অ্যালোভেরার উপকারিতা অপকারিতা | আ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম - aloverar upokarita

অ্যালোভেরার উপকারিতা অপকারিতা - আ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম নিয়ে নিওটেরিক আইটির এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে

অ্যালোভেরার উপকারিতা অপকারিতা | আ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম - aloverar upokarita.

আচ্ছালামু আলাইকুম প্রিয় অতিথি - নিওটেরিক আইটি থেকে আপনাকে স্বাগতম । আপনি নিশ্চয় অ্যালোভেরার উপকারিতা অপকারিতা | আ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম - aloverar upokarita সম্পর্কিত তথ্যের জন্য নিওটেরিক আইটিতে এসেছেন । আজকে আমি অ্যালোভেরার উপকারিতা অপকারিতা | আ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম - aloverar upokarita নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে এই আর্টিকেল সম্পন্ন করব । অ্যালোভেরার উপকারিতা অপকারিতা | আ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম - aloverar upokarita সম্পর্কে আরো জানতে গুগলে সার্চ করুন - অ্যালোভেরার উপকারিতা অপকারিতা | আ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম - aloverar upokarita লিখে অথবা NeotericIT.com এ ভিসিট করুন । মোবাইল ভার্সনে আমাদের আর্টিকেল পড়ুন । এই আর্টিকেলের মূল বিষয় বস্তু সম্পর্কে জানতে পেইজ সূচি তালিকা দেখুন। ওয়েব স্টোরি দেখুন

এলোভেরা আমাদের অনেকের কাছে খুবই পরিচিত একটি উদ্ভিদ। অ্যালোভেরা কে আমরা অনেকে ঘৃতকুমারী হিসেবে চিনে থাকি।অ্যালোভেরার রয়েছে অনেক ধরনের গুণ যার কারণে এলোভেরার কদর রয়েছে। এলোভেরা জেল রূপচর্চা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকার আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাছাড়া এলোভেরা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে থাকে।আজকের পোস্টে অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা, অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম ও অ্যালোভেরা জেল মুখে দিলে কি হয় এই বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করবো।তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক:-

অ্যালোভেরার উপকারিতা অপকারিতা - আ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম - aloverar upokarita - NeotericIT.com


অ্যালোভেরার উপকারিতা অপকারিতা - আ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম নিয়ে নিওটেরিক আইটির আজকের এই আর্টিকেলে পরিপূর্ন আলোচনা করা হয়েছে । 

অ্যালোভেরার রস খাওয়ার উপকারিতা

অ্যালোভেরার অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে। অ্যালোভেরার সঠিক ব্যবহারে এই উপকারিতা গুলো খুব সহজেই পাওয়া সম্ভব। নিচে এলোভেরার কয়েকটি অসাধারণ উপকারিতা উল্লেখ করা হলো:-

হজম শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে 

অনেকের শরীরে হজমজনিত সমস্যা রয়েছে। হজম জনিত এই সমস্যাগুলোর কারণে খাবার ঠিকভাবে হজম হয় না ও শরীরে অনেক ধরনের রোগ ব্যাধি বাসা বেধে থাকে। তাই হজমজনিত এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে এলোভেরার জুস অথবা অ্যালোভেরার রস সরাসরি খাওয়া যেতে পারে। এলোভেরা হজমের পাশাপাশি মানব দেহের রেচন যন্ত্র কে নানান ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে থাকে। 

ওজন কমাতে সাহায্য করে 

যারা বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তারা ওজন কমানোর জন্য অ্যালোভেরার রস ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান যা সাধারণত শরীরের বাড়তি চর্বি ও মেদ দূর করতে দারুন কাজ করে থাকে। কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই অ্যালোভেরা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। 

হার্ট ও দাঁতের যত্নে দারুন কার্যকর

অ্যালোভেরার জেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে থাকে। এরফলে আমাদের হৃদ যন্ত্র বা হার্ট অনেক সুস্থ থাকে।তাছাড়া যে কোনো ধরনের ইনফেকশন দূর করতে এলোভেরা দারুন কার্যকারী। তাছাড়া মাড়ি,দাঁতের ব্যাথা সহ আরো অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান করে থাকে ঘৃতকুমারী। 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে 

