্টি হলো এক নতুন দেশের

দেশের নামটি বাংলাদেশ।

এই বিজয়ের মাঝেও যে

অনেক কষ্ট আছে

জীবন দিয়ে লাখো মানুষ

শহীদ হয়ে গেছে।

৪২ বছর পরে এসে

ষোলই ডিসেম্বরে

দেশকে মোরা কী দিয়েছি

দেখি হিসাব করে।

দেশের মানুষ থাকুক ভালো

মিলিয়ে কান্না হাসি

আসো সবাই একটু হলেও

দেশকে ভালোবাসি।


বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি

বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি স্কুল কলেজে করার জন্য এইখান থেকে সুন্দর কিছু কবিতা পড়তে পারেন । ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে অনেক কর্মসূচি ও অনুষ্টান পালিত হয় প্রতিটা স্কুল কলেজে । এই দিনে অনেকে ভিবিন্ন অনুষ্টানে কবিতা আবৃতি করতে চাই । তদের কথা চিন্তা করেই নিয়ে এলাম কিছু সুন্দর কবিতা । 

বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি ১


“মুক্তির মন্দির সোপানতলে

কত প্রাণ হল বলিদান,

লেখা আছে অশ্রুজলে ।।

কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা,

বন্দীশালার ওই শিকল ভাঙ্গা

তাঁরা কি ফিরিবে আজ সু-প্রভাতে,

যত তরুণ অরুণ গেছে অস্তাচলে।।

যাঁরা স্বর্গগত তাঁরা এখনও জানেন

স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভুমি

এসো স্বদেশ ব্রতের মহা দীক্ষা লভি

সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণ চুমি।

যাঁরা জীর্ণ জাতির বুকে জাগালো আশা,

মৌন মলিন মুখে জোগালো ভাষা

আজি রক্ত কমলে গাঁথা মাল্যখানি

বিজয় লক্ষ্মী দেবে তাঁদেরই গলে। “

আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ

সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা

বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি ২


যখন সুখ মানে,দেখছি অনাহারে কোটি মানুষের দিন কাটছে অনিদ্রায়

যখন স্বাধীনতা মানে,কোটি মানুষ কাঁদছে পরাধীনতায়

এ দেশ ভুল পথে বিকৃত,ভাঙ্গা হাতে লাঞ্ছিত,কৃষকের স্বপ্ন ধূসর,বিবর্ণ

যখন রাজনীতি মানে,হাজার প্রতিশ্রুতি,আর স্বপ্ন দিন বদলের

যেখানে গনতন্ত্র মানে রাজপথে ছুটে চলা নীল মার্সিডিস

যখন প্রতিবাদ মানে দাউ দাউ করে জ্বলছে মানুষের লাশ

যখন আন্দোলন মানে টকশোতে দুটো গালি শুনে,রাজনীতির মুন্ডুপাত

আর হাসি মুখে মেনে নেয়া শত অবিচার

যখন ক্ষণিকের দেশপ্রেম থেকে বিজয় মিছিল স্মৃতিসৌধে

আর প্রতিজ্ঞা,দেশকে ভালোবাসার

তখন চলুক,যেমন চলেছে………..

সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা

বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি ৩


পৃথিবীর বুকে দুটিমাত্র দেশ যারা কিনা স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করার পর বিজয় ছিনিয়ে আনে।

একটি হল বর্তমান বিশ্বের প্রাধান্য বিস্তারকারী যুক্তরাষ্ট্র।

আর অন্য আরেকটি হল আমার প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ।

শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বাংলার সেসব দামাল ছেলেদের যারা কিনা নিজের জীবনের থেকে বেশি ভালবেসেছে দেশকে।যাদের ত্যাগের জন্য আমরা আমাদের দেশ নিয়ে এতটা গর্ব করতে পারি।অদম্যশক্তি মনের মধ্যে রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পাই।

সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা

বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি ৪


স্বাধীনতা তুমি

রবিঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান।

স্বাধীনতা তুমি

কাজী নজরুল, ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো

মহান পুরুষ, সৃষ্টিসুখের উল্লাসে কাঁপা

স্বাধীনতা তুমি

শহীদ মিনারে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির উজ্জ্বল সভা

স্বাধীনতা তুমি

পতাকাশোভিত শ্লোগান-মুখর ঝাঁঝালো মিছিল।

স্বাধীনতা তুমি

ফসলের মাঠে কৃষকের হাসি।

স্বাধীনতা তুমি

রোদেলা দুপুরে মধ্যপুকুরে গ্রাম্য মেয়ের অবাধ সাঁতার।

স্বাধীনতা তুমি

মজুর যুবার রোদে ঝলসিত বাহুর গ্রন্থিল পেশী।

স্বাধীনতা তুমি

অন্ধকারে খাঁ খাঁ সীমান্তে মুক্তিসেনার চোখের ঝিলিক।

স্বাধীনতা তুমি

বটের ছায়ায় তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর

শাণিত কথার ঝলসানিলাগা সতেজ ভাষণ।

স্বাধীনতা তুমি

চাখানায় আর মাঠে ময়দানে ঝোড়ো সংলাপ।

স্বাধীনতা তুমি

কাল বোশেখীর দিগন্তজোড়া মত্ত ঝাপটা।

স্বাধীনতা তুমি

শ্রাবণে অকূল মেঘনার বুক

স্বাধীনতা তুমি পিতার কোমল জায়নামাজের উদার জমিন।

স্বাধীনতা তুমি

উঠানে ছড়ানো মায়ের শুভ্র শাড়ির কাঁপন।

স্বাধীনতা তুমি

বোনের হাতে নম্র পাতায় মেহেদীর রঙ।

স্বাধীনতা তুমি

বন্ধুর হাতে তারার মতন জ্বলজ্বলে এক রাঙা পোস্টার।

স্বাধীনতা তুমি

গৃহিণীর ঘন খোলা কালো চুল,

হাওয়ায় হাওয়ায় বুনো উদ্দাম।

স্বাধীনতা তুমি

খোকার গায়ের রঙিন কোর্তা,

খুকীর অমন তুলতুলে গালে

রৌদ্রে খেলা।

স্বাধীনতা তুমি

বাগানের ঘর, কোকিলের গান,

বয়েসী বটের ঝিলিমিলি পাতা,

যেমন ইচ্ছে লেখার আমার কবিতার খাতা।

সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা

বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি ৫


জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় বাংলা বাংলার জয়

হবে হবে হবে হবে নিশ্চয়

কোটি প্রাণ এক সাথে জেগেছে অন্ধ রাতে

নতুন সূর্য ওঠার এই তো সময়

জয় বাংলা বাংলার জয়

জয় বাংলা বাংলার জয়

বাংলার প্রতি ঘর ভরে দিতে চাই মোরা অন্নে

আমাদের রক্ত টগবগ দুলছে মুক্তির দীপ্ত তারুণ্যে

নেই ভয়

হয় হোক রক্তের প্রচ্ছদপট

তবু করি না করি না করি না ভয়

জয় বাংলা বাংলার জয়

জয় বাংলা বাংলার জয়

অশথের ছায়ে যেন রাখালের বাঁশরি হয়ে গেছে একেবারে স্তব্ধ

চারিদিকে শুনি আজ নিদারুণ হাহাকার আর ওই কান্নার শব্দ

শাসনের নামে চলে শোষণের সুকঠিন যন্ত্র

বজ্রের হুংকারে শৃঙ্খল ভাঙতে সংগ্রামী জনতা অতন্দ্র

আর নয়

তিলে তিলে বাঙালির এই পরাজয়

আমি করি না করি না করি না ভয়

জয় বাংলা বাংলার জয়

জয় বাংলা বাংলার জয়

ভুখা আর বেকারের মিছিলটা যেন ওই দিনদিন শুধু বেড়ে যাচ্ছে

রোদে পুড়ে জলে ভিজে অসহায় হয়ে আজ ফুটপাতে তারা ঠাঁই পাচ্ছে

