অনলাইন জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই | জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড | জন্ম নিবন্ধন যাচাই অনলাইন চেক - jonmo nibondhon

 আপনি কি আপনার হাতে থেকে জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আছে কিনা কিংবা জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনুসন্ধান করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে ভুলবেন না। কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে খুব সহজ একটা প্রক্রিয়া শেয়ার করতে যাচ্ছি যেটার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবেন।

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই - জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড - jonmo nibondhon - NeotericIT.com


জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এই পর্বে ।  মূলত আজকের এই আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই করা সম্পর্কে। অর্থাৎ কিভাবে আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং আপনার সঠিক জন্য তারিখটি দিয়ে আপনার জন্ম নিবন্ধনটি অনলাইনে আছেন কিনা চেক করবেন এই বিষয়ে জানতে পারবেন আজকের এই আর্টিকেল।


জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই করার নিয়ম

শুধুমাত্র আপনার হাতে থাকা জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং আপনার জন্ম তারিখ কি দিয়ে চেক করতে পারবেন আপনার জন্ম নিবন্ধনটি অনলাইনে আছে কিনা। যেটাকে আমরা অন্য ভাষায় jonmo nibondon online check বলে থাকি। সুতরাং আপনার জন্ম নিবন্ধনটি ডিজিটাল কিংবা অনলাইনে আছে কিনা এটা চেক করতে আজকে দেওয়া সমস্ত প্রক্রিয়া ভালোভাবে অনুসরণ করুন।


এটা সবচেয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কেননা কম বেশি আমরা সকলেই জানি বর্তমান এই আধুনিক কোন একটা কিছু করার ক্ষেত্রে ই জন্ম নিবন্ধন কিংবা এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন পড়ে। তাছাড়া আমরা এটাও জানি যে জন্ম নিবন্ধন এবং এনআইডি কার্ড এগুলো অনলাইনে থাকতে হয় এবং অনলাইনে চেক করা যায়।


সুতরাং আমি আবার বলছি আপনি যদি এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করবেন। কেননা না হলে পরবর্তীতে আপনার অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে, তো নীচে দেওয়া সমস্ত স্টেপস গুলো ভালোভাবে ফলো করুন।


সুতরাং আপনি যদি আপনার জন্ম সনদটি অনলাইনে আছে কিনা সেটা চেক করতে চান তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম যেতে হবে everify.bdris.gov.bd এই ওয়েবসাইটে। এখানে প্রবেশ করে আপনার যে ১৭ ডিজিটের জন্ম সনদ নাম্বারটি রয়েছে সেটা বসাতে হবে। এবং আপনার জন্ম তারিখটি সঠিকভাবে বসাতে হবে।


আসলে মূলত বাংলাদেশের মধ্যে যে সকল নাগরিক রয়েছে তাদের প্রত্যেকের জন্ম সনদ অনলাইনে দেখা যায়। যার জন্য প্রয়োজন জন্ম সনদের যে ১৭ ডিজিটের নাম্বারটা রয়েছে সেটা এবং সঠিক জন্ম তারিখ। কেননা প্রত্যেকটা নাগরিকের জন্ম সনদ মূলত অনলাইন ডাটাবেসে এভেলেবল থাকে।


তাছাড়া আমরা অনেক সময় একটা বিষয় লক্ষ্য করি অনেকের যে জন্ম নিবন্ধন নাম্বারটা রয়েছে সেটা 16 ডিজিটের। সুতরাং আপনারটাও যদি 16 ভিজিটের হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সেটাকে ১৭ ডিজিটে রূপান্তরিত করতে হবে। তাই আপনারটাও যদি 16 ভিজিটের হয় তাহলে সেটা কিভাবে ১৭ ডিজিটাল রূপান্তরিত করবেন এ বিষয়ে অনেক আর্টিকেল পাবলিশ করা রয়েছে সেখান থেকে দেখে নিতে পারেন।


আগেরকার সময় যখন জন্ম নিবন্ধন করা হতো তখন মূলত ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌরসভার একটা রেজিস্টার খাতাতে লেখা থাকতো। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রত্যেক জন্ম নিবন্ধন কে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধনে রূপান্তরিত করতে সেগুলোকে অনলাইন ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হয়। তাই মূলত তখন থেকেই যে সকল বাংলাদেশ নাগরিকের জন্ম সনদ অনলাইনে এভেলেবেল রয়েছে তাদের সকলের জন্ম সনদকে ডিজিটাল জন্ম সনদ বলা হয়।


