জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম | সর্দির ট্যাবলেট এর নাম - sordir tablet name

সর্দি কাশির সমস্যা শীতকালে একটু বেশি হয়ে থাকে।ঠান্ডা লেগে শীতে সর্দির সৃষ্টি হয়ে থাকে। সর্দি হলে নাক দিয়ে ক্রমাগত জল বের হতে থাকে এবং অনেকের নাক বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে নিঃশ্বাস নিতে অনেকের কষ্ট হয়। সর্দি যখন যায় না না তখন অনেকেই সর্দি দূর করার ঔষধ বা সর্দির ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে জানতে চান। নিওটেরিক আইটির আজকের এই নতুন আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন সর্দি ট্যাবলেট এর নাম, জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নামকাশির ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে।  তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাকঃ- 


জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম - সর্দির ট্যাবলেট এর নাম - কাশির ট্যাবলেট এর নাম - জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম - Jor sordi kashi medicine name - NeotericIT.com


আপনারা যারা জ্বর , কাশি ও সর্দির সমস্যায় ভুগছেন তারা নিশ্চয় গুগলে সন্ধ্যান করছেন নতুন একটা সুন্দর সলুশনের জন্য । তাই আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্কিত সঠিক তথ্যের জন্য যা যা করা দরকার সব আলোচনা করেছি এই পেইজে।

সর্দির ট্যাবলেট এর নাম

সর্দির ট্যাবলেট খাওয়ার মাধ্যমে সর্দির সমস্যা অনেকটা সেরে যায়। রোগী যখন অতিরিক্ত ঠান্ডা জনিত সর্দির সমস্যায় ভুগে থাকেন ডাক্তার তখন সর্দির ট্যাবলেট দিয়ে থাকেন।সর্দির প্রাথমিক অবস্থায় কোন ট্যাবলেট গুলো খেলে ভালো হবে তা তুলে ধরা হলোঃ-


১.হিস্টামিন 

হিসটামিন এলার্জির ঔষধ হলেও সর্দি দূর করার জন্য হিস্টামিন ওষুধ টি দারুন কার্যকর।সর্দি শুরু হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে হিস্টামিন ঔষধ সেবন করার মাধ্যমে সর্দি অনেকাংশে সেরে যায়। যেকোনো ঔষধের ফার্মেসি থেকে হিস্টামিন ঔষধ পাওয়া যাবে। হিস্টামিন ঔষধের পিস বা ভিস্টামিন ট্যাবলেট এখন ৫ টাকা করে নেওয়া হয়ে থাকে।তাই সর্দি দূর করার জন্য হিস্টামিন ট্যাবলেট খেতে পারেন। 


২.হিস্টালেক /Histalex

হিস্টালেক ঔষধটি ঠান্ডা কাশি হলে রোগীদেরকে ব্যবহার করার জন্য বলা হয়ে থাকে। এই ওষুধটি বা ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে সর্দি কাশির সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাছাড়া এলার্জির সমস্যা কমাতেও ট্যাবলেটটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।


৩.ডেসলর

সর্দি দূর করার জন্য ডেসলর ট্যাবলেট নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে।অনেক ডাক্তার রোগীকে ঠান্ডা জনিত সমস্যার প্রথম পর্যায়ে ডেসলর tablet দিয়ে থাকেন।ডেসলর ট্যাবলেট কিছু দিন খেলেই সর্দি-জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সরাসরি ফার্মেসি থেকে ডেসলর ট্যাবলেট ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা যেতে পারে। 


৪.Cefotil(250)

অনেকেই স্কয়ার গ্রুপের সর্দির ট্যাবলেট খুঁজে থাকেন। স্কয়ার গ্রুপের সর্দির ট্যাবলেট মধ্যে এই ট্যাবলেটটি অনেক ডাক্তার রোগীকে ব্যবহার করার জন্য বলে থাকেন। এই ট্যাবলেট টি সাধারণত সর্দি কাশির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।তাই সর্দি কাশির মতো সমস্যাগুলোকে দূরে রাখতে উক্ত ট্যাবলেট নিয়মমাফিক খাওয়া যেতে পারে। 


৫.Carva

যাদের ঘনঘন সর্দি কাশি ও ঠান্ডার মতো সমস্যার লেগে থাকে তাদের জন্য এই ওষুধটি সেরা হতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী carva ঔষধ সেবন করার ফলে সর্দি কাশির মতো সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই সর্দি দূর করার জন্য এই ট্যাবলেটটি সেবন করা যেতে পারে।ট্যাবলেটটি যেকোনো ঔষধের ফার্মেসি থেকে সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে হবে। 



জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম

প্রিয় বন্ধুরা জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম কি বা কোন এন্টিবায়োটিক সেবন করলে ভালো হবে এই নিয়ে অনেকের প্রশ্ন রয়েছে।প্রচন্ড পরিমাণে জ্বর এবং ঠান্ডার সমস্যা থাকলে ডাক্তার রোগীকে অনেক ক্ষেত্রে সেফট্রিয়াক্সন ও ফ্লুক্লক্সাসিলিন এন্টিবায়োটিক ঔষধ দিয়ে থাকে।তবে অবশ্যই সাধারণ ঔষধ খেয়ে যদি জ্বর সর্দি কাশির মত সমস্যা ঠিক হয়ে যায় তাহলে কখনোই অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করবেন না। কেননা এন্টিবায়োটিক সেবন করার রয়েছে অনেক ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।তাছাড়া যদি কখনো জ্বরের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন। 


জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম

অনেক ক্ষেত্রে আমাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের ফলে জ্বর এসে থাকে। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনের জন্য জ্বর আসলে ডাক্তার রোগীদেরকে বিশেষ কিছু এন্টিবায়োটিক সেবন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন।জ্বরের অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ গুলোর মধ্যে রয়েছে 

  • সেফিক্সিম (ক্যাপসুল),
  • সেফুরক্সিম + ক্লাভুলানিক এসিড,
  • সিপ্রোফ্লক্সাসিন, 
  • এজিথ্রোমাইসিন ইত্যাদি

তবে দীর্ঘদিন ধরে জ্বর থাকলে অবশ্যই জ্বরের লক্ষণ ভেদে ও টেস্ট করার মাধ্যমে জ্বরের ঔষধ সেবন করা উচিত। এতে খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে জ্বরের সঠিক চিকিৎসা করা যায় এবং শরীরের কোন ধরনের ক্ষতি সাধন হয় না।



কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম - কাশির ট্যাবলেট এর নাম

ঘনঘন কাশি খুবই বিরক্তিকর একটি সমস্যা। অনেকে শীতকালে এই সমস্যাটা বেড়ে গিয়ে থাকে।যখন প্রাথমিক চিকিৎসার মাধ্যমে কাশি প্রতিরোধ করা যায় না তখন রোগীদেরকে বিশেষ কিছু ঔষধ সেবন করা পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কাশির চিকিৎসায় অ্যালকফ কফজেল ট্যাবলেট খুবই কার্যকারী একটি ঔষধ। ধূমপান, হাঁপানি ও এমফিসেমা দ্বারা সৃষ্ট কাশির ক্ষেত্রে এই ট্যাবলেটটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এই ওষুধটি মস্তিষ্কের সংকেত গুলোকে প্রভাহিত করে কাশির প্রতিফলন কে ট্রিগার করে থাকে। 



বাচ্চাদের সর্দি হলে কি খাওয়া উচিত ? 

বাচ্চাদের সর্দি হলে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব এর চিকিৎসা করানো উচিত। ঘরোয়া কিছু টোটকা রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে অনেক সময় বাচ্চাদের সর্দি সেরে যায়। বাচ্চাদের সর্দির প্রথম অবস্থাতে আদা ও মধুর সিরাপ খাওয়ানো যেতে পারে। কাশি ও সর্দি দূর করতে এই দুটি উপাদানে বিশেষ কার্যকরী। ছয় মাসের বেশি বয়সী কোন বাচ্চাদের সর্দি কাশি হয়ে থাকলে আদা দিয়ে তৈরি সিরাপ খাওয়ানো যেতে পারে। এতে করে খুবই ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। তাছাড়া আদার সাথে ব্যবহৃত মধু অ্যান্টি মাইক্রোবিয়ল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ সমৃদ্ধ যা সাধারণত সর্দি-কাশির সমস্যা দূর করতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। 


বাচ্চাদের সর্দি কাশির ঔষধের নাম 

বাচ্চাদের সর্দি কাশির সমস্যা একবার এলে যেন আর যেতে চায় না। বাচ্চাদের সর্দি-কাশি সাধারণত অনেক কারণেই হয়ে থাকে।বিশেষ করে সিজন পরিবর্তন, জীবাণুর কারণে, ফ্যানের বাতাস সরাসরি বুকে লাগা, মায়ের ঠান্ডা লাগা আরো অনেক কারণে বাচ্চাদের সর্দি কাশির মত সমস্যাগুলো সৃষ্টি হতে পারে। এই ক্ষেত্রে ডাক্তার বাচ্চাদেরকে বিশেষ কিছু ঔষধ খাওয়ানোর জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে বাচ্চাদের কাশি ও সর্দি-জনিত সমস্যাগুলোর জন্য সিরাপ খাওয়ানোর প্রয়োজন পড়ে।


তুসকা প্লাস, এডোভাস, ambox, মধুভাস, রেমো কফ এই সকল সিরাপ গুলো সাধারণত বাচ্চাদের সর্দি কাশি প্রতিরোধ করার জন্য ডাক্তার ব্যবহার করে থাকেন। অর্থাৎ এই সিরাপ গুলো কিছুদিন খাবার মাধ্যমে বাচ্চাদের ঠান্ডা কাশির সমস্যা দূর হয়ে থাকে। তাছাড়া যদি সিরাপ খেয়ে বাচ্চাদের ঠান্ডা কাশি সমস্যা না যায় তাহলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। 


শেষ কথা

আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা সর্দির  ট্যাবলেট এর নাম বা সর্দি কাশি হলে কোন ঔষধ খেতে হবে এই বিষয়ে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন।এই সকল ঔষধ গুলো সেবন করার পরেও যদি সমস্যা গুলো থেকে মুক্তি পাওয়া না যাই তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে। পোস্টটি পড়ে যদি কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝতে কোন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে বা এই বিষয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ। 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url