অ্যালোভেরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে অসাধারণ একটি উপাদান। নিয়মিত এলোভেরার রস সেবন করলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ অনেকটা কমে যায়। যার ফলে ডায়াবেটিসের মতো সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে থাকে 

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে অ্যালোভেরা অসাধারণ কাজ করে থাকে। বর্তমান সময়ে অনেকে রয়েছে যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগে থাকেন। নিয়মিত এলোভেরা রস পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে অনেকটা দূরে থাকা যায়। 

উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে থাকে

মানব দেহে কোলেস্টেরলের পরিমাণ খুবই প্রয়োজন।তবে কোলেস্টেরলের মাত্রা যদি অনেক বেশি পরিমাণে বেড়ে যায় তাহলে শরীর নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তাছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণ কোলেস্টেরলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে আমাদের হার্টের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে এলোভেরা ব্যবহার করা যেতে পারে উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতে। কেননা উচ্চ কোলেস্টেরল কমানোর জন্য এলোভেরাতে রয়েছে বিশেষ ধরনের গুণ। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে 

অ্যালোভেরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। যা সাধারণত মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও মানসিক চাপ কমাতে দারুন কাজ করে থাকে। তাছাড়া এলোভেরাতে রয়েছে ভিটামিন বি ১২ এর মতো উপাদান। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে ও শরীর সুস্থ রাখে। 

 চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা 

আ্যালোভেরা চুলের জন্য দারুন একটি ঔষধি। যাদের অতিরিক্ত চুল পড়ে তারা যদি নিয়মিত চুলে অ্যালোভেরা রস ব্যবহার করে তাহলে অল্প সময়ের মধ্যেই চুল পড়া বন্ধ হবে ও মাথার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে নতুন চুল গজাবে। তাছাড়া পাতলা চুল ঘন করার জন্য অ্যালোভেরা ব্যবহার করা যেতে পারে। এলোভেরাতে রয়েছে আয়রন ও জিংক এর মত উপাদান যা চুলের সঠিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। 

অ্যালোভেরার উপকারিতা অপকারিতা - আ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম - aloverar upokarita - NeotericIT.com

আ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম 

অ্যালোভেরার জুস খাওয়ার নিয়ম বা অ্যালোভেরা কিভাবে খেতে হয় এই নিয়ে অনেকের প্রশ্ন রয়েছে। অ্যালোভেরার রস অনেক তিতকুটে হওয়ার কারণে এটি সরাসরি অনেকেই খেতে পছন্দ করে না।অ্যালোভেরা তিটকুটে স্বাদের জন্য যদি না খেতে পারেন তাহলে অন্য কোন সবজির সাথে এটি খাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া আপনারা চাইলে রোজ সকালে এক গ্লাস উষ্ণ জলে এক চা চামচ এলোভেরা জল মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। এভাবে খেলে সব থেকে ভালো উপকারিতা পাওয়া যায়।কেউ যদি শরীরের ওজন কমাতে চাই তাহলে অ্যালোভেরা লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া প্রতি বার খাওয়ার ১৪ মিনিট আগে এক চামচ এলোভেরার রস খেলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ওজন কমিয়ে ফেলতে পারবেন। 

ত্বকের যত্নে আ্যালোভেরার  উপকারিতা 

এলোভেরা রূপচর্চার কাজে বা ত্বকের যত্নে অনেক আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বকের যেকোনো সমস্যা যেমন রোদে পোড়া, গ্যাস ও চুলকানির মত সমস্যাগুলো থেকে এলোভেরা জেল খুব সহজেই মুক্তি দিতে পারে। নিয়মিত এলোভেরার রস ত্বকে লাগানোর মাধ্যমে ত্বক থেকে বলিরেখা দূর হয় ও বার্ধক্যের ছাপ পড়ে না। ত্বকের যত্নে এলোভেরা কিভাবে কাজ করে তা উল্লেখ করা হলো:-

ব্রণের সমস্যা দূর করে থাকে: ত্বকের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে ও ব্রণের দাগ দূর করতে এলোভেরা দারুন কাজ করে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় ঘামের কারণে ত্বকের উপরে তেলচিটে ভাব তৈরি হয়।এর ফলে অনেকের ব্রণের মত সমস্যা হয়ে থাকে। ব্রণ আক্রান্ত স্থানে যদি অ্যালোভেরা দিনে দুই থেকে একবার ব্যবহার করা যায় তাহলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পাবেন। 