আরো পড়ুন ঃ ভোটার আইডি কার্ড চেক 


১৬ ডিজিটের জন্ম সনদ নাম্বার ১৭ ডিজিট করার নিয়ম


আপনার জন্ম নিবন্ধনের যে নাম্বারটা রয়েছে সেটা যদি ১৬ ডিজিটের হয় তাহলে আপনি কোনভাবে চেক করতে পারবেন না অনলাইন থেকে। তাই অবশ্যই আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বারটি অনলাইনে চেক করার ক্ষেত্রে ১৭ ভিজিটের হতে হবে। তো কিভাবে আপনি 16 ডিজিট থেকে ১৭ ডিজিট করবেন এই বিষয়ে এখানে বলা হবে।


আমাদের মধ্যে এমন অনেক ব্যক্তি আছে যাদের জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ১৬ ডিজিটের। মূলত এই সমস্যাটা কয়েকটা কারণ হয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে আমাদের জন্ম সনদ গুলো আগে কোন একটা ইউনিয়ন পরিষদের রেজিস্টার খাতাতে লেখা ছিল। পরবর্তীতে যখন এগুলো অনলাইন ডাটাবেসে রূপান্তরিত করা হয় তখন হয়তো আপনার ১৭ ডিজিটের নাম্বারটা ভুলে ১৬ ডিজিট হয়ে গেছে।


আরো পড়ুন ঃ সহজেই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম


তো এখন যদি আপনার ১৬ ডিজিট নাম্বারটা কে ১৭ ডিজিট করতে চান তাহলে একটা পদ্ধতি রয়েছে সেটা হচ্ছে, আপনার ১৬ ডিজিটের যে নাম্বারটি রয়েছে তার শেষ ৫ ডিজিট এর পূর্বে একটা ০ বসিয়ে দিন। মূলত এই পদ্ধতিতেই আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ১৬ ডিজিট থেকে ১৭ ডিজিট করতে পারবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।


জন্ম নিবন্ধন যাচাই yyyy mm dd 


আমাদের মধ্যে আবার অনেকে আছেন যারা কিনা google এর মধ্যে লিখে সার্চ করে জন্ম নিবন্ধন যাচাই yyyy mm dd এটা কেন লিখে সার্চ করে এটা হয়তো আমি জানিনা। তবে এতটুকু বলা সম্ভব হয়তো কম বেশি আমরা সকলেই জানি অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার ক্ষেত্রে আপনার জন্ম তারিখ ঠিক দিতে হয়। 


ঠিক সেই জন্ম তারিখ দেওয়ার সময় একটা ফরমেট রয়েছে আর সেটা হচ্ছে yyyy mm dd এইরকম। আশা করি হয়তো এটার ভিত্তিতে অনেকেই উপরে দেওয়া টাইটেল লিখে গুগলে সার্চ করে। সুতরাং আপনি যদি এই বিষয় সম্পর্কে আরেকটু বেশি জানতে চান তাহলে নিচের প্যারাটা খুব ভালোভাবে পড়ে নিন।


আপনি যদি জন্ম নিবন্ধন যাচাই yyyy mm dd করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম everify.bdris.gov.bd/এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। তারপর সেখানে আপনার জন্ম নিবন্ধনের মধ্যে যে নাম্বারটি রয়েছে সেটা প্রবেশ করিয়ে দিন। তারপর দ্বিতীয় বক্স যেটি রয়েছে সেখানে আপনার জন্ম তারিখ সঠিকভাবে বসিয়ে দিন। এবং শেষ বক্সে একটা ক্যাপচা পূরণ করে ফেলুন উপরে দেওয়া প্রশ্ন অনুযায়ী।


ঠিক উপরে দেওয়ার সমস্ত স্টেপ গুরু যখন আপনি পূরণ করে ফেলবেন তখন আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন টা খুব সহজে দেখতে পাবেন। যদি দেখতে পান অনলাইনে আছে আপনার জন্ম তখন মনে করবেন আপনার জন্ম নিবন্ধনটি আসলেই একটি ডিজিটাল জন্ম সনদ।


জন্ম নিবন্ধন যাচাই অনলাইন চেক apps


জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে চেকিং বা যাচাই করার জন্য অন্য তোমার একটা পদ্ধতি হচ্ছে জন্ম নিবন্ধন যাচাই অনলাইন চেক অ্যাপস। কেননা এই পদ্ধতিতে যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আছে কিনা এটা চেক করেন তাহলে আপনাকে কোন প্রকার ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে হচ্ছে না।


কেননা আমি যে উপরে পদ্ধতিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি সে অনুযায়ী যদি আপনার জন্ম নিবন্ধনটা চেক করার চেষ্টা করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে কোন একটা ব্রাউজার ওপেন করে সেখানে নির্দিষ্ট একটা ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে হবে। যেটা কিনা অ্যাপসের মাধ্যমে করার ক্ষেত্রে আপনাকে করতে হচ্ছে না।


সুতরাং আপনি যদি আপনার জন্ম সনদটা অনলাইনে আছে কিনা এটা চেক করার জন্য এই অ্যাপ্লিকেশন গুলো ব্যবহার করেন তাহলে আপনার জন্য সুবিধায় বটে। তার জন্য আপনি গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে সে সমস্ত অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে পারে। আপনি খুব সহজে ব্যবহার করতে পারবেন বলে আমি মনে করি।


কেননা সেই সমস্ত অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যেও আমার ওপরে দেখানো নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং আপনার সঠিক জন্ম তারিখটি দিয়ে চেক করতে হবে। ওহ, সবশেষে আপনাকে একটা ক্যাপচা পূরণ করতে হতে পারে। সুতরাং এই সমস্ত কাজ কমপ্লিট হয়ে গেলে আপনি অ্যাপের মাধ্যমেও আপনার জন্ম সনদ যাচাই করতে পারবেন।


জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি ডাউনলোড pdf - জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড


আপনি কি জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করতে চান ? আপনি যদি উপরের সমস্ত প্রক্রিয়া অবলম্বন করার মাধ্যমে দেখতে পান আপনার জন্ম‌ সনদ অনলাইন এর মধ্যে রয়েছে, তখন বুঝবেন আপনার জন্ম সনদটা ডিজিটাল জন্ম সনদ। এখন আপনি যদি সেখান থেকে ডাউনলোড করতে চান তাহলে খুব সহজে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন pdf আকারে।


তবে হ্যাঁ একটা বিষয় মাথায় রাখবেন সেটা হচ্ছে আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কিনা অরিজিনাল যে জন্য নিবন্ধন টা রয়েছে সেটা ডাউনলোড করতে চাই। দুর্ভাগ্যবশত আপনি ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌরসভা ব্যতীত অনলাইন থেকে অরিজিনাল জন্ম নিবন্ধন ডাউনলোড করতে পারবেন না কিংবা সংগ্রহ করতে পারবেন।


সুতরাং অনলাইন থেকে আপনি যে জন্ম সনদ টা ডাউনলোড করতে পারবেন সেটা হচ্ছে ডিজিটাল জন্ম সনদ। এইটা আপনি কিভাবে ডাউনলোড করতে পারেন একটা হচ্ছে কিওয়ার কোড সহকারী অফারটা হচ্ছে কিউআর কোড ব্যতীত।


সুতরাং আপনি যদি ডাউনলোড করতে চান তাহলে উপরের দেওয়া প্রক্রিয়া অনুযায়ী চেক করার পরে সেখান থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। ডাউনলোড করার জন্য চেক করার পরে আপনার কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ থেকে ফ্রিন্ট কমান্ড‌ (ctr+f) print to PDF সিলেক্ট করে আপনি খুব সহজেই পিডিএফ আকারে ফাইলটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।


যদি আপনার কম্পিউটারের মধ্যে প্রিন্ট টু পিডিএফ হিসেবে ডাউনলোড করার অপশন না থাকে তাহলে আপনি ডকুমেন্ট ফাইলকে পিডিএফ আকারে কনভার্ট করতে পারবে। তার জন্য গুগল এর মধ্যে অনেকগুলো কনভার্টার রয়েছে সেগুলো থেকে ট্রাই করতে পারেন। এই পদ্ধতি ছাড়া আর কোন পদ্ধতি অ্যাভেলেবেল নেই জন্ম নিবন্ধন যাচাই কপি পিডিএফ ফাইল হিসেবে ডাউনলোড করার জন্য।

১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই

১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই সম্পর্কে জানতে পারবেন নিওটেরিক আইটির এই পর্ব থেকে । 


উপসংহারঃ আজকের আমার লেখা জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনুসন্ধান করার নিয়ম সম্পর্কে এই আর্টিকেলটি যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু বান্ধব কিংবা আত্মীয়-স্বজনের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন। যেন তারাও এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা জেনে নেয়। ধন্যবাদ ।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url