ফিতরা কত টাকা ২০২৩ | বাংলাদেশের ফিতরা কত ইসলামিক ফাউন্ডেশন | ফিতরা দেয়ার নিয়ম - fitra calculation

ফিতরা কত টাকা ২০২৩ - বাংলাদেশের ফিতরা কত ইসলামিক ফাউন্ডেশন - ফিতরা দেয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা জরুরি যদি আপনি ফিতরা এখনো দিয়ে না থাকেন

ফিতরা কত টাকা ২০২৩ | বাংলাদেশের ফিতরা কত ইসলামিক ফাউন্ডেশন | ফিতরা দেয়ার নিয়ম - fitra calculation.

আচ্ছালামু আলাইকুম প্রিয় অতিথি - নিওটেরিক আইটি থেকে আপনাকে স্বাগতম । আপনি নিশ্চয় ফিতরা কত টাকা ২০২৩ | বাংলাদেশের ফিতরা কত ইসলামিক ফাউন্ডেশন | ফিতরা দেয়ার নিয়ম - fitra calculation সম্পর্কিত তথ্যের জন্য নিওটেরিক আইটিতে এসেছেন । আজকে আমি ফিতরা কত টাকা ২০২৩ | বাংলাদেশের ফিতরা কত ইসলামিক ফাউন্ডেশন | ফিতরা দেয়ার নিয়ম - fitra calculation নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে এই আর্টিকেল সম্পন্ন করব । ফিতরা কত টাকা ২০২৩ | বাংলাদেশের ফিতরা কত ইসলামিক ফাউন্ডেশন | ফিতরা দেয়ার নিয়ম - fitra calculation সম্পর্কে আরো জানতে গুগলে সার্চ করুন - ফিতরা কত টাকা ২০২৩ | বাংলাদেশের ফিতরা কত ইসলামিক ফাউন্ডেশন | ফিতরা দেয়ার নিয়ম - fitra calculation লিখে অথবা NeotericIT.com এ ভিসিট করুন । মোবাইল ভার্সনে আমাদের আর্টিকেল পড়ুন । এই আর্টিকেলের মূল বিষয় বস্তু সম্পর্কে জানতে পেইজ সূচি তালিকা দেখুন। ওয়েব স্টোরি দেখুন

ফিতরা কত টাকা ২০২৩ নিয়ে নিওটেরিক আইটিতে পরিপূর্ন আলোচনা করা হয়েছে । আপনারা যারা ফিতরা এখনো আদায় করেননি জেনে নিন জন প্রতি কতটাকা ফিতরা আদায় করতে হবে এবং কাদের ফিতরা দিতে হবে । কাদের উপর ফিতরা ওয়াজিব সম্পুর্ণ আলোচনা করা হয়েছে এই ওয়েবসাইটের এই আর্টিকেলে । 

ফিতরা কত টাকা ২০২৩ - বাংলাদেশের ফিতরা কত ইসলামিক ফাউন্ডেশন - ফিতরা দেয়ার নিয়ম - fitra calculation


ফিতরা কত টাকা ২০২৩

২০২৩ সালে ফিতরার হার প্রতিজনে সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা থেকে শুরু করে সর্বচ্চ ২৬৪০ টাকা নির্ধারণ করেছে জাতীয় ফিতরা নির্ধারক কমিটি।ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারক কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। উক্ত সণার মাধ্যমেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে জনপ্রতি ফিতরার সর্বনিম্ন ও সর্বচ্চ যথাক্রমে ৭৫ ও ২৩১০ টাকা ছিল।নিসাব পরিমাণ ধন সম্পদের মালিক হলে মুসলমান নারী পুরুষ উভয়ের সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে। এবারও সর্বসম্মতিকমে ইসলামী শরীয়ত মতে গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক উন্নতমানের আটা খেজুর কিসমিস পনির ও যব সহ যে কোন একটি দিয়ে ফিতরা দেয়া যাবে।