বার বার ঘুঘু এসে খেয়ে যেতে দেবো নাকো আর ধান

বাংলার দুশমন তোষামোদী-চাটুকার সাবধান সাবধান সাবধান

এই দিন

সৃষ্টির উল্লাসে হবে রঙিন

আর মানি না মানি না কোনও সংশয়

জয় বাংলা বাংলার জয়

জয় বাংলা বাংলার জয়

হবে হবে হবে হবে নিশ্চয়

কোটিপ্রাণ একসাথে জেগেছে অন্ধরাতে

নতুন সূর্য ওঠার এই তো সময়

জয় বাংলা বাংলার জয়

জয় বাংলা বাংলার জয়

সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা

বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি ৬


পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে

পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে

রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল

জোয়ার এসেছে জন-সমুদ্রে

রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল।।

বাঁধন ছেঁড়ার হয়েছে কাল,

হয়েছে কাল, হয়েছে কাল।।

শোষণের দিন শেষ হয়ে আসে

অত্যাচারীরা কাঁপে আজ ত্রাসে

রক্তে আগুন প্রতিরোধ গড়ে

নয়া বাংলার নয়া শ্মশান, নয়া শ্মশান।

আর দেরি নয় উড়াও নিশান

রক্তে বাজুক প্রলয় বিষাণ

বিদ্যুৎ গতি হউক অভিযান

ছিঁড়ে ফেলো সব শত্রু জাল, শত্রু জাল।

সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা 🙂

শুভ জন্মদিন বাংলাদেশ…….

ভালো থেকো বাংলাদেশ…

আমার এই বাংলাদেশ…..

সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা 🙂

“মুক্তির মন্দির সোপানতলে

কত প্রাণ হল বলিদান,

লেখা আছে অশ্রুজলে ।।

কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা,

বন্দীশালার ওই শিকল ভাঙ্গা

তাঁরা কি ফিরিবে আজ সু-প্রভাতে,

যত তরুণ অরুণ গেছে অস্তাচলে।।

যাঁরা স্বর্গগত তাঁরা এখনও জানেন

স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভুমি

এসো স্বদেশ ব্রতের মহা দীক্ষা লভি

সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণ চুমি।

যাঁরা জীর্ণ জাতির বুকে জাগালো আশা,

মৌন মলিন মুখে জোগালো ভাষা

আজি রক্ত কমলে গাঁথা মাল্যখানি

বিজয় লক্ষ্মী দেবে তাঁদেরই গলে। ”

আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ।

সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা

বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি ৭


লাল সবুজের স্মৃতি ঘেরা নিশান আমার উড়ে।
কিনেছিলাম রক্ত দিয়ে বিজয় ডিসেম্বরে।
মাগো তোমার চোখের জলে,
জয় বাংলা ধ্বনি তুলে,
হাজার ছেলে প্রাণ দিল ঐ নতুন আশার ভোরে।
রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয় ডিসেম্বরে।

মাগো তুমি হায়েনা ভয়ে কাঁদছ দেখে তাই।
তোমার ছেলে ঘর ছেড়েছে তোমায় দিতে ঠাই
বিশ্বমাঝে উচ্চাসনে,
পাক বাহিনীর নির্যাতনে,
আর হবেনা শোষণ, এবার তোমার আপন ঘরে।
রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয় ডিসেম্বরে।

বিজয় দিবসের কবিতা ২০২২

২০২২ সালের বিজয় দিবস উপলক্ষে সেরা কিছু সুন্দর কবিতা নিয়ে হাজির হলো নিওটেরিক আইটি । 