চোখের নিচে কালো দাগ দূর করে ও বলি রেখা পড়তে দেয় না: অনেকের চোখের নিচে কালো দাগের মতো সমস্যাগুলো দেখা যায়। হয়তো কর্ম ব্যস্ততার কারণে অথবা সঠিক যত্নের কারণে এই সমস্যাটা সৃষ্টি হয়ে থাকে। চোখের নিচে কালো দাগ দেখা দিলে সেখানে নিয়মিত অ্যালোভেরার রস ব্যবহার করতে পারেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। তাছাড়া অনেকের ত্বকে বলি রেখা বার্ধক্য জনিত দাগ পড়ে থাকে। তারাও চাইলে নিয়মিত এলোভেরা রস ব্যবহার করতে পারেন। 


ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়:বর্তমান সময়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য অনেকেই ফেসওয়াশ ব্যবহার করে থাকেন। আপনারা এই সকল ফেসওয়াশ ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে যদি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য এলোভেরা ব্যবহার করেন তাহলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই রেজাল্ট দেখতে পাবেন। প্রথমে এলোভেরা জেল মুখে হালকা করে লাগিয়ে নিতে হবে এবং ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। তারপর মুখ সুন্দর করে ধুয়ে ফেলতে হবে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেক বেড়ে যাবে ও ত্বক ফর্সা হয়ে উঠবে।


পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা

বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকের শারীরিক শক্তি কমে আসতে শুরু করে। নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খাওয়ার মাধ্যমে পুরুষের শরীরে টেস্টোরেটর হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। যা সাধারণত শরীরের হজম ক্ষমতা থেকে শুরু করে পেশির বৃদ্ধি সহ যাবতীয় কাজ করে থাকে। তাছাড়া পুরুষের যৌবন ধরে রাখার জন্য এলোভেরা দারুন একটি উপাদান। তাই পুরুষরা বার্ধক্যের ছাপ দূর করতে ও যৌবন শক্তি ধরে রাখার জন্য নিয়মিত এলোভেরা জুস খাওয়া শুরু করতে পারেন। 


অ্যালোভেরার অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক 

যেকোনো উপাদান অতিরিক্ত ব্যবহার করলে এর খারাপ প্রভাব পড়বে। তেমনি অ্যালোভেরা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী হলেও এর অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। অ্যালোভেরা জেল অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে বা দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার করলে ডায়রিয়া, কিডনির সমস্যা, পটাশিয়ামের ঘাটতি, ওজন হ্রাস, এবং হার্ট অ্যাটাকের মত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই অবশ্যই এলোভেরা সকল সময় পরিমিত পরিমাণে ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে। 

অ্যালোভেরা মুখে মাখলে কি হয় 

অ্যালোভেরা মুখে মাখলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। প্রতিদিন যদি অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা যায় তাহলে এটি আমাদের ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ত্বকে গ্লামার এনে দিয়ে থাকে। অনেক সময় আমাদের মুখে বিভিন্ন ধরনের অবাঞ্ছিত দাগ দূর করার জন্য আমরা অনেক ধরনের ফেসওয়াশ বা ক্রিম ব্যবহার করে থাকি। এই দাগ গুলো দূর করার জন্য আপনারা অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করতে পারেন।

প্রথমে একটি এলোভেরা নিয়ে ছুরি দিয়ে পাতা কেটে এর ভিতর থেকে জেল বাহির করে নিতে হবে। তারপরে এটি মুখে মাখবেন ও ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে তারপর মুখ ধুয়ে ফেলবেন। এইভাবে একটানা কয়েকদিন করলে দেখবেন মুখে অবাঞ্ছিত দাগ দূর হয়ে গিয়েছে ও ত্বক আগের তুলনায় অনেক ফর্সা হয়ে গিয়েছে। ব্রণ জনিত বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করে থাকে এলোভেরার জেল।

অ্যালোভেরার বৈজ্ঞানিক নাম কী?

অ্যালোভেরার বৈজ্ঞানিক নাম হলো অ্যালোয়ে barbadensis miller.


অ্যালোভেরার বাংলা নাম কী?

অ্যালোভেরার বাংলা নাম হলো ঘৃতকুমারী।


অ্যালোভেরা কোথায় জন্মে?