ফিতরা কত টাকা ২০২৩ ইসলামিক ফাউন্ডেশন

প্রিয় পাঠক ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মনতরণালয় এর অধিনসত সরকারি প্রতিষ্ঠিান ইসলামিক ফাউন্ডেশন  বাংলাদেশ। সেই ১৯৭৫ সাল থেকে এই পরযনত পরত্যেক বছর রমজান শুরুর পর ইসলামিক ফাউন্ডেশন  সাদাকাতুল ফিতর বা ফিতরার হিসাব নির্ধারণ করে জনপ্রতি কত টাকা ফিরা আাদায় করতে হবে বা দিতে হবে তা প্রকাশ করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতা ২০২৩ সালে ইসলামিক ফাউণ্ডেশন ঘোষণা করে এবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে জনপ্রতি ফিতরা সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা এবং সর্বচ্চ ২ হাজার ৬৪৫ টাকা দিতে হবে। সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে ইসলামি শরিয়ত মতে আটা যব কিশমিশ খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যগুলোর যেকোনো একটি দারা ফিতরা প্রদান করা যায়।গম বা আাটা দারা ফিতরা আদায় করলে ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১১৫ টাকা প্রদান করতে হবে। যব দারা আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৩৯৬ টাকা প্রদান করতে হবে।কিশমিশ দারা আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১৬৫০ টাকা খেজুর দারা আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২৬৪০ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে। দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা যব কিশমিশ খেজুর ও পনির এর বাজার মূল্য ভিত্তি করে এ ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানেরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপযুক্ত পণ্যগুলোর যেকোনো একটি পণ্য এর বাজার মূল্য দারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন। উপযুক্ত পণ্যসমূহের এসথানীয় খুচরা বাজারমূল্যের তারতম্য রয়েছে। তদনুযায়ী এসথানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।

ফিতরা কত টাকা ২০২৩ - বাংলাদেশের ফিতরা কত ইসলামিক ফাউন্ডেশন - ফিতরা দেয়ার নিয়ম - fitra calculation


ফিতরা ওয়াজিব হওয়ার শর্ত

ইদুল ফিতরের দিন কোনো স্বাধীন মুসলমানের কাছে জাকাতের নিসাব তথা ৭ ভরি সরণ কিংবা সাড়ে ৫২ তোলা রুপা অথবা তার সমমূল্যের নগদ অর্থ কারো কাছে থাকলেই ওই ব্যকতির জন্য ফিতরা ওয়াজিব। এ সম্পদ ঋণ এবং মৌলিক প্রয়জনের অতিরিক্ত হতে হবে। তবে ব্যতিকরম হলো জাকাতের জন্য এ সম্পদ পূর্ণ এক বছর মালিকানায় থাকতে হবে আর ফিতরার খেতরে এক বছর থাকা শর্ত নয়।আর এসব ব্যকতির জন্য ফিতরা গ্রহণ করাও হারাম।আবার বাড়ি ঘর আসবাবপত্র এসতাবর সম্পদের মূল্য (যদি ব্যবসার জন্য না হয়) জাকাতের নিসাবের অন্তভূক্ত নয়।কিন্তু ফিতরার খেতরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাবপত্র ঘর বাড়ি ও এসথাবর সম্পদ ভাড়া বাড়ি মেশিনারীজ কৃষিযনতর ইত্যাদি (উপার্জনের জন্য না হলেও) এসবের মূল্যের হিসাব ও ফিতরার নিসাবে অনতরভুকত হবে।

আরো পড়ুন ঃ মেয়েদের ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম

ফিতরা ওয়াজিব কখন হয়

ঈদের দিন সুবহে সাদিকের পর সব সামর্থ্যবান মুমিনের ওপর ফিতরা আদায় করা আবশ্যক।এ সময়ের ঠিক আগ মুহূর্তে যদি কারো বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয় তবে ওই বাচ্চার জন্যও ফিতরা আদায় করতে হবে। ফিতরা কখন আদায় করতে হয় ইদের নামাজে যাওয়ার আগেই ফিতরা আদায় করা সর্বোত্তম। তবে আগে থেকে ফিতরা আদায়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।আর যদি কেউ কোনো কারণে ইদের নামাজের আগে আদায় করতে না পারে তবে ইদের পরেও তা আদায় করা যাবে। তবে প্রিয় নবী (সা.) ইদগাহে যাওয়ার আগেই ফিতরা আদায় করতেন। কেননা গরিব অসহায় এই টাকায় কেনাকাটা করে ধনীদের সঙ্গে ইদ উদযাপন করবে। 

ফিতরা কার উপর ওয়াজিব

ছাদাক্বাতুল ফিতর মুসলমান নারী-পুরুষ, ছোট-বড়, সকলের জন্য আদায় করা ফরয। এ মর্মে হাদীছে এসেছে,


عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ فَرَضَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم زَكَاةَ الْفِطْرِ صَاعًا مِنْ تَمَرٍ أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيْرٍ عَلَى الْحُرِّ وَالْعَبْدِ وَالذَّكَرِ وَالأُنْثَى وَالصَّغِيْرِ وَالْكَبِيْرِ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ وَأَمَرَ بِهَا أَنْ تُؤَدَّى قَبْلَ خُرُوْجِ النَّاسِ إِلَى الصَّلاَةِ.