মুক্তির ছড়া


আমার বাংলা তোমার বাংলা, সোনার বাংলাদেশ
সবুজ সোনালি ফিরোজা রুপালি, রূপের নাই তো শেষ
আমি তো মরেছি যতবার যায় মরা
নবীন যাত্রী তোমাকে শোনাই ছড়া
এদেশ আমার এদেশ তোমার, সবিশেষ মুজিবের
হয়তো অধিক মুক্তি পাগল সহস্র শহীদের

বিজয় এলো পাখির গানে



বিজয় এলো বাংলাদেশে পাখির গানে গানে
সেই কথাটি একটি পাখি বললো কানে কানে
পাখির গানে মুগ্ধ হয়ে যুদ্ধ হলো শেষ।
পাখির ডানায় লেখা ছিলো স্বাধীন বাংলাদেশ
স্বাধীন দেশের সেই সে পাখি হারিয়ে গেছে ভীড়ে
বিজয়ের দিনে আয়না বন্ধু, আয়না আবার ফিরে
বিজয়ের দিনে আয়না বন্ধু,আয়না আবার ফিরে।

লাল সবুজের স্মৃতি ঘেরা নিশান আমার উড়ে।


কিনেছিলাম রক্ত দিয়ে বিজয় ডিসেম্বরে।

মাগো তোমার চোখের জলে,

জয় বাংলা ধ্বনি তুলে,

হাজার ছেলে প্রাণ দিল ঐ নতুন আশার ভোরে।

রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয় ডিসেম্বরে।

মাগো তুমি হায়েনা ভয়ে কাঁদছ দেখে তাই।

তোমার ছেলে ঘর ছেড়েছে তোমায় দিতে ঠাই

বিশ্বমাঝে উচ্চাসনে,

পাক বাহিনীর নির্যাতনে,

আর হবেনা শোষণ, এবার তোমার আপন ঘরে।

রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয় ডিসেম্বরে।

এসো খোকা এসো খুকু

ঘুমিয়ে থেকো না আর

তাকিয়ে দেখ সম্মুখে তোমার

মুক্ত আলোর দুয়ার।

চলো খোকারা চলো খুকুরা

হও প্রাণ উচ্ছল

জাতি হিসেবে স্বাধীন তোমরা

রেখো দৃঢ় মনোবল।

তোমাদের পিতা তোমাদের মাতা

ছিলো এ দেশেরই সন্তান

স্বাধীন করতে এ দেশ তারা

করেছেন জান কোরবান।

তাদেরই আশিস পেয়েছো তোমরা

গড়ে তুলবে এ দেশ

সাজিয়ে দিও বাংলাদেশেরে

প্রাণ করে নিঃশেষ।

যখন সুখ মানে,দেখছি অনাহারে কোটি মানুষের দিন কাটছে অনিদ্রায়

যখন স্বাধীনতা মানে,কোটি মানুষ কাঁদছে পরাধীনতায়

এ দেশ ভুল পথে বিকৃত,ভাঙ্গা হাতে লাঞ্ছিত,কৃষকের স্বপ্ন ধূসর,বিবর্ণ

যখন রাজনীতি মানে,হাজার প্রতিশ্রুতি,আর স্বপ্ন দিন বদলের

যেখানে গনতন্ত্র মানে রাজপথে ছুটে চলা নীল মার্সিডিস

যখন প্রতিবাদ মানে দাউ দাউ করে জ্বলছে মানুষের লাশ

যখন আন্দোলন মানে টকশোতে দুটো গালি শুনে,রাজনীতির মুন্ডুপাত

আর হাসি মুখে মেনে নেয়া শত অবিচার

যখন ক্ষণিকের দেশপ্রেম থেকে বিজয় মিছিল স্মৃতিসৌধে

আর প্রতিজ্ঞা,দেশকে ভালোবাসার

তখন চলুক,যেমন চলেছে………..