অ্যালোভেরা বিশ্বের উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে জন্মে।


অ্যালোভেরার পাতায় কী কী উপাদান থাকে?

অ্যালোভেরার পাতায় থাকে অ্যামিনো অ্যাসিড, খনিজ, ভিটামিন, এনজাইম, গ্লাইকোসাইড, স্টেরয়েড, ল্যাটেক্স, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান।


অ্যালোভেরা কীভাবে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী?

অ্যালোভেরা বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি ডায়াবেটিস, ওজন কমানো, হজম শক্তি বাড়ানো, সর্দি-কাশি, ঘা, ক্ষত, ব্রণ, রোদে পোড়া ত্বক, চুলের রুক্ষতা, চুল পড়া, মাথার ত্বকের খুশকি, মুখের দাগ দূর করতে এবং ত্বকের বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে।


অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য কীভাবে উপকারী?

অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। এটি ত্বককে ঠান্ডা রাখে, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে, ত্বককে নরম করে, ত্বকের ক্ষত সারায়, ব্রণ দূর করে, রোদে পোড়া ত্বককে প্রশমিত করে এবং ত্বকের বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে।


অ্যালোভেরা চুলের জন্য কীভাবে উপকারী?

অ্যালোভেরা চুলের জন্যও অনেক উপকারী। এটি চুলের রুক্ষতা দূর করে, চুল পড়া রোধ করে, মাথার ত্বকের খুশকি দূর করে এবং চুলকে ঘন ও লম্বা করে।


অ্যালোভেরা কীভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে?

অ্যালোভেরায় থাকা অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি ইনসুলিন নিঃসরণের মাত্রা বাড়ায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়।


অ্যালোভেরা কীভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে?

অ্যালোভেরায় থাকা ফাইবার উপাদান ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি ক্ষুধা দূর করে এবং হজম শক্তি বাড়ায়।


অ্যালোভেরা কীভাবে হজম শক্তি বাড়ায়?

অ্যালোভেরায় থাকা এনজাইম হজম শক্তি বাড়ায়। এটি খাদ্যকে সহজে হজম করতে সাহায্য করে।


অ্যালোভেরা কীভাবে সর্দি-কাশির উপশম করে?

অ্যালোভেরায় থাকা অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সর্দি-কাশির উপশম করে। এটি গলা ব্যথা, কাশি এবং সর্দি দূর করে।


অ্যালোভেরা কীভাবে ঘা সারায়?

অ্যালোভেরায় থাকা অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ঘা সারায়। এটি ঘাকে জীবাণুমুক্ত করে এবং দ্রুত সারিয়ে তোলে।


অ্যালোভেরা কীভাবে ক্ষত সারায়?

অ্যালোভেরায় থাকা অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ক্ষত সারায়। এটি ক্ষতকে জীবাণুমুক্ত করে এবং দ্রুত সারিয়ে তোলে।


অ্যালোভেরা কীভাবে ব্রণ দূর করে?

অ্যালোভেরায় থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণ দূর করে। এটি ব্রণের কারণে ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ব্রণ দ্রুত



শেষ কথা, আশা করি পোস্টটি যারা সম্পূর্ণ ও বিস্তারিত মনোযোগ সহকারে পড়েছেন তারা অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা ও অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তাছাড়া ত্বকের যত্নে এলোভেরা কিভাবে ব্যবহার করবেন এই বিষয়েও ইতিমধ্যে ধারণা পেয়েছেন। তবুও যদি এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে বা পোস্টটি পড়ে কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝবে কোন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ। 




বিঃদ্রঃ - এই পোস্টের কিছু ছবি গুগল ফেইসবুক ও বিভিন্ন সাইট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে । কারো কোনো আপত্তি থাকলে কমেন্ট করুন - ছবি রিমুভ করে দেয়া হবে।

আপনি আসলেই নিওটেরিক আইটির একজন মূল্যবান পাঠক । অ্যালোভেরার উপকারিতা অপকারিতা | আ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম - aloverar upokarita এর আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ । এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবস্যয় আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন । মানুষ হিসেবে না বুঝে কিছু ভুল করতেই পারি , তাই ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন এবং কমেন্ট করে জানাবেন ।

Next post Previous post
এইখানে কোন মন্তব্য নেই
এই আর্টিকেল সম্পর্কে মন্তব্য করুন

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না ।

comment url