ইবনে ওমর বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বীয় উম্মতের ক্রীতদাস ও স্বাধীন, নারী ও পুরুষ, ছোট ও বড় সকলের উপর মাথা পিছু এক ছা‘ পরিমাণ খেজুর বা যব যাকাতুল ফিৎর হিসাবে ওয়াজিব করেছেন এবং তা ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পূর্বেই আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন’। ঈদের দিন সকালেও যদি কেউ মৃত্যুবরণ করেন, তার জন্য ফিৎরা আদায় করা ওয়াজিব নয়। আবার ঈদের দিন সকালে কোন বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হ’লে তার পক্ষ থেকে ফিৎরা আদায় করা ওয়াজিব। ছাদাক্বাতুল ফিতর হ’ল জানের ছাদাক্বা, মালের নয়। বিধায় জীবিত সকল মুসলিমের জানের ছাদাক্বা আদায় করা ওয়াজিব। কোন ব্যক্তি ছিয়াম পালনে সক্ষম না হ’লেও তার জন্য ফিৎরা ওয়াজিব।

আরো পড়ুন ঃ  যাকাতের নিসাব কত টাকা ২০২৩

ফিতরা কাকে দেওয়া যাবে - ফিতরা দেয়ার নিয়ম

যারা জাকাত পাওয়ার অধিকার রাখে তারাই সাদাকায়ে ফিতরের হকদার।যেসব ব্যকতি জাকাতের হকদার নয় তাদের ফিতরা দেওয়া যাবে না।এ বিষয়টি কুরআনুল কারিমে সুরা তাওবাহ এর ৬০ আয়াত দারাই মীমাংসিত। আল্লাহ তায়ালা বলেন জাকাত হলো কেবল ফকির মিসকিন জাকাত আদায়কারী ও যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক এবং তা দাস মুক্তির জন্য ঋণগ্রস্তদের জন্য আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্য এবং মুসাফিরদের জন্য এই হলো আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। 

আল্লাহ তায়ালা এ আয়াতে জাকাতের আটটি খাতের বিবরণ তুলে ধরেছেন।

১।নিঃস্ব ফকিরঃ ফকির বলা হয় যার কোনো সম্পদ নেই তার উপযোগী হালাল উপার্জন যা দারা তার উপার্জন হতে পারে। যার খাওয়া পরা ও থাকার এাথান নেই। অন্যান্য নিত্যপরয়োজনীয় জিনিসপত্র নেই। আবার কেউ বলেছেন ফকির সে যার সামান্য সম্পদ আছে তবে জীবন ধারনের জন্য অপরের ওপর নির্ভর করে। 

২।অভাবগ্রস্থ মিসকিনঃ মিসকিন বলা হয় যার এমন পরিমাণ সম্পদ আছে যা দারা তাট ওপর নির্ভরশীল লোকদের প্রয়োজন পূরণ যথেষ্ট নয়

৩।জকাত উঠানোর কাজে নিয়োজিত ব্যকতিঃ যারা জাকাত আদায়কারী সংরক্ষণকারী পাহারাদার লেখক হিসাবরক্ষক এবং তার বণ্টনকারী এদের সবাইকে জাকাতের ফান্ড থেকে বেতন দিতে হবে। 

১।তাকে মুসলিম হতে হবে।

২।পূর্ণ বয়স্ক সুস্থ বিবেকসম্পন্ন হতে হবে।

৩। জাকাতের বিধান সম্পর্কে ইলম থাকতে হবে 

৪।যাদের চিত্ত আকর্ষণ করা যায়ঃইসলামের প্রতি যাদের মন আকর্ষণ করা প্রয়োজন কিংবা ইসলামের ওপর তাদের সুপ্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য লোকদের জাকাতের খাত থেকে প্রদান করা।

৫।দাস মুক্তির জন্যঃমালিকদের অর্থ প্রদানের বিনিময়ে যে কিরতদাস তার মুক্তি লাভের জন্য চুক্তিবনধ হয়েছে।

৬।ঋণগ্রস্ত ব্যকতিঃএমন ঋণের ভারে জর্জরিত যার ঋণ পরিশোধের কোনো অবস্থান নেই তাকে জাকাতের ফান্ড থেকে সাহায্য করা।

৭।আল্লাহর পথে খরচ করাঃ আল্লাহর পথ বলতে আকিদা বিশশাস ও কাজের দিক দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি পরযন্ত পৌঁছে দেয় যে পথ।

৮।মুসাফিরদের জন্যঃনিজ আবাসস্থলে সম্পদ আছে এমন ব্যকতি যদি সফরে গিয়ে বিপদগ্রস্ত ও নিঃস্ব হয় তাকে জাকাতের তহবিল থেকে সাহায্য করা। 

ফিতরার পরিমাণ কত ২০২৩ 

আপনি জানেন ২০২৩ সালে আপনার জন প্রতি ফিতরার পরিমান কত ? চলুন এই ব্যপারে একটা চার্ট দেখে আসি । 

পণ্যের নাম  পরিমাণ  ফিতরার মূল্য গম ও আটা আধা সা- ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম ১১৫ টাকা যব এক সা- ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ৩৯৬ টাকা কিসমিস এক সা- ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ১,৬৫০ টাকা খেজুর এক সা- ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ১৯৮০ টাকা পনির এক সা- ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ২৬৪০ টাকা



ফিতরা কখন দিতে হবে?