16 ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস কবিতা

16 ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস কবিতা দেখার জন্য যারা গুগল সার্চ করেই যাচ্ছেন সকাল থেকে শুধু অসাধারন একোতা কবিতা খুজে পাওয়ার জন্য । তাদের জন্যই এই নিওটেরিক আইটির অসাধারন কবিতা নিয়ে হাজির হলো ।/ 


ঘুম ভাঙ্গে রোজ

-সাজজাদ হোসাইন খান

বেগুন ফুলে প্রজাপতির হাসি

কোথায় আছে এমন মজার বাঁশি

ভর দুপুরে রাখালিয়া বাজায় হেসে হেসে,

ধানের ক্ষেতে টিয়া পাখির মেলা

আসমানে যার নীল ধবলের ভেলা

হেলে দুলে জমায় পাড়ি, পাহাড় ঘেঁষে ঘেঁষে।

জোছনা মাখা চাঁদের সাদা ডিম

রাত নিশীথে ঝরায় কেমন হিম

সিক্ত করে ফুলপরীদের রঙিন যত পাখা,

অনেক ভোরে সূর্যমামা হাঁটে

উদাস করা যোজন যোজন মাঠে

সাতটি রঙের চেরাগ যেন উপুড় করে রাখা।

সরষে ফুলে হলদে হিরণ নাচে

কোন সে দেশের এমন শোভা আছে

রূপেতে যার হাজার কবি শব্দেরই জাল বোনে,

মন উড়ে যায় মাছরাঙাদের ভিড়ে

পাতার ফাঁকে টুনটুনিদের নীড়ে

ঘুম ভাঙে রোজ মুয়াজ্জিনের দরাজ গলা শুনে।

স্বাধীনতার ঋণ

-রওশন মতিন

বিজয় রথে আসাদের শার্টে উড়িয়ে নিশান,

দুঃশাসনকে রুখে দিতে প্রতিবাদের ঐক্যতান।

এদেশটা কার, উত্তাল বাংলা জাগ্রত জনতার,

বীর ইসা খাঁ, সূর্যসেন, তিতুমির আর অগ্নিবীণার।

অকুতোভয় বঙ্গবন্ধু মুক্তচিত্ত অটল দীপ্ত,

বজ্রকণ্ঠে মুক্তির দিশা, স্বাধীনতার জন্য ক্ষিপ্ত।

যে রোদ্দুরে দস্যি ছেলে তেপান্তরে উড়ায় ঘুড়ি,

অবাক চোখে তাকিয়ে দ্যাখে, মুক্ত ডানার উড়াউড়ি,

সে কি জানে লাল-সবুজের এগিয়ে চলার বিজয় গাঁথা,

তার বুকে কি মেলছে ডানা লাল-সবুজের স্বাধীনতা।

দিন কি কেবল বদলে যাওয়া দিন বদলের দিন,

এই আলোতে উদ্ভাসিত বিজয় দীপ্ত স্বাধীনতার ঋণ।

বিজয় আমার

— এ কে আজাদ

বিজয় আমার

পতাকার রং

মানচিত্রের রেখা,

বিজয় আমার

আনন্দ ঘন

ভিটে-মাটি ফিরে দেখা।

বিজয় আমার

স্মৃতির মিনার

সৌধ চূড়ার গান,

বিজয় আমার

স্বাধীন দেশের

সুখভরা অফুরান।

স্বাধীনতা তুমি

– কাজী আবুল কাসেম রতন

স্বাধীনতা তুমি

বাংলা দেশের

বাংলা মায়ের

শুভেচ্ছা।

স্বাধীনতা তুমি

দাদুর মুখে

রূপকথারই

সু-কিচ্ছা

স্বাধীনতা তুমি

সূর্যে ভাষা

রক্তিম হেম।

স্বাধীনতা তুমি

মুক্তি সেনার

মুক্ত প্রেম।

স্বাধীনতা তুমি

উড়ে যাওয়া,

স্বাধীন পাখির

প্রত্যাশা।

স্বাধীনতা তুমি

প্রিয় জনতার

প্রেম প্রীতি জয়

ভালবাসা।

বিজয় দিবস

— মোস্তফা কামাল সোহাগ

ডিসেম্বরের ষোল তারিখ

বিজয় দিবস হয়

এই বিজয়টা ছিনে আনতে

লক্ষ প্রাণ ক্ষয়।

বিজয় দিবস এলে আমরা

দেশের গান গাই

রাজপথে বিজয় মিছিল

দেখে সুখ পাই।

বিজয় দিবসে বিজয় নিশান

দেখে মন ভরে

আনন্দে সব মাতোয়ারা

বাংলা মায়ের ঘরে।

যুদ্ধ করে জীবন দিয়ে

বিজয় আনলো যারা

সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান

ইতিহাসে তারা।

বিজয় দিবসের ছোট কবিতা

বিজয় দিবসের ছোট কবিতা বলার জন্য স্লোগানে অনেকে খুজে থাকেন তারা চাইলে এই স্লোগানের মতো ২ লাইনের কবিতাগুলো মুখস্ত করে রাখতে পারেন । এতে কোন বক্তব্যে কিংবা অনুষ্টানে কথার লাইনের মধ্য দিয়ে বলে দিতে পারবেন এই কবিতার লাইন গুলো । 



৪৭-এ দেশ ভাগে, জন্ম নিলো দু'টি দেশ
তারপরও দিনগুলো বেশ আনন্দের ছিলো
৭১ মার্চের ৭ তারিখে মুজিব দিলেন ভাষণ
নড়ে উঠোলো, কেঁপে উঠলো সমস্ত বিশ্ব।

কি ঘটেছিল ১৯৭১ এ? আমি তো দেখিনি
বিজয়ও দেখিনি, তবে জানি ১৬ ডিসেম্বর
মানচিত্রে জায়গা নিলো নতুন বাংলাদেশ
হিংস্র হানাদার, রাজাকার, আলবদরেরা
প্রান নিলো সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।

বিজয়টা পেতে লাগলো এক সাগর রক্ত
মার্চ থেকে ডিসেম্বর ন'মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ
৫৬ হাজার বর্গমাইলের স্বাধীন সীমারেখা
বৈষম্য, অর্থনৈতিক মুক্তি মিলেনি আজও

আমি স্বপ্নের কথা বলতে চাই-
আমি সুন্দরের কথা বলতে চাই-
আমি মানুষের কথা বলতে চাই-
আমি কণ্ঠ উঁচু করে বলতে চাই-
বিজয় হয়েছে, আমাদের বিজয়।

দিন শেষে লিখতে লিখতে যা হলো
সম্ভবত সেটি একটি কবিতা ।



১৬ ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের আরো আর্টিকেল

বিজয় দিবসের দেশাত্মবোধক গান | জনপ্রিয় দেশাত্মবোধক গান | বিজয়ের গান - bijoyer gan বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ব্যানার | মহান বিজয় দিবসের ব্যানার | বিজয় দিবস ব্যানার - bijoy dibosh banner বিজয় দিবস ব্যানার ডিজাইন | বিজয় দিবসের ব্যানার ব্যাকগ্রাউন্ড | বিজয় দিবস শুভেচ্ছা ব্যানার ছবি বিজয় দিবস নিয়ে বিখ্যাত কবিতা | বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি | বিজয় দিবসের কবিতা ২০২২ বিজয় দিবসের ছবি ডাউনলোড | বিজয় দিবসের ছবি অংকন | বিজয় দিবসের দৃশ্য আঁকা ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস নিয়ে কবিতা, ছন্দ, স্ট্যাটাস , উক্তি , চিঠি, বক্তব্য ইত্যাদি ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা | বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ব্যানার | বিজয় দিবসের ছবি আঁকা
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url