ফিতরা কখন দিতে হবে এ ব্যপারে হাদিস বিডি থেকে কিছু তথ্যে । 

ফিতরা আদায় করার দুটি সময় আছে; তার মধ্যে একটি সময়ে আদায় দিলে ফযীলত পাওয়া যাবে এবং অন্য একটির সময়ে দান করলে যথেষ্ট হয়ে যাবে। প্রথম সময়ে দিতে হয় এবং দ্বিতীয় সময়ে দেওয়া চলে। প্রথম সময়ে দেওয়াই বিধেয় এবং দ্বিতীয় সময়ে দেওয়া বৈধ।


এই যাকাত আদায়ের ফযীলতের সময় হল, ঈদের সকালে নামাযের পূর্বে। আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, ‘আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর যুগে ঈদুল ফিতরের দিন এক সা’ খাদ্য দান করতাম।’[1]


ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, ‘নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) লোকেদের ঈদের নামাযের জন্য বের হওয়ার পূর্বে ফিতরার যাকাত আদায় দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।’[2]


ইবনে উয়াইনাহ তাঁর তফসীর-গ্রন্থে আম্র বিন দ্বীনার থেকে বর্ণনা করেছেন, ইকরামা বলেন, ‘লোকে তার ফিতরার যাকাত ঈদের নামাযের পূর্বে (মিসকীনদেরকে) পেশ করে দেবে। যেহেতু মহান আল্লাহ বলেন,


(قَدْ أَفْلَحَ مَنْ تَزَكَّى وَذَكَرَ اسْمَ رَبِّهِ فَصَلَّى)


অর্থাৎ, সেই ব্যক্তি সাফল্য লাভ করবে, যে (যাকাত দিয়ে) পবিত্র হবে এবং তার প্রভুর নাম স্মরণ করে নামায পড়বে। (কুরআনুল কারীম ৮৭/১৪-১৫)

এই জন্যই ঈদুল ফিতরের নামায দেরী করে পড়া উত্তম। যাতে ফিতরা আদায় দেওয়ার জন্য সময় সংকীর্ণ না হয়।

এই যাকাত আদায়ের বৈধ সময় হল ঈদের আগে দু-এক দিন। নাফে’ বলেন, ‘ইবনে উমার (রাঃ) ছোট-বড় সকলের তরফ থেকে ফিতরা দিতেন; এমন কি আমার ছেলেদের তরফ থেকেও তিনি ফিতরা বের করতেন। আর তাদেরকে দান করতেন, যারা তা গ্রহণ করত। তাদেরকে ঈদের এক অথবা দুই দিন আগে দিয়ে দেওয়া হত।’[3]

এ যাকাত দিতে ঈদের নামাযের পর পর্যন্ত দেরী করা বৈধ নয়। সুতরাং যে ব্যক্তি ঈদের নামাযের পর তা আদায় দেয়, তার যাকাত কবুল হয় না। কারণ, তার কাজ মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর নির্দেশ-বিরোধী। ইবনে আব্বাসের হাদীসে বর্ণিত, মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি তা নামাযের পূর্বে আদায় দেয় তার যাকাত কবুল হয়। আর যে তা নামাযের পরে আদায় দেয়, তার সে যাকাত সাধারণ দান বলে গণ্য হয়।’’[4]

অবশ্য কোন অসুবিধার জন্য নামাযের পর দিলে তার যাকাত কবুল হয়ে যাবে। যেমন, যদি কেউ ঈদের সকালে এমন জায়গায় থাকে, যেখানে যাকাত নেওয়ার মত লোক নেই, অথবা সকালে হঠাৎ করে ঈদের খবর এলে ফিতরা আদায় দেওয়ার সুযোগ না পেলে, অথ

বিঃদ্রঃ - এই পোস্টের কিছু ছবি গুগল ফেইসবুক ও বিভিন্ন সাইট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে । কারো কোনো আপত্তি থাকলে কমেন্ট করুন - ছবি রিমুভ করে দেয়া হবে।

আপনি আসলেই নিওটেরিক আইটির একজন মূল্যবান পাঠক । ফিতরা কত টাকা ২০২৩ | বাংলাদেশের ফিতরা কত ইসলামিক ফাউন্ডেশন | ফিতরা দেয়ার নিয়ম - fitra calculation এর আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ । এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবস্যয় আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন । মানুষ হিসেবে না বুঝে কিছু ভুল করতেই পারি , তাই ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন এবং কমেন্ট করে জানাবেন ।

Next post Previous post
এইখানে কোন মন্তব্য নেই
এই আর্টিকেল সম্পর্কে মন্তব্য করুন

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না ।

